আসাদুজ্জামান নুর
গত ২৮ইং নভেম্বর ২০১৯ইং সকালে কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর ইউনিয়নে দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা মােঃ রাজ্জাক হােসেন,রজব আলী,প্রতাব মন্ডলের ভুমি সম্পত্তি জোর দখল করার সময় ক্ষমতাশীল দলের ভুমি দস্যুদের সাথে ভয়াবহ সংঘাত ও দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত হয়। দাঙ্গা চলাকালিন পাশের জমিতে কর্মরত জসিম উদ্দিন(৫০)নামের এক কৃষক দূর্বৃত্তদের আক্রমনে ঘটনায় মৃত্যু বরন করে। এই নির্মম হত্যার বিরুদ্ধে এলাকার চেয়ারম্যানের ইশারায় প্রতিপক্ষ জমিনদারদের উপর দোষ চাপিয়ে ভিকটিম পরিবার সেই সন্ধায় থানায় ১৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ।প্রতিনিধি এলাকাবাসিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে-চেয়ারম্যানের ভুমি দস্যুদল দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রক্রিয়াতে ভুমি অফিসের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনৈতীক সহযােগীতায় সম্পত্তির ভুয়া ওয়ারীশান সাজিয়ে ও জাল দলিলপত্রর মাধ্যমে এলাকাবাসির ভুমি সম্পত্তি অন্যের কাছে বিক্রি এবং জোরদখল চালিয় আসছে। ঘটনা প্রসঙ্গে আরও জানাযায় যে, ওয়াজেদ,শাহাদাত ও মাসুদ মিয়া সরকারী দলীয় নেতাকর্মিরা সূত্রাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ডানহাত দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় নিরিহ পরিবার ও সংখ্যা লঘুদের ভুমি সম্পত্তি জোরদখল ইত্যাদি গুরুতর অপরাধ চালিয়ে আসছে,এমনকি তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযােগ জানালে আইন প্রশাসন সম্পূর্ন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানাযায় যে, চেয়ারম্যানের উস্কানিতে শাহাদাত,ওয়াজেদ ও মাসুদ ৪/৫ বৎসর পূর্বে বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে দড়িয়াপুর মৌজায় রাস্তা সংলগ্ন ১৪০ডিসিম কৃষি জমি জোরদবস্থ ক্রয়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় কিন্তু জমির মালিকরা বিক্রি না করাতে মারামারি দাঙ্গা ও মামলা দায়ের হয়। যাহারপর ভুমি দস্যুরা ভুমি অফিসের দূর্নীতির মাধ্যমে নতুন পদ্ধতিতে সম্পত্তির ভুয়া ওয়ারীশ ও জাল দলিলপত্র তৈরী করে উক্ত সকাল ৭.৩/৮ ঘটিকায় জমি জোরদখল চেষ্টা চালালে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা সৃষ্টি হয় এবং উভয় পক্ষে ৮/৯জন গুরুতর আহতসহ জসিম উদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাতে ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরন করে। প্রতিনিধি থানায় যােগাযােগে জানতে পারেন যে-উক্ত সম্পত্তি নিয়ে উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন চরম বিরােধ চলমান এবং উভয় পক্ষের দলিলপত্র যাচাইয়ে চেয়ারম্যানের দলের দলিলপত্রসহ সড়ক জনপথ উন্নয়ন পরিকল্পনা নক্সা মােতাবেক উক্ত সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিয়মান হয়। থানার ও/সি কে হত্যার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি উভয় পক্ষের দাঙ্গার নির্মম প্রতিফল হিসাবে চিহ্নিত করেন তবে ময়না তদন্তে যদিও মৃত্যু গুরুতর আঘাতের কারন উল্লেখ আছে কিন্তু আই/ওর তদন্তে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত ঘাটিত হবে বলে নিশ্চিত করেন । তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রাথমিকভাবে বাদীর এজাহার মােতাবেক ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করেন যথা ১। মােঃ রাজ্জাক হােসেন, ২। মােঃ সাগর হােসেন,৩। মােঃ ইয়াছিন হােসেন, পিং-মােঃ লাল মিয়া(৩জন সহধর ভাই),৪।প্রতাব মন্ডল,পিং-মৃত উত্তম মন্ডল, ৫।অশােক মন্ডল,পিং-প্রতাব মন্ডল,৬।মােঃ কবির হােসেন,৭। মােঃরকিব হােসেন,পিং-মােঃ সাগর হােসেন (সহধর ভাই),৮ মােঃনাহিদ হােসেন,পিং-মােঃ রজ্জাক হােসেন, ৯। রজব আলী,পিং-মৃত হাতেম আলী, ১০। শামিম আলী,পিং-রজব আলী,১১। নিজাম উদ্দিন,পিং-বরকত উল্লাহ,১৩। গােলাম মস্তফা,পিং-আবুল কাসেম,১৪।আশিক মিয়া,পিং-মৃত সবুর মিয়া। আসামীদের পরিবার ও এলাকাবাসির মাধ্যমে জানা যায় যে-এই হত্যাকান্ড দূর্ঘটনা জনক ও দায়ভার সম্পূর্ণ ভুমি দস্যুদের উপর প্রযােজ্য কিন্তু মামলায় মােট ১৪জন আসামীর মধ্যে ৪জন আসামী বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত সমস্যায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন প্রবাসে আত্নগােপনে আছে এবং ১ম আসামী গুরুতর অসুস্থ্য মােঃ রাজ্জাক হােসেন ব্যতীত বাকি ৯জন আসামী সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের গ্রেফতার/নির্যাতন থেকে বাচতে পলাতক আছে। অনুসন্ধানে জানা যায় যে-গাজীপুর সদর ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা সমুহ শিল্প নগরী ঘােষীত হওয়ার পর থেকে একশ্রেনীর দূর্বৃত্তরা ক্ষমতাশীল রাজনৈতীক নেতাদের ক্ষমতার প্রভাবে এবং কিছু অসৎ ভূমি কর্মকর্তা ও আইন প্রশাসনের অনৈতীক সহযােগীতায় প্রতিনিয়ত এই রুপ ভুমি দস্যুতা চালিয়ে আসছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তনাধীন চলমান আছে।
Leave a Reply