আমাদের সংবাদ দাতা:
কুমিল্লা উপজেলা ব্রাহ্মানপাড়া দুলালপুর ইউনিয়ন গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মনির হোসেনের পুত্র যুবলীগ কর্মি জামাল হোসেন (২৮) এর মৃতদেহ গত ১১ই মার্চ ২০২২ইং সকালে দরিয়ারপাড় ব্রাদ্রার্স ব্রিক্স ফিল্ডে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উল্লেখ্য-ব্রিক্স ফিল্ডে কর্মরত শ্রমিকরা সকাল আনুমানিক ৭.০০ ঘটিকায় ইটের ভাটার পার্শ্ববতি নালার সমানে বিকৃত ও বিভৎস অবস্থায় মৃত লাশ দেখতে পায় এবং তাৎখনিক বিষয়টি আইন প্রশাসনকে অবগত করেন। পুলিশ পরিদর্শক এস.আই শেখর চন্দ্র দাস ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতেহাল রিপোর্ট তৈরী এবং উপস্থিত শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা বাদে মৃত যুবকের পরিচয় উৎঘাটন করতে অক্ষম হয়। ফলে ইটের ভাটার মালিক সফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তাহার আত্মিয়সজনের উপস্থিতিতে লাশের পোশাকও চেহারার বিবরন অনুসারে মালিকের ছোটভাই মনির হোসেন তাহার পূত্র জামাল হোসেনর মৃত দেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। লাশটির ময়না তদন্তের জন্য দ্রুত সদর হাসপাতালে প্রেরন করে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে ভিকটিমের অভিভাবক নিশ্চিত করেন যে-গত সন্ধায় পূত্র জামাল কাহারো সাথে মোবাইলে আলাপেরপর বাহিরে যায় এবং রাতে আর গৃহে না ফেরায় চিন্তাগ্রস্থ্য পিতামাতা তাহার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ব্যার্থ হয়। প্রতিনিধি এই অনাকাঙ্খিত হত্যার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভিকটিমের পিতা দাবী করেন যে-ব্রিক্স ফিল্ডের মালিক বড় ভাইয়ের সাথে সম্পত্তিগত শত্রুতার জের হিসাবে তাহার পুত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। ফলে গত সন্ধায় প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-ময়না তদন্ত তথ্য মোতাবেক ভিকটিমকে নির্মম ধারালো ও ভারীবস্তু দ্বারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত পা মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হত্যাকরা হয়েছে। এই নির্মম হত্যার কারনে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে সন্দেহাতীত বড় ভাই সফিকুল ইসলামসহ ২ পুত্র মোঃ সুমন মিয়া ও শামিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং এই ঘটনারপর থেকে আসামীরা সবাই আত্মগোপনে আছে। প্রতিনিধি এই হত্যা প্রসঙ্গে আসামী পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে,ভিকটিম অত্যন্ত উশৃঙ্খল চাদাঁবাজ দূঃচরিত্রের যুবক বিধায় এই হত্যাকান্ড সম্পূর্ন নিজেদের রাজনৈতীক দলীয় ক্রন্দোল ও প্রতিহিংসার কারনে সংঘঠিত হয়েছে। এই সংবাদ প্রচারিত হওয়া পর্যন্ত কোন আসামীকে আইন প্রশাসন এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই।
Leave a Reply