রেজাউল আলম
গত ১৬ ডিসম্বর২০১৪ইং সালে ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নাসিরনগর উপজেলা, ধরমন্ডল ইউনিয়নে সাইয়াউক গ্রামবাসী মৃত মােঃ বাছির মিয়ার ছােট পুত্র মােঃ রােকন উদ্দিন (৩৮)কে দূর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে হত্যা করে। যাহার পর দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে চলামান থাকার পর গত ৫জানুয়ারী ২০২০ইং সালে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, মােট ৭জন অভিযুক্তর মধ্যে ৪জন আসামীকে স্বাক্ষী প্রমানে দোষী সাব্যস্ত করেন। উল্লেখ্য যে-বিজ্ঞ বিচারক মােঃ শফিউল আজম,জেলা দায়রা জজ, মামলার ২জন পলাতক সহধর ভাই ১। খন্দকার সাদিকুর রহমান, ২। মােহাম্মদ শিবলী,পিং-মৃত মােঃ খন্দকার হুমায়ুনগন ঘটনার দিন থেকে পলাতক আসামীকে মূখ্য অপরাধী চিহ্নিত করে প্রতিজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কাড়াদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১বৎসর কারাবাস এবং আসামী ৩। এ.কে.এম আব্দুল মুক্তাদির ,পিং-ঐ(বড় ভাই),৪। মােবারক হােসেন, পিং-মৃত মহসীন মিয়াকে ৭ বৎসর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় ৬মাস কারাবাস সাজা প্রদান করেন। এই মামলায় ৩জন উপস্থিত আসামীকে বিশেষ বিবেচনায় মামলা থেকে বেকসুর নিঃস্কৃতিদান করেন। অভিযােগ প্রসংগে জানাযায় যে-সাইয়াউক গ্রামে শিশু কল্যান ট্রাষ্টের পৃষ্টপােষক ও পরিচালক জনাব খন্দকার সাদিকুর রহমানকে মূখ্য আসামী করে মােট ৭জনের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সচিব মােঃ মােশাহীদ বাদী হয়ে ১৮/১২/১৪ইং ছােট ভাই হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং দীর্ঘদিন আদালতে চলমান ছিল। বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানাযায় যে-মামলাটি মূলত শিশু কল্যান ট্রাষ্টের সম্পত্তি ভােগদখল কেন্দ্রকরে বাদীর সাথে মূখ্য আসামী খঃসাদিকুরের অন্তর্দন্দ ও শত্রুতা শুরু হয় এবং বাদী মােঃ মােশাহীদ এলাকার ক্ষমতাশীল আওয়ামী নেতা ও ট্রাষ্টের শিক্ষা সচিব, তিনি ঘটনার রাতে প্রতিষ্ঠানের লীজপ্রাপ্ত মাছের পুকুরে অন্ধকারে দলবল নিয়ে মাছ চুড়ি করার সময় উভয়ের মধ্যে দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত হলে ছােট ভাই মােঃ রােকনউদ্দিন প্রতিপক্ষের আক্রমনে মৃত্যুবরন করে।এই মৃত্যুরপর খঃসাদিকুর রহমান ও ছােট ভাই মােঃ শিবলী ঘটনার দিন থেকে আত্নগােপনে আছেন। আমাদের প্রতিনিধি অনুসন্ধানে আরও নিশ্চিত হয় যে-এই হত্যা কান্ডের উৎপত্তি বাদী ক্ষমতার প্রভাবে ট্রাষ্টের সম্পত্তি জোর দখল ও স্বার্থসীদ্ধি ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। ট্রাষ্টের প্রাক্তন কমিটি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বাস্তবতা সম্মন্ধে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায় যে-প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্টাতা মূখ্য আসামীর পিতা মরহুম মােঃখঃ হুমায়ুন সাহেব নিজ সম্পত্তির উপর গড়ে তােলেন এবং পিতার মৃত্যুর পর তিনি সকল দায়িত্বভার গ্রহন করে নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা ও উৎপাদন মূখী লীজ সম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাদী মােঃ মােশাহিদ লােভ লালসার বসভুত হয়ে খঃসাদিকুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সম্পত্তি বেআইনী ভােগদখলের চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীর ভাষ্য মােতাবেক ঘটনার রাতের অন্ধকারে পুকুরে মাছ চুরিকে কেন্দ্রকরে দাঙ্গায় রােকন উদ্দিনের মৃত্যু সম্পূর্ন দূর্ঘটনামূলকএবং একক ভাবে খঃসাদিকুর ও তাহার ২ভাইয়ের সম্পৃত্বতা সম্পূর্ন যােগসাজস হিসাবে অবহিত করেন। এই মামলার বিচারের রায় ঘােষনার পর বাদী ও তাহার দলবল আসামীদের গৃহে হামলা ও লুটপাট/ভাঙচুর ইত্যাদি বর্বরতা চালালে উভয় পরিবার ও এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply