১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার মোহনগন্জে তাঁর মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহন করেন ।তাঁর বাডি. নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মাতা আয়েশা ফয়েজ।কর্মজীবন শুরু করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষকতা করেছেন।১৯৮২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেকোটা ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় লেখক তাঁর পুলিশ কর্মকর্তা পিতাকে হারিয়েছেন।পাকিস্তানি দখলদার হানাদার বাহিনী তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে।শহিদ পিতার সন্তান হিসেবে লেখকের মনে স্বাধীনতা বিরুধীদের সম্পর্কে প্রচন্ড ঘৃনা পুন্জিভূত রয়েছে। স্মরণাতীত কালের ঈর্শণীয় জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের বই “পারাপার’”প্রকাশের এক মাসে বইটি বিক্রি হয়েছে কুডি হাজার কপি।”রুপালী দ্বীপ” মাত্র দু’সপ্তাহের মাথায় বইটি পনের হাজার পাঠকের হাতে পৌছে যায়। শুধু তাই নয়, এই লেখকের লেখা কাল্পনিক চরিত্রের পক্ষে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় মিছিল নিয়ে নেমে আসে। ১৯৮১ সালে মাত্র ৩২বছর বয়সে লেখক দেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন।এ ছাড়া একুশে সাহিত্য পুরস্কার,শিশু একাডেমী পুরস্কার, খালেক-দাদ-চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার,মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার,জয়নুল আবেদিন স্বর্ণপদক,অতীশ দীপংকর স্বর্ণপদক, লেখক শিবিরের হুমায়ূন কবির পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর সাহিত্য জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারের নাম হচ্ছে পাঠক প্রিয়তা।তিনি কিংবদন্তীতুল্য জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
Leave a Reply