আমাদের প্রতিনিধির সংবাদ-
ঢাকা কেরানীগঞ্জ উপজেলা হযরতপুর ইউনিয়ন আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মােঃ শুকুর আলী, পিতা,মৃত ফুলচান মিয়া,এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জননী মােটর সাইকেল শোরুম এন্ড সার্ভিসিং সেন্টার,স্থান-আলীপুর ব্রিজ রাস্তা সংলগ্ন অদ্য শনিবার ২৭শে মার্চ ২১ইং দুপুর আনুমানিক ২.৩০ঘটিকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হয়। এই অগ্নিকান্ডে প্রতিষ্ঠানের অপুরনীয় ক্ষতীসাধন হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকের অনুপস্থিতিতে কর্মচারীর ভাষ্য মােতাবেক ক্ষয়ক্ষতীর পরিমান আনুমানিক ৩৫/৪৫ লক্ষ টাকা প্রথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। উপস্থিত প্রত্যক্ষ দর্শীদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতিয়মান হয়-৬টি নতুন হিরাে ইয়ামাহা ১৭৫সিসি বাইক,৪টি ১৫০সিসি টিভিএস-৫,বাইকসহ সার্ভিসিং এর জন্য ৭টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মােটর বাইক এবং বিভিন্ন মূল্যবান খুচড়া যন্ত্রাংশ ইত্যাদি অগ্নিকান্ডে সম্পুর্ন ক্ষতীসাধিত হয়েছে । এই অগ্নিকান্ডের উৎপত্তিকর বিষয় দোকানে দুই কর্মচারী নয়ন ও মামুনসহ পার্শ্ববর্তি দোকানের লােকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কোন সুষ্পষ্ট সূত্রপাত বর্ননা করতে পারে নাই। তবে কর্মচারিরা জানায় যে,অগ্নিকান্ড ঘটার ১০/১৫মিনিট পূর্বে তাহারা সামনের হােটেলে দুপুরে লাঞ্চকরা অবস্থায় লােজনের চিৎকারে দোকানের ভিতর থেকে আগুনের ফুলকি দেখতে পায় এবং তাৎখনিক এলাকার লােকজন জড়াে হয়ে অগ্নি নির্বাপনের চেষ্টায় ব্যাস্তহয়ে পরে। তবে অগ্নিকান্ডের উৎপত্তি ঘটনাটি দোকানের পিছন থেকে সংঘঠিত হয়েছে বলে তাহারা নিশ্চিত ভাবে ধারনা পােষন ও অবগত করেন। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-প্রতিষ্ঠানের মালিক হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ বিএনপির রাজনৈতীক নেতা হিসাবে সুপরিচিত বিধায় এলাকায় প্রতিপক্ষ দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সাথে রাজনৈতীক প্রতিহিংসা বা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরহিসাবে গােপনে এই বর্বরচীত ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহাতীত দাবী করছে। এই অগ্নিকান্ড চলাকালিন সময় ফায়ার সাভিসের কোন ইউনিট বা আইন সংস্থার প্রতিনিধি তাৎক্ষনিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলনা কিন্তু এলাকাবাসির একান্ত প্রচেষ্টায় আনুমানিক দীর্ঘ ২ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। প্রতিনিধি ফায়ার সার্ভিসের আগমনের বিলম্বতার বিষয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি যাতায়াত ব্যবস্থার দূর্ভোগের বিষয় জানান এবং থানার পরিদর্শক এস.আই.শহিদুল বিভিন্ন ব্যস্ততার কারন দেখিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে উপস্থিত অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শকের ধারনা/বক্তব্যে জানাযায় যে দোকানের পিছনে মােটর বাইক সার্ভেসিং চলাকালিন জ্বালানি ট্যাঙ্কির আশেপাশে অসাবধানতা বশত গ্যাস ওয়েল্ডিং বা ধুমপান ইত্যাদি কারনে দূর্ঘটনা জনক অগ্নিকান্ড সৃষ্টি হয়েছে। যাহার ফলে এলাকাবাসি ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ আশ্বাস প্রদান করেন যে-বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের বাস্তবতা উৎঘাটন এবং যদি কোন ব্যক্তি বা জনগােষ্টির অপরাধে সম্পৃত্বতা পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ক্ষতীগ্রন্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেন।
Leave a Reply