রাজু আহমেদ
গত ১৭ ই নভেম্বর ২০১৯ইং সন্ধারাতে একদল দূর্বৃত্তরা ধামরাই উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী মােঃ সাদ্দাম হােসেন(২৮) কে আশুলীয় টঙ্গাবাড়ী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজারে নির্মমভাবে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যার প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানাযায় যে-ভিকটিম মৃত মােঃ সাদ্দাম হোসেন এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টসে কাচামাল সাপ্লাই ও জোট ব্যবসায় নিয়ােজিত ছিল কিন্তু তিনি রাজনৈতীক দলীয় প্রভাবে এলাকায় বিরােধী দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসায় লেনদেন সংক্রান্ত ঘাপলার কারনে শত্রুতা সৃষ্টি হয় এবং শেষ ফলাফল তাহাকে জীবন দিতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে-উক্ত সন্ধায় ভিকটিম মােঃ সাদ্দাম পার্শ্ববর্তি গার্মেন্টসে মালামাল সাপ্লাই দিয়ে ৬/৭জন বন্ধুদের নিয়ে বাজারে চা দোকানে আড্ডা দেওয়ার সময় আনুমানিক ১৮.৩০/১৯.০০ঘটিকায় ১০-১২জন মুখােশধারী বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি ৪-৫টি মােটর বাইকে উপস্থিত হয়ে ধারালাে হাতিয়ার দ্বারা তাহাদের কুপিয়ে/পিটিয়ে রক্তাক্ত জ্ঞানহীন অবস্থায় দ্রুত পালিয়ে যায় এবং এলাকাবাসি আহতদের দ্রুত হাসপাতালে উপস্থিত করলে চিকিৎসারত মােঃসাদ্দাম (২৮) মৃত বরন করেন। ভিকটিমের বিধবা মাতা বাদী নাজমা খাতুন সাদ্দামের দাফন সম্পাদনের পরদিন প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী ও রাষ্ট্রপক্ষের সহযােগীতায় আশুলিয়া থানায় মােট ১১জনের বিরুদ্ধে ফৌঃ আইনে মামলাটি রুজু করেন। এবং পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সংবাদ প্রতিনিধি থানায় যােগাযােগে ধৃত ও পলাতক মােট ১১জন আসামীর পরিচয় জানতে পারেন যে-এই মামলায় ২জন মাষ্টার মাইন শ্রমিক নেতার হুকুমে নির্মম হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয়েছে এবং অপরাধ সংঘঠিতর পর থেকে তাহারা পলাতক আছে। ৬জন পলাতক আসামীর পরিচয়, ১। খাইরুল ইসলাম,পিং-আব্দুল বাতেন,সাং-ধামরাই, ২। মােঃকামাল হােসেন খান,পিং-মৃতএমদাদুল হক খান ,সাং-ঐ,৩। রঞ্জু মিয়া, পিং-মৃত জহির মিয়া,সাং-ঐ,8।তােবারক হােসেন,পিং-আনিছুর রহমান,সাং-সাভার,৫। মােঃ মাসুদ রানা পিং-মােঃওসমান গনি,সাং-আশুলীয়া,৬।শফিক আকবর,পিং-মােঃরসুল মিয়া,সাং-ধামরাই। এবং হাজতে বন্দি ৫জন আসামী,৭। জুয়েল রানা,পিতা-মােঃজামাল উদ্দিন,সাং-আশুলিয়া,৮। মামুন হাসান,পিং-মৃত হাতেম আলী,সাং-ঐ,৯।শাহজাহান মিয়া, পিং-নুর উদ্দিন মিয়া,সাং-ঐ,১০। হাবিবুর রহমান,পিং-মৃত আব্দুল জলিল,সাং-ঐ,১১।নাসির হােসেন,পিং-মােঃ আজগর, সাং-ঐ। পুলিশি প্রাথমিক তথ্যে জানা যায় যে, আসামীরা পেশাগত গার্মেন্টসে বিভিন্ন পদে কর্মরত এবং বিরােধী রাজনৈতীক ও শ্রমিক সংগঠনের স্বক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিচিত। এই অভিযােগের বিষয় আসামীদের পরিবারে যােগাযােগে জানাযায় যে-ভিকটিম সাদ্দাম ব্যবসার নামে চাদাঁবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল বিধায় হত্যাকন্ডটি সম্পূর্ন নিজেদের মধ্যে শত্রুতা কেন্দ্রীক ও সুপরিকল্পীত। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে ষড়যন্ত্রকৃত নিরিহ ৪/৫জনকে মামলায় জড়িয়ে তাহাদের পরিবারের উপর পুলিশ ও সরকার দলীয় সদস্যরা বর্বরচীত হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করেছে। থানার ওসির সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযােগটি সম্পূর্ন অস্বীকার করেন এবং নিশ্চিত করেন যে-মামলার তদন্ত চলমান আছে ও প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযােগ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply