নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর নেতৃত্বদানকারী দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন আক্তার লিজা উপর গত ২৬ শে জুলাই ১৮ইং আনুমানিক রাত ৯ ঘটিকায় মুখোশধারী ৯/১০জন ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তরা তাহার গৃহে হামলা চালায়। প্রতিনিধী ভিকটিম পরিবার ও এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হন যে, দুর্বৃত্তরা উচ্চ মহলের নির্দেশে পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে এবং মুমূর্ষ অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জানা যায়, দুর্বৃত্তরা জোরজবস্তি ভিকটিমের বাড়িতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে বাড়ির গার্ড মোঃ জালাল উদ্দিন বাধা দিলে তাহারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন হাতিয়ার দ্বারা লিজা ও পরিবারের উপর বর্বরচীত হামলা চালালে তাহাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানা কে অবগত করেন। কিন্তু পুলিশ ফোর্স হামলাকারীদের পরিচয় জানার পর এক প্রকার আইনি কার্যক্রমের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই ভিকটিমের ভাই প্রতিবাদ জানায়। এই বর্বর হামলার উৎপত্তির বিষয় ভিকটিম পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে- গত ১৭ ইং ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার সম্পর্কে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ আন্দোলন কেন্দ্রিক সূত্র ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিল। এমনকি আন্দোলনকারীরা আইন সংস্থা ও ছাত্রলীগ সদস্যদের বর্বরোচিত হামলা ও শারীরিক লাঞ্চনাসহ রাষ্ট্রবাদী একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে সকল দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার পরেও আইন প্রশাসন ও ছাত্রলীগের হামলায় মামলা থেকে আন্দোলনকারীরা কোনভাবেই নিস্তার পাচ্ছে না। যার প্রতিফল হিসেবে লিজাকে দুর্বৃত্তদের আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং ভাই থানা পুলিশের আইন কার্যক্রমে নিঃস্কৃয়তার প্রতিবাদ করাতে ভাই বোনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলায় পরদিন পুলিশ মোঃ আনোয়ারুলকে গ্রেফতার করে জেলে বন্দী করেছে। আমাদের প্রতিনিধি তেজগাঁও থানায় ওসির সাথে যোগাযোগে ঘটনার বাস্তবতার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি অভিযোগটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং লিজার উপর হামলা ও নির্যাতন ঘটনা সম্পূর্ণ ভিকটিমের ব্যক্তিগত প্রেম সংক্রান্ত সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি আরো ব্যক্ত করেন যে, আফরিন আক্তার লিজা ও ভাই আনোয়ারুল বিরোধী রাজনৈতিক দলীয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সরকার ও আইন প্রশাসন বিরুধী মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারণায় আইন সংস্থাকে উক্ত ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম এর চরম বাধার সৃষ্টি ঘটানোর কারণে সন্দেহাতীত আনোয়ারুলকে আইনের তত্ত্বাবধানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং লিজা কেও দ্রুত গ্রেপ্তার ও তত্ত্বাবধানে নেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেন । এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি জানতে পারেন যে,কলাবাগান থেকে অদ্য ভোরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর আন্দোলনকারী সক্রিয় সদস্য মোঃ ইব্রাহিম ইমন ও মিস রুমানা সুলতানার উপর একই রকম অভিযোগ সাজিয়ে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং আইনি কার্যক্রম চলমান আছে। সূত্রে আরো জানা যায় আইন সংস্থা এরুপ অভিযান সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে সর্বত্র অব্যহত রেখেছে।
Leave a Reply