অদ্য আমি চলমান তথাকথিত গনতন্ত্রের মূখোশধারী রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার স্বৈরা একনায়কতন্ত্র নামক গনতন্ত্রর প্রসঙ্গে বিশেষ সমিক্ষার পরিসংখ্যান আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। আমি নিশ্চিত যে এই প্রতিবেদন সহজে কোন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত করা সম্ভব নয় এবং এইরূপ কিছু বাস্তবচিত্র জনসম্মুখে উনমোচন/আবৃতী করলে নির্ঘাৎ স্বৈরাচারী রাষ্ট্রীয় আইনে কঠোর নির্যাতনে আত্নহত্যার সামিল গন্নিত হতে হবে। যাহার বাস্তবীক দৃষ্টিপটে আমি একজন স্বাধীন মনা সংবাদীক হিসাবে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সমালোচনা করতে গিয়ে আমাকে রাষ্টীয় বিশেষ আইসিটি আইনের অধিনে সরকার বাদী মামলায় জড়িয়ে প্রতিনিয়ত জীবন নাশের ভীত কর হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
কিন্তু তবুও চলমান গনতন্ত্রের নামে এক অবৈধ ক্ষমতাশীন সরকার প্রশাসন যাহা একযুগেরও বেশী সময় যাবৎ রাষ্ট্র যন্ত্রের চাবি কাঠি অনৈতীক ভাবে ইচ্ছা মতন পরিচালিত করে জনগনকে জিম্মিকরে রেখেছেন যাহার বাস্তব নগ্নচিত্রর কিছুটা পটভুমি আমার এই প্রতিবেদনে বর্ননা করছি।বিষয়টি খুব বেশী দিনের নয় যাহার সার্বিক অনৈতীক কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনার বিবরন বিশ্ববাসী বরাবর ওয়াকিফহাল আছেন।আমি পেশাগত জীবনে অবর্তিন হওয়ার পর থেকে বিরতীহিন একতরফা আওয়ামী শাসন ও শোষন ব্যবস্থার বিতর্কিত দাবানলের কার্যক্রমের সাথে অত্যন্ত পরিচিত হয়ে আসছি। যাহার ব্যপক উৎস ও পরিচিতি দেশে আমার মতন উদিয়মান যুব সমাজের কাছে গনতন্ত্রের বাস্তবিক চর্চার সিমাবদ্ধতা সরকার দলীয় সমর্থক ও আইন প্রশাসন কেন্দ্রীক অনৈতীক কার্যকলাপের মাধ্যমে পরিলক্ষীত হয়ে আসছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে উধৃত করছি যে-গত ৩০/১২/১৮ইং অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ ও বিদেশে চরম সমালোচিত একটি মূখ্য বিষয় যাহার বিশেষ অপ্রত্যাসিত ঘটনা গুলী দেশের জনগনকে চরম উদ্ববিগ্ন ও নিরাশা জনক বিব্রতকর প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতির সম্মুখিন করেছে। এই সকল অবাঞ্চিত ও অনাকাঙ্খিত নির্বাচন কেন্দ্রীক অমানবীক ঘটনার বাস্তবতার উৎঘাটনের লক্ষে আমি স্বশরীরে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলায় নিরিহ জনগনের সাথে আন্তরিকভাবে তাহাদের অভিমত জানার প্রয়াস চালাই। যাহার ফলশ্রুতিতে পর্যায়ক্রমে এলাকার সংখ্যা ঘরিষ্ঠ বাসিন্দারা উক্ত তারিখ নির্বাচন কি ভাবে উদযাপিত হয়েছিল তাহার কঠিন বাস্তচিত্র বর্ননা হিসাবে বিভীষিশীকাময় অধ্যায় সারাদিন মারামারি হামলা,নাশকতা/দাঙ্গাফসাদ গ্রেফতার ইত্যাদির বিষয় আলোকপাত করেন।
বেশীরভাগ প্রতদ্যক্ষদর্শীরা আলোকপাত করেন যে-নির্বাচনের আগের রাত্রেই ক্ষমতাশীন দলীয় লোকজন আইন প্রশাসনের সমঝতা/সহযোগীতায় ৭০% ভোট চুরি কার্যক্রম সম্পাদন করে এবং বাকি ৩০% ভোট সকালে বিভিন্ন নাটকিয় প্রতিকুল পরিস্থিতিতে সম্পাদন করা হয়। এলাকাবাসি পূর্বেই ভোট চুরি/কারচুপি বিষয় নিশ্চিত ছিল যে-সরকার দলীয় সমর্থকরা আইন প্রশাসন সার্বিক ক্ষমতার প্রভাবে অনৈতিক ভাবে ভোট জালিয়াতী করার পায়তারা চালিয়ে আসছে বিধায় আগে থেকেই সবাই সচেতন ছিল। কিন্তু ভোটের সকালে ভোট কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ সরকার দলীয়রা সুপরিকল্পীত ষড়যন্ত্রে বিভিন্ন অভিযোগসহ আক্রমনের মাধ্যমে ভোটারদের ভীতগ্রস্ত ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মি / সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধাগ্রস্থর করতে থাকলে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
যাহার ফলশ্রুতিতে আইন সংস্থার সদস্যরা পরিকল্পীত সুবিধা লাভের মাধ্যমে বিরোধীদলের সমর্থক ও নেতাকর্মিদের উপর বর্বরোচিত হামলা, মামলা,গ্রেফতার ইত্যাদি অমানবীক তৎপরতা চালিয়ে এলাকচ্যুত করতে থাকে। এমনকি জামায়েত ২জন কর্মি মোঃজুবায়ের (৩০),মৌলানা ইকবাল সাইফ (৪০) ও বিএনপি নেতা রাসেদ ওসমানকে (৩৯)কে গ্রেফতার ও সেই রাতের অন্ধকারে ক্রস ফায়ারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লাশ গুম করা হয়। ভিকটিম পরিবারে এক অসহায় বৃদ্ধ পিতা ক্রন্দরত তাহার সন্তানের লাশের সন্ধানের জন্য দীর্ঘদিন আইন প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে অবশেষে নিরাশ হয়ে আমাকে তাহার সন্তানের লাশের সন্ধান উৎঘাটনের কাকুতি মিনতি করেন। ঠিক তেমনি নির্মম দৃষ্টিপটে একটি অসহায় স্ত্রী ও এতিম কন্যা আমার সামনে ক্রন্দনরত মৃত/গুম ভিকটিমের সন্ধানের লাভের জন্য অনুনয় ভাবে অনুরোধ জানায়।
উপরন্ত গ্রামের ২৫/২৬টি পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারী দলের সন্ত্রাসী ও আইন প্রশাসনের প্রতিনিয়ত হামলা, মামলা ও বর্বর নির্যাতন/হত্যার ভয়ে নিজ গৃহ ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে ফেরারী জীবন যাপন করছে। এমনকি ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাকর্মিরা দূর্নীতিবাজ আইন প্রশাসনের সহযোগীতায় প্রতিনিয়ত হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শনকরে অনৈতীক পন্থায় তাহাদের সহায় সম্পত্তি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোর ভোগদখল ও চাদাঁবাজি ইত্যাদি বর্বরতা চালিয়ে আসছে। আমি জনগনের স্বার্থে আইন প্রশাসনের কাছে এই সকল নিকৃষ্ঠ ও গর্হিত বেআইনি কার্যকলাপের বিষয় অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাতে গিয়ে অত্যন্ত ভয়াবহ প্রতিকূল সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি।
এমনকি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিষ্ঠানের কেমেরাম্যানের নির্মম মৃত্যু ও গুরুতর আহত অবস্থায় জীবনের হুমকিসহ একাধীক মিথ্যা মামলার আসামী হতে হয়েছে। যদিও চলমান তথাকথিত গনতান্ত্রীক দেশের শাসন ও শোষক আমলা পরিষদের রাষ্ট্রীয় নিতিমালায় সংবাদ প্রচার মাধ্যম স্বাধিন ও নিরপেক্ষতার ছত্রছায়ায় বিরাজমান কিন্তু রুঢ় বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আমি স্বয়ং বর্তমানে রাষ্ট্র বাদী ষড়যন্ত্র মামলায় ফেরারী আসামী গয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের নিরাপত্তার যুদ্ধে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
সম্পাক ও সম্পাদনায় আমি স্বয়ং তানভির আহমেদ, ক্রাইম রিপোর্টার, প্রতিদিনের সিলেট বানী
Leave a Reply