ব্রাহ্মনবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলা থেকে আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি প্রেরিত সংবাদঃ-
গতকাল ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং বৃহস্পতিবার উপজেলা পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্রীক ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সতন্ত্র নেতা জনাব নুরুল হক ভুইয়া দুর্বৃত্তর আক্রমনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করেন। এই নির্মম হত্যার বিষয় ঘটনা স্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে-আগামি ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং আখাউড়া পৌরসভা মেয়র নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্ষমতাশীন ও সতন্ত্র (বিদ্রোহী) এবং প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে গতকাল দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকা থেকে আখাউড়া বাজার প্রাঙ্গনে প্রচারনা কার্যক্রম তোরজোর চলমান ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য মোতাবেক
জানাযায় যে-কলেজ রোড অতিক্রম করে ক্ষমতাশীন আওয়ামী মেয়র তাজকিল খলিফা কাজল তাহার
দলবল নিয়ে বাজার অভিমূখী অগ্রসর হওয়ার সময় আগে থেকেই বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু মিয়া বাজার প্রাঙ্গনে দলবল নিয়ে প্রচারনা কার্যক্রমে ব্যস্ত ছিলেন। এমতাবস্থায় দুই পক্ষের কিছু উশৃঙ্খল সদস্যরা একে অপরে প্রতি উত্তেজক অগ্নি স্লোগান দিতে থাকলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরুহয় এবং মারমুখী দাঙ্গার সৃষ্টি হলে সেইসময় সতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হকের নির্বাচনী প্রচারনা মিছিল সেখানে পৌঁছলে ঘটনাস্থলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের শুরু হয়। ফলে দাঙ্গা চলাকালিন মুখোশ পড়া ২/৩জন অস্ত্র ধারী সন্ত্রাসী যাহাদের পরিচিতি তাৎক্ষনিক চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নাই এবং তাহারা সম্ভবত পূর্বের শত্রুতার জের হিসাবে পরিকল্পীত নূরুল হককে তাক করে গুলি নিক্ষেপ করলে তিনি সেখানে লুটিয়ে
পড়েন। এলাকার লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে
কর্তব্যরত ডাক্তার শারীরিক অবনতি বুঝতে পেরে তাৎক্ষনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন
কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ফলে তিনি রাস্তায় মৃত্যু বরন করে। এই হত্যা কান্ডটি এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটালে পুলিশ ফোর্স সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয় এবং
সেই রাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর ভিত্তিকরে সন্দেহাতীত ৮জনকে আসামী চিহ্নিত করে রাষ্ট্রপক্ষ ভিকটিম পরিবারের সম্মনয় থানায় মামলা রুজু করেন। প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু মিয়াকে হুকুমের আসামী করে ভাতিজা ২। আশরাফ মিয়া, পিং-জারু মিয়া, পূত্র ৩। মাইনুল ইসলাম, পিং-জয়নাল আবেদীন, চাচাতো ভাই ৪। বাবুল মিয়া,পিং-চবদার আলী, সহযোগী ৫। বিল্লাল মিয়া, পিং-হারুন মিয়া, ৬।আজাদ মিয়া, পিং-শহীদ মিয়া, ৭। আনোয়ার মিয়া, পিং-খালেক মিয়া, ৮। সুজন মিয়া, পিং-রতন মিয়াগং সকলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এখন পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ন্ত্রনে আটক রেখেছে। পুলিশ কর্মকর্তা দাবী করেন যে-নুরুল হক ভূইয়ার সাথে জয়নাল আবেদীনের রাজনৈতীক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ পুরানো শত্রুতার কারনে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসন ঘটনাটি গুরুত্বসহ তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
Leave a Reply