আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলা পুলিশ ফোর্স গত ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩ইং গভীর রাত আনুমানিক ১.০০ ঘটিকায় প্রাইভেটকারে তল্লাসি চালিয়ে প্রচুর নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই চাঞ্চল্যকর মাদক উদ্ধারে ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিনিধি কুলাউড়া থানা নিয়ন্ত্রনাধীন হিংগাজিয়া বাজার পুলিশ ফাড়ির কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস.আই. মিনাল শাহা ও তাহার ৩ জন অধিনস্থ্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-বিশ্বস্থ্য সূত্রে মাদক প্রাচারের সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ভোররাতে একটি সাদা প্রাইভেট কার যাহার রেকর্ড নং-ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৮৫২তে তল্লাসি অভিযান চালিয়ে একটি ছালার বেগ থেকে ৩৫০০ পিস ইয়াবা নামক মাদক ট্যাবল্টে, ১কেজি ৮০০গ্রাম গাজা, ৫৫টি বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০০ গ্রাম চড়শ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় যাহার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। তাহারা আরো নিশ্চিত করেন যে,এই অভিযান চালানোর সময় ২জন আসামীর মধ্যে ১জন আসামী গাড়ীর মালিক ও চালক লোকমান আহমেদ (৩৫) পিং-আব্দুল আজিজ, সাং-কলেজ রোড, পূর্ব হিংগাজিয়া, কুলাউড়াকে ঘটনা স্থলে রাঙ্গা হাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাহার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ি বন্ধু সাজেদ মাসুদ (৩২)পিং-তহুর মিয়া, সাং-দক্ষিন হিংগাজিয়া, কুলাউড়ার স্থানিয় বাসিন্দা পুলিশের আগমন টের পেয়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টির রাতে পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই মাদক উদ্ধার প্রসঙ্গে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন,এই মাদক ব্যবসায়ি চক্রটি রাজনৈতীক ছত্রছায়ায় অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে পার্শ্ববর্তি ভারত থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গোপনে দেশের অভ্যন্তরে সর্বরাহর মাধ্যমে রমরমাট অনৈতীক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। ফলে আইন সংস্থা বিষয়টি বেশকিছুদিন যাবৎ অত্যন্ত গুরুত্বসহ চতুরতার সাথে পর্যবেক্ষন করতে ছিলেন এবং অবশেষে মাদক ব্যবসায়ির মুখ্য হোতাদের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিনিধি থানার সূত্রে আরো নিশ্চিত হয় যে-এই ঘটনার মূখ্য আসামী লোকমানকে গ্রেফতার ও তাহার শিকার উক্তি মোতাবেক পুলিশ অদ্য ভোরে কুলাউড়া থানায় রাষ্ট্র বাদী হয়ে উল্লেখিত ২জনের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছেন এবং পলাতক আসামী সাজেদ মাসুদকে গ্রেফতার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। আইন সংস্থার উর্ধতন মহল দাবি করেন যে-আসামীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে এবং এই মাদকদ্রব্য চক্রের সাথে জড়িত প্রতিটি অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পক্ষান্তরে প্রতিনিধি হাজতী ও পলাতক আসামী পরিবার এবং এলাকায় প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে- সামনে ১২তম সংসদ নির্বাচন এবং আসামীরা বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িতর থাকায় বাদী রাষ্ট্রপক্ষ ক্ষমতাশীন দলীয় উচ্চপদস্থ্য নেতাদের সুপরিকল্পীত চক্রান্তের মাধ্যমে তাহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র মূলক মামলা/হামলা চালিয়ে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় রাখার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করেছে।
Leave a Reply