আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা ১নং সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ বাবর ভূঞার পূত্র মোঃ মহসিন ভূঞা (১৬) এবং একই ইউনিয়নের প্রসাদপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের বড় পূত্র রিফাত হোসেন (১৬) ও গোপাইরবাগ গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল কাজীর পূত্র তুহিন কাজী (১৬) সকলে কলেজের ছাত্র গতকাল ২৭শে অক্টোবর ২০২১ইং সন্ধা আনুমানিক ৬.৪৫ ঘটিকায় একটি মটোর সাইকেলে ৩জন আরোহী চাটখিল রামগঞ্জ মহাসড়কে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় সামনে থেকে আগত মালবাহি একটি ট্রাকের সাথে সংর্ঘষে ঘটনা স্থলে চেয়ারম্যানের পুত্র মহসিন মৃত্যু বরন করে। গুরুতর আহত ২জনকে স্থানীয় জনগন দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করলে ডিউটি ডাক্তার তুহিন কাজীকে মৃত ঘোষনা দিয়ে রিফাৎ হোসেনকে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা চলমান রাখে। কিন্তু তাহার স্বাস্থের অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত সেই ভোর রাতে ঢাকাতে প্রেরন করা হয় এবং জানা যায় যে-অদ্য সকালে ডিএমসি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে তবে তাহার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এই নির্মম দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে রাস্তায় সংস্কার কাজে নিয়োজীত প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের বয়ানে জানাযায় মোটর বাইক চালক চেয়ারম্যান পূত্র মহসিন ও পিছনে বসা ২বন্ধুরা অত্যন্ত উশৃঙ্খল ও দ্রুতগতিতে ড্রাইভিং করছিল। এমতাবস্থায় রাস্তার সংস্কার কাজ চলাকালিন কাচামাল ভর্তি ট্রাকটি পূর্ব দিক থেকে আসার সময় মোটার বাইক চালক মোঃ মহসিন ভূঞা নিয়ন্ত্রন হাড়ীয়ে সরাসরি ট্রাকের সম্মুখ ভাগ বাদিকে অঘাৎ করলে ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ঠ হয়ে ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয়। ২য় আরোহী তুহিন কাজী ট্রাক ও রাস্তার বেরিক্যাডসহ জ্বালনী কাঠের গুরির সাথে ৩/৪ পল্টি বারি খেয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জ্ঞানহীন অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে এবং ৩য় আরোহী রিফাৎ হোসেন ট্রাকের সাথে বারি খেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তি খালে পড়েযায় বিধায় এখনো জানে বেচে আছে। বর্তমানে ট্রাকটি পুলিশের নজর দারীতে ঘটনা স্থলে পড়ে আছে এবং ট্রাক চালক মুছা মিয়া (৪০) নিজেকে নিরাপরাধী দাবীকরে বর্তমানে থানার কাষ্টডিতে অবস্থান করছে। পুলিশের সাথে যোগাযোগে জানা যায়- ঘটনাটি সম্পূর্ণ বেখায়ালী দূর্ঘটনা জনক অপমৃত্যু এবং সদর হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগে ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে পুলিশ নিশ্চিত করেন যে-৩জন আরোহি ভিকটিমরা সম্পূর্ণ নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হ্যালমেট বিহীন মোটর বাইকে ভ্রমন করছিল এবং তাহাদের কাহারো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে পুলিশ প্রশাসন যদিও থানায় একটি অপমৃত্যু রেকর্ড করেছে কিন্তু ও/সি দৃঢ়তার সাথে দাবী করেন ২/৩দিনের মধ্যেই ভিকটিমদের অভিভাবগকে সন্তানের উশৃঙ্খল জীবন যাপনের উপর আইনি ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদালতে হাজির করবেন।
Leave a Reply