চাটখিল উপজেলা ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত সঙ্করপুর গ্রামবাসি শ্রী সুমন চক্রবর্তির ছোট কন্যা কুমারী স্বপনা রাণী চক্রবর্তি (২০) মাইজদি সরকারী কলেজের ছাত্রী গত ১লা নভেম্বর সকালে নিজ কক্ষে তাহার মৃতদেহ পাওয়া যায়। সংবাদ প্রতিনিধি স্বপনার অভিভাবকের কাছে এই মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে তাহারা ঘটনাটি হত্যা কান্ডহিসাবে বিভিন্ন কারন ব্যক্ত করে। তাহারা দাবী করেন যে-এলাকার মুসলমান পরিবারের জামিল নামের এক বকাটে ও উশৃঙ্খল যুবক তাহাদের কুমারী কন্যা স্বপ্নাকে কলেজে বা বিভিন্ন স্থানে অশোভনীয় মানহানিকর আচরন ও বাজে প্রস্তাব দিত।
ফলে এইসব কারনে স্বপ্না যুবককে বহুবার ভদ্রচীত বুঝিয়েও কোন সুফল না পাওয়াতে বাধ্যহয়ে তাহার অভিভাবগ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সালিশ জানায় এবং যুবককে কঠোর ভাবে সাবধান করা হয়।কিন্তু জামিল এরপর থেকে আরো উশৃঙ্খল ও প্রতিশোধ পড়ায়ন হয়ে স্বপনাকে সুযোগ মোতাবেক ২/৩জন বন্ধুর সহযোগীতায় অপহরন ও পাষাবীক নির্যাতন চালায়।
এই ঘটনারপর স্বপ্না বিষয়টি অভিভাবকের কাছে লুকিয়ে রাখে এবং লজ্জা আত্ন-মানসম্মান ও অন্তর দহনে নিজেকে সম্পূর্ণ আড়াল করে সব সময় দুঃচিন্তাগ্রস্থ্য একাকিত্ব সময় কাটাতে থাকলে বিষয়টি অভিভাবকের দৃষ্টিতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায় পরিবারের চাপে স্বপ্না যৌন নির্যাতনের বিষয় জানালে অভিভাবগ মেয়ের সামাজীক মর্যাদা ও ভবিষ্যতের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে আইনি পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকেন।
কিন্তু কুমারী স্বপ্না সবার অজান্তে অন্তস্বত্বা হওয়ার কারনে পরিবারের মান ইজ্জ এর প্রতি গুরুত্বদিয়ে অবশেষে বিষ পানে আত্নহত্যা করে। সংবাদ প্রতিনিধি নোয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে ফরেনসীক বিভাগে ময়না তদন্তকারি ডাক্তারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে- কুমারী স্বপ্না আনুমানিক ৪ মাসের অন্তস্বত্বা ছিলেন এবং অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি সেবন করে আত্নহত্যা করেছে।
এই নির্মম আত্নহত্যা ও অকাল মৃত্যুর কারনে মৃত স্বপ্না রানীর পিতা বাদীহয়ে গত ২ নভেম্বর ২০২১ ইং চাটখিল থানায় জামিল আহমেদ নাহীদ (২৩), পিতা- দেলোয়ার হোসেন,সাং-খিলপাড়া বাসিন্দার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে আইন সংস্থা আসামীকে গ্রেফতার করতে দেশের সর্বত্র সন্ধান চলমান রেখেছে।
Leave a Reply