মামলার বাদী রাষ্ট্রপক্ষ নোয়াখালী সদর থানা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গত ৫ ই জুন ২০১৮ ইং তারিখ ভোর রাতে মধুপুর মাস্টার পাড়ায় র্যাষব ও পুলিশ ফোর্স গুপ্ত অভিযান চালিয়ে ৪ জন জঙ্গিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন। আরও দাবি করেন যে- আসামিদের স্বীকারোক্তি ও উদ্ধারকৃত জঙ্গিবাদী আলামত সহ বেআইনি অস্ত্র বিস্ফোরকদ্রব্যর উপর ভিত্তি করে সেই ভোরে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ আইনে ১টি মামলা দায়ের করেন। অপরাধের সাথে জড়িত সম্পৃক্ত পলাতকদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামিকে বিভিন্ন সময় সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে, ১।মো আজম (৩৫), পিতা- বদর আলী,২। মোঃ মশির উদ্দিন(৩৩),পিতা-মৃত জামাল উদ্দিন, ৩। সাইদ জামসেদ (২৭),পিতা- মুসলেম মিয়া, ঘটনাস্থলে ক্রসফায়ারে মৃত্যু ঘটে বলে দাবি করেন। প্রতিনিধি এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মৃত পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে ঘটনা প্রসঙ্গে পরিবার সদস্য ও এলাকার লোকজন অত্যন্ত ভীত গ্রস্থ হয়ে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন কিন্তু মৃত ব্যক্তিকে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেন। এলাকার কিছু বাসিন্দারা অত্যান্ত ভীতিগ্রস্থ হয়ে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে-মৃত ভিকটিমরা অত্যন্ত ধর্মভীরু মুসুল্লি ও ন্যায়পরায়ণ পেশায় নিয়োজিত বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নেতাকর্মী ছিল। প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রীয় আইন সংস্থা ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশনা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এলাকায় সরকারি প্রভাব বহাল রাখার লক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নামে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত নাটক সাজানোর অভিযোগ করে এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় বলে দাবী করেন বলে জানায় ।এই হত্যা প্রসঙ্গে সদর থানায় জিজ্ঞাসা করলে পুলিশ কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ এবং বিভিন্ন অভিযোগের অজুহাত দেখিয়ে নিয়ে যায় ফলে প্রতিনিধি ওসি সাহেবকে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন করলে তিনি একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন যে, দেশের আইন শৃংখলা ও জন নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদেরকে অপরাধের ঘোড়া ও আগাছা পরিষ্কার উপড়ে ফেলতে হয়। অবস্থায় ক্ষমতাশীল দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জানা যায় যে আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে এলাকায় জঙ্গিবাদী তৎপরতা ও ত্রাস সৃষ্টিকারী হিসেবে পরিচিত বিদায় গোয়েন্দা সংস্থার সঠিক তথ্য অনুসারে রক্ষাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ।এলাকাবাসী আরও জানান , এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন এলাকার আরো দশ জন নিরিহকে মনগড়া অভিযুক্ত পলাতক আসামি চিহ্নিত করে মোট আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। যাহার মধ্যে মামলার মুখ্য আসামি হাজতি ,১। সারওয়ার মাওলা(সোনাপুর মাদ্রাসার শিক্ষক),২। হাতেম উদ্দিন (শিক্ষক) 3। শাহজাহান মুন্সী (শিক্ষক) ,৪।মোহাম্মদ জাকারিয়া সুলতান (শিক্ষক)৫।ইমাম কাউসার (১৯),পিং-রুহুল আলম,৬।মোহাম্মদ জামিল হোসেন (১৮) পিং মোঃ বোরাক হোসেন,৭। নেশার উদ্দিন পাটোয়ারী (৩৩),পিং-মতিন পাটোয়ারী,৮। মুসা দেওয়ান(৪৩),পিং- মৃত আজাদ দেওয়ান। এই মামলার সাথে জড়িত ও পলাতক হিসাবে দত্তরহাট এলাকায় ৯), ফরীদ উদ্দীন সজল(৩৮),পিং-জসিম মিয়া,১০। মোঃ রবিউল সানি(৪২), ১১। জাকিরুল ইসলাম (৩০),পিং-মাস্টার সুলতান হোসেন,১২।তাসলিম আহমেদ(৩৫),পিং-মৃত হুমায়ূন আহমেদ,১৩। সালাউদ্দিনসাজু (৩৯),১৪।শাহাদাত ফকির (২৩),পিং-ডাঃ নাজমুল ফকির। (উকিল পাড়া এলাকায়),১৫। সুমন হাসান(২৫), পিং-নজরুল আলম,১৬। জাহাঙ্গীর পাঠান(৪৪),পিং-মৃত লুটফর পাঠান,১৭। মোঃ ফখরুল ইসলাম (২৯),পিং-মোঃনূরুল ইসলাম, (সোনাইমুড়ি এলাকার) ১৮।সাইদুল আলম(২৪),পিং ওসমান মিয়াগনকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপরাধ চিহ্নিত করে গত ৭/১০/১৮ ইং তারিখ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ক্রসফায়ারে হত্যার কোনো তথ্য বা অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় গুলির অভিযোগ প্রতিবেদন সম্পূর্ন এড়িয়ে/গোপন করা হয়েছে। প্রতিনিধি আদালতে মামলার চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে জানতে পারেন যে-সরকারী উচ্চ মহলের নির্দেশনায় মামলাটি সম্ভব ত দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আইনের আওতায় ট্রাইব্যুনালে বিচারীক প্রস্ততি চলমান আছে।
Leave a Reply