আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিঃ
চাদঁপুর কচুয়া উপজেলা পালাখাল ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রনাধীন সফিবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমানের কন্যা সুমিয়া আক্তার (১৮) আত্নহত্যার বিচারে রায় দীর্ঘ দিনপর গত ২৮শে মার্চ ২০২৩ইং চাদঁপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিজ্ঞ বিচারক, মোছা:জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী, জেলা ও দায়রা জজ রায় ঘোষীত করেন। এই মামলায় একই গ্রামের বাসিন্দা ৩জন অভিযুক্ত আসামীরা সম্পর্কে পিতা ও পূত্র পলাতক ১। শাহাপরান, পিং-মোঃসেকেন্দার,উপস্থিত ২। মোঃ সেকেন্দার,পিং-মৃত আদম আলী,পলাতক ৩। মোঃ নবিরগং ভিকটিম সুমিয়াকে আত্নহত্যার প্ররোচনার অপরাধে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে ২জনকে কঠোর সাজায় দন্ডীত ঘোষীত করেন। বিজ্ঞ বিচারক এই মামলায় ১১জন স্বাক্ষির স্বাক্ষর গ্রহনের মাধ্যমে মূখ্য পলাতক আসামী শাহ পরানকে ছলচাতুরীর মাধ্যমে ভিকটিম সুমাইয়াকে প্রেমের ফাদে আকৃষ্ট ও যৌনভোগ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতী ভঙ্গকরে অন্তস্বত্তা কুমারী নারীকে আত্নহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ১৪বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায় অতিরিক্ত ১ বৎসর সাজাভোগের আদেশ ঘোষীত করেন। উপস্থিত হাজতী ২য় অভিযুক্ত আসামী মোঃসেকেন্দার অপরাধীকে প্রশ্রয় ও সমর্থন করার অভিযোগে ১০ বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ডসহ ৩০হাজার টাকা জড়িমানা অনাদায় ৬মাস অতিরিক্ত সাজাভোগের রায় ঘোষীত করেন। পলাতক অভিযুক্ত আসামী ৩। মোঃ নবিরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়াতে তাহাকে বেকসুর খালাশ দেওয়া হয়েছে । এই মর্মান্তিক আত্নহত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানা যায় যে বাদী ও বিবাদী সম্পর্কে সহধর ভাই এবং উভয়ের সন্তানরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন। মূখ্য আসামী শাহপরানের সাথে চাচাতো বোন সুমিয়া আক্তারের হৃদ্যতা ও ভালোবসা গড়ে উঠে এবং উভয়ে গোপনে অবাদ মেলামেশা করাতে একপর্যায় কুমারী সুমিয়া অন্তস্বত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য সুমিয়া আসামী শাহ পরানকে বিবাহের চাপসৃষ্টি করলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায় এবং সুমিয়ার পরিবার আসামীর পিতাকে দ্রুত বিবাহর মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধানের প্রস্তাব জানালে তিনি পূত্রের অপরাধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিষয়টি অবজ্ঞা করেন। ফলে এইরুপ অমানবীক ও মানহানিকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অন্তস্বত্বা সুমিয়া কোন সমাধান না পেয়ে অবশেষে আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়ে গত ২০শে ডিসেম্বর ২০১৩ইং রাতে আত্নহত্যা করে। এই নির্মম আত্নহত্যার ঘটনাটি এলাকাবাসির কাছে চরম শোকের ছায়া ও চাঞ্চল্যকর উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি ঘটায় এবং মূখ্য আসামী ঘটনার দিন থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে আছে। বর্তমানে সাজা ঘোষীত ২য় আসামী অসুস্থতার কারনে জামিনে অবস্থান করছেন এবং পলাতক মূখ্য অপরাধীকে গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
Leave a Reply