আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলা রায়কোট ইউনিয়নস্থ দক্ষিন মহিনি গ্রামের বাসিন্দা মোঃআয়াত আলীর পূত্র মোঃসুজন আলী (৩৬) গতকাল সোমবার ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং বিকেল আনুমানিক ১৫:১৫ ঘটিকায় দূর্বৃত্তর ছুড়িকাঘাতে ঘটনা স্থলে মৃত্যু ঘটে। এই হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটনের জন্য প্রতিনিধি গ্রামের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে, এলাকার স্থায়ি বাসিন্দা মোঃ রফিকুল ইসলামের ২টি পরিবারের সন্তানদের মধ্যে পৈতৃক ভুমি সম্পত্তি ভাগবাটোয়ার ও ভোগ দখলকে কেন্দ্র করে সৎ ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন চরম উত্তেজনাকর জটিল পরিস্থিতি চলমাল। যাহার ফলে ২য় পক্ষ প্রবাস ফেরৎ পূত্র মোঃইউসুফ নবী উক্ত সকালে দলবল নিয়ে সম্পত্তি জোর দখলের পায়তারা করলে ১ম পক্ষে বড় পূত্র কামাল ও জমিতে কর্মরত লোকজন তাহাদের বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে হাতাহাতি ও ভয়াবহ সংর্ঘষ মারামারি শুরু হয়। একপর্যায় চরম ক্ষিপ্ত ইউসুফ নবী ধারালো চাইনিজ ড্যাগার দ্বারা সৎ ভাই কামালকে পেটে কোপ দিলে তাৎক্ষনিক সুজন আলী ইউসুফকে প্রতিহত করাতে ধারালো চাকু তাহার ডান কিডনিতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। ফলে লোকজন পার্শ্ববর্তি বাজার থেকে ডাঃ ইসাক মাহমুদকে দ্রুত সেখানে হাজির করলে ভিকটিমকে পরিক্ষা নিরিক্ষারপর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এমতাবস্থায় উপস্থিত লোকজন হত্যাকারীদের আটক করে থানাকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ফোর্স দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ শনাক্ত ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদসহ সুরতেহাল রিপোর্ট সংগ্রহ ও ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা সরকারী সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। আটককৃত হত্যাকারীসহ ৪জন অপরাধী ১। মোঃ ইউসুফ নবী(৪০), পিং-মোঃ রফিকুল ইসলাম, ২। আশেকুর রহমান আশিক (৩৮), পিং-মমিনুল হক, ৩। মো:নাসির উদ্দিন (৩৯), পিং-হাজী আব্দুল মতিন, ৪। মো: জুবায়ের অভি (৩৯), পিং-রহমত মাষ্টারগংকে পুলিশ ফোর্স গ্রেফতার দেখিয়ে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষির বয়ান ও জবানবন্দির ভিত্তিতে থানায় হত্যা মামলা রজু করে আসামিদের ৫ দিনের পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিধি এই হত্যার বিষয় ভিকটিম ও কামালের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-মুখ্য আসামি ইউসুফ অসৎ চরিত্রের অত্যান্ত লোভী ও অনৈতীকভাবে পৈতৃক সম্পত্তি জোর দখলের জন্য জন্ম দাতা পিতাকে বর্বচীত নির্যাতন ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কিন্তু প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানাযায় যে-প্রবাস ফেরৎ ইউসুফ কষ্টাঅর্জিত টাকা পিতাকে পাঠাতেন এবং পিতা নিজের নামে সম্পত্তি ক্রয় করাতে ১ম পক্ষের দুই পূত্র ওয়ারীশদার হিসাবে ৮০ ভাগ সম্পত্তি তাহারা জোরদখল করে নিয়েছে। পুলিশকে এই ঘটনার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে থানার ও/সি ঘটনাটির বিষয় আপাতত কোন মন্তব্য করতে নারাজ তবে দাবী করেন যে-দ্রুত সুষ্ঠ তদন্তর মাধ্যমে সার্বিক ঘটনার বাস্তবতা উৎঘাটনে স্বচেষ্ট হবেন।
Leave a Reply