আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি,
কুমিল্লা থেকে উপজেলা চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের আমজাদের বাজার সেলুনে ইয়াছিন মিয়া(৪০) চাঞ্চল্যকর হত্যার বিষয় তথ্য নিশ্চিত করে।উল্লেখ্য-গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকায় রবী চন্দ্র শীলের সেলুনে চুল দাড়ী কামানোর সময় মাক্স পরিহিত একজন দূর্বৃত্ত নাপিত কমোল শীলের থেকে ধারালো খুড় কেড়েনিয়ে চোখের নিমিশে গলায় পোছ মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়।এই ঘটনার সাথে সাথে নাপিত কমোলের চিৎকারে পার্শ্ববর্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন দ্রুত জড়োহয়ে ইয়াছিন মিয়াকে রক্তাত্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিনকে মৃত ঘোষনা করেন। এই হত্যার প্রকৃত রহস্য জানতে প্রতিনিধি কমোল শীলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে পরিবার অবগত করেন যে-জীবনের নিরাপত্তার কারনে তিনি আপাতত আত্মগোপনে আছেন। ফলে মৃত ইয়াছিনের পরিবারকে এই হত্যার কারনের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তাহারা দাবী করেন যে-নাপিত কমোল কাহারো প্ররোচনায় ও টাকার বিনিময় সুপরিকল্পীত ধারালো খুড় দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে।এ বিষয় এলাকাবাসি বা প্রতিবেশীরা ঘটনাটি অত্যন্ত জটিল ও ষড়যন্ত্র মূলক দাবী করেন তবে কমোল শীল এই হত্যা করতে পারে না বলে সকলে বিশ্বাস করেন।এই হত্যা প্রসঙ্গে থানায় যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার এস.আই.ইব্রাহিম নিশ্চিত করেন যে-অদ্য সকালে এই অপহত্যার বিরুদ্ধে ইয়াছিনের স্ত্রী নাজিফা খাতুন ৩জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে কিছু আলামত হস্থান্তর ও সেলুনের মালিক রবী চন্দ্র শীলের বড় পূত্র কমোল শীল(৩৮)কে সন্দেহাতীত মূখ্য আসামীসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে হত্যায় জড়িয়ে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অফিসার লাশের সুরতেহাল তথ্য ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো খুড়টি জব্দ করিয়া প্রাথমিক ভাবে বাদীর অভিযোগের প্রতি গুরুত্বপাত করেন এবং ধারনা করেন যে-নাপিত কমোল শীল হয়তোবা ব্যক্তিগত শত্রুতা বা কাহারো দ্বারা প্রভান্নিত হয়ে অর্থের বিনিময় হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছেন। তবে আসামিকে গ্রেফতার ও হাতের বায়োম্যাট্রিক ছাপের পরিক্ষানিরিক্ষা না করা পর্যন্ত কিছুই অগ্রিম বলা সম্ভব নয় এবং তিনি আরো নিশ্চিত করেন যে-তদন্ত কর্মকর্তা সুক্ষ তদন্তর মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার দ্রুত উৎঘাটন করতে সক্ষম হবেন । এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পুলিশ আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই।
Leave a Reply