আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বাঁতিশা ইউনিয়নে নিয়ন্ত্রনাধীন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন নানকরা গ্রামে দেশে প্রসিদ্ধ বিদেশে রপ্তানিকৃত জুতা প্রস্তুত কারখানা জেইল ফুট ওয়্যার লি: এ গতকাল ৮ই এ্প্রিল ২০২২ইং রাত আনুমানিক ২২.০০/২২.৩০ ঘটিকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হয়। এই অগ্নিকাণ্ড নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘন্টা অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপন করতে সক্ষম হয় এবং ফায়ার কর্মিরা ঘটনা স্থলে ৫জন অগ্নিদগ্ধ শ্রমীকদের উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন, অগ্নিদগ্ধদের পরিচয় ১। রেজউল ইসলাম, পিং-মকবুল মিয়া, ২। রাজু আহমেদ, পিং-মৃত বশির আহমেদ, ৩। বিদ্যুৎ শাহা, পিং-সুবল শাহা, ৪। শিতল বিশ্বাস, পিং- রুপক বিশ্বাস, ৫। আবু সাইফ, পিং-মফিজ উদ্দিন গং তবে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কোন সংবাদ পাওয়া যায় নাই। এই অগ্নি কান্ডে ২টি পিকআপ ভ্যান ভর্তি মূল্যবান বার্নিশ চামড়া ও ক্যামিক্যাল দ্রব্যসহ স্টোর রুমে সংরক্ষিত জুতা তৈরীর কাচা মালের একাংশ আগুনে সম্পূর্ণ ধব্বংস হয়। ফলে ফেক্টরীর একাউন্টস বিভাগের প্রাথমিক জরিপে এই অগ্নি কান্ডে আনুমানিক ২ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতী সাধিত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন। এইরুপ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটিকে ফেক্টরীর প্রশাসন সম্পূর্ণ শত্রুতা ও পরিকল্পীত আক্ষায়িত করেন। উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস আইন সংস্থার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন যে-কোন রাজনৈতীক মহলের পরিকল্পীত ষড়যন্ত্র ও উস্কানিতে এই বর্বরচীত অগ্নিকান্ড ঘটানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এলাকার ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাকর্মি প্রশাসনের কর্তারা দাবী করেন যে-এলাকায় বিরোধী রাজনৈতীক দলীয় নেতাকর্মিদের চক্রান্তে ও অনৈতীক উস্কানিতে ফেক্টরীর শ্রমিকরা প্রাই বেতন ভাতা বোনাস ও বিভিন্ন বেআইনি দাবীদবা আদায়ের লক্ষে মহাসড়ক অবরোধ করে কর্মবিরতী, হরতাল, মানব বন্ধন, দাঙ্গা মারামারি ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ চালিয়ে আসছে। বিধায় তাহারা নিশ্চিত দাবী করেন-ফেক্টরী পাশ্ববর্তি জনতা শ্রমীক রেষ্টুরেন্টে শ্রমীকরা সর্বদা সেখানে খাওয়াদাওয়া করে এবং সেখানে প্রাই সরকার বিরোধী বিএনপি ও জামায়েত শিবির নেতকর্মিরা গোপন মিটিংসহ শ্রমীকদের বিভিন্ন কুবুদ্ধি/প্রস্তাবের মাধ্যমে বিপথগামী করছে। যাহার ফলে এই বিষয়টির উপর গুরুত্বপাত করে আইন সংস্থা অদ্য সকালে ফেক্টরীর ম্যানেজার ও উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাবশালী মহলের অভিযোগ মোতাবেক চৌদ্দগ্রাম থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। আইন প্রশাসনের সাথে যোগাযোগে জানা যায় যে-বাদী ও স্বাক্ষিদের বয়ানের ভিত্তিতে এই অগ্নি কান্ডের ষড়যন্ত্রকারী হুকুমের আসামী হিসাবে জনতা শ্রমীক রেষ্টুরেন্টের মালিক ও জামায়েত সদস্য ১। মোঃ ইসমাইল হোসেন, পিং-আব্দুর রহিম, রিমা মটোর গ্যারেজ মালিক ও বিএনপি নেতা,২। নিজাম উদ্দিন, পিং-রবিউল মিয়া, জেইল ফুট ওয়্যার লিঃ নিরাপত্তা গার্ডসহ কর্মচারীবৃন্দ ও বিএনপি শ্রমিকদল সদস্যগং ৩। হাবিব হোসেন, পিং-মোতালেব মিয়া, ৪। ইমরান কবির, পিং-আবুল হাসেম, ৫। রফিকুল হক, পিং-আবুল মনসুর, ৬। তাবিজ মোল্লা, পিং-মাজিদ মোল্লা, ৭। ইয়াছিন খান, পিং-আজাদ খান, ৮। ইব্রাহিম আহমেদ, পিং-নজু আহমেদ, ৯। সিদু মিয়া, পিং-তমিজ উদ্দিন, ১০। পলাশ দাস.পিং-রতন দাস, ১১। হুমায়ুন কবির, পিং-সাজ্জাদ হোসেন, ১২। মুহিত হোসেন, পিং-সবির উদ্দিন, ১৩। মোঃ মহিবুল্লাহ, পিং- সিরাজ মুন্সিগংসহ মোট ৮৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করা হয়। পুলিশি তথ্য মোতাবেক আইন সংস্থা এখন পর্যন্ত ৮ জনকে সন্দেহাতীত গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার উক্তি/ বয়ানের উপর ভিত্তিকরে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং উক্ত থানার ও/সি নিশ্চিত করেন যে-আইন সংস্থা সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার সুক্ষ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর সাজা ও জরিমানা আদায়ে সক্ষম হবেন।
Leave a Reply