আমাদের প্রতিনিধি মোঃ মোর ফারুক
গত ১৯শে ফেব্রয়ারী ২০১৯ইং কদমতলী, বাসাবোতে বৌদ্ধ বিহারে পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালিন এলাকায় রাজনৈতীক দলীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্রকরে স্থানীয় কমিশনার ফরিদ ও নারী আওয়ামীলীগ নেত্রী তানিয়া হোসেন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংর্ঘষ ও দাঙ্গা ফসাদ সংঘঠিত হয়। উল্লেখ্য যে-সেই বিকালে বৌদ্ধদের মাঘী পূর্নিমা উৎযাপন উপলক্ষে সর্বপরি বিনোদন মুলক সাংস্কৃতী অনুষ্ঠানে চলাকালিন সময় ফরিদ বাহিনী সু-পরিকল্পীত অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে এলাকায় টহল দিতে থাকে। এমতাবস্থায় আমন্ত্রীত আওয়ামী মহিলা-লীগ নেতী তানিয়া তাহার দলবল নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগের সময় প্রতিপক্ষের কিছু সন্ত্রাসীর উস্কানি মুলক বাজে মন্তব্যের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ জানালে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তানিয়া বাহিনীর নারী সঙ্গিরা ক্ষিপ্তহয়ে তাহাদের উপর জুতা সেন্ডেল ছুড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপনেয় এবং উভয় মধ্যে মারামারি ও দাঙ্গায় শুরু হলে এলাকাবাসি ও দর্শকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা সহ পুলিশকে অবগত করেন। কিন্তু‘ পুলিশের আগমনের পূর্বেই প্রতিপক্ষ ২ দলের কিছু উশৃংখল অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীরা পরিস্থিতি বেগতীক বুঝতে পেরে এলোপাথারী গোলাগুলি নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ফলে উভয় পক্ষের দলীয় সদস্য ও নিরীহ ১২/১৩জন দর্শক গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এবং পরবর্তিতে পুলিশের আগমনে এলাকাবাসীরা ভিকটিমদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত মেডিক্যালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে ৪জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পুলিশি জিজ্ঞাসা বাদে পর ছেড়ে দেয় হয় । কিন্তু ৮/৯জনের অবস্থার অবনতির কারনে বিশেষ চিকিৎসা প্রদানরত অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ আবু সুফিয়ান(৩৩),পিতা-আবু সাদেক,সাং-সবুজবাগ,অতিরিক্ত রক্তখরনে ২১শে ফেব্রয়ারী ২০১৯ ইং ভোরে মৃত্যুবরন করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ পরিদর্শকের সুরতেহাল তথ্য অনুসারে জানাযায় যে-এইরপ অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনাটি দুই দলের প্রতি হিংশাক্ত প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্রকরে সংঘঠিত হয়েছে এবং উভয়েই এই হত্যাকান্ডের জিম্মাদার। পুলিশের ভাষ্য মোতাবেক আরও জানাযায় যে-চিকিৎসারত ভিকটিম ও প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষিদের বয়ান মোতাবেক পুলিশ বাদী হয়ে ৩জন মহিলা ও ৮জন পুরুষকে অপরাধী চিহ্নিত করে সবুজবাগ থানায় পরদিন ২২শে ফেব্রয়ারী ২০১৯ইং মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে জোর অভিযান চালিয়ে ৪জন আসামীকে গ্রেফতারসহ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ৩জন নারী ও ৮ জন পুরুষের সম্পৃত্বতার বিষয় নিশ্চিত হয়ে তাহাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যহত আছে। পুলিশ বাদী এজাহারে তথ্য অনুসারে আসামীদের পরিচয় উল্লেখ্য যে-হাজতী আসামী ১। নাজির মোল্লা (৩৮),পিং-সফুমোল্লা,সাং-বাসাবো,২।মোঃমনিরুল(৩০),পিং-হাসানআলী,সাং-কদমতলী,৩।সায়েম হোসেন (২৮), পিং-মজিবুর হোসেন,সাং-ঐ,৪।আসরাফ উদ্দিন(৩৫),পিং-মৃত জহির উদ্দিন, সাং-মধ্যবাসাবো এবং পলাতক ৩জন নারী আসামীর নাম ৫।রাজিয়া খাতুন(৪২/৪৪),স্বাং-ওমোর আলী,সাং-উত্তর শাহজাহানপুর,৬।রোজীনা পারভিন(৩৫/৩৭),স্বাং-হুমায়ুন আহমেদ,সাং-সবুজবাগ,৭। নওরিন জাবিন (৩২/৩৫),স্বাং-এ.বি.সিদ্দিক,সাং-কদমতলা এবং ৪জন পলাতক পুরুষ আসামী নাম-৮।জাকির হোসেন (৩৫/৩৭),পিং-মৃত হারুন মিয়া,সাং-উত্তর শাহজাহানপুর,৯। বিলাল হোসেন (৪৪/৪৫),পিং-নাজমুল হোসেন,সাং-উত্তর বাসাবো,১০।হায়াত রাসুল(২৮/৩০),পিং-সাজ্জাত রাসুল,সাং-সবুজবাগ, ১১।বাছের উদ্দিন বাসু (৪২/৪৩), পিং-মৃত মোঃ সামসুদ্দিন,সাং-রেলগেট বাসাবো। পুলিশের মাধ্যমে আরও জানাযায় যে-বর্তমানে ধৃত ৪জন আসামী রিমান্ড শেষে হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের আদেশে মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ডি.বি.পুলিশের হাতে অভিযোগটি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপরন্ত বৌদ্ধ বিহারের ধর্মীয় যাজগদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা এই ঘটনার শুধু চরম দুঃখ ও নিন্দা প্রকাশ করেন এবং আইন সংস্থার দায়িত্বর প্রতি গুরুত্ব অরোপ করে কাহারো বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করতে বিরত ছিলেন।
Leave a Reply