আজ বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের ৭৮তম বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন করোনার কারণে আটকে থাকা লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচন জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে পারে।লকডাউন চলার কারণে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ২৪ মে নির্বাচনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে এসব তারিখ ঠিক করা হবে।নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হবে চারটি সংসদীয় আসনে তবে এই চার আসনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসনটি হচ্ছে ঢাকা – ১৪ আসন।
ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসলামুল হক আসলাম গত ৪ এপ্রিল মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। আসলামুল হকের মৃত্যর পর থেকে আসন টি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাবার জন্য নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাপ, প্রচার, প্রচারণা শুরু হয়ে গেছেছিলো ।আওয়ামী লীগের সাবেক-বর্তমান এমপিসহ অনেকেই এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নীতিনির্ধারণী নেতাদের কাছে তদবিরের পাশাপাশি জনসমর্থন আদায়ের জন্য নানামুখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছেন মনোয়ন প্রত্যাশিরা।
তুহিন উপ-নির্বাচন সম্পর্কে বলেন , সংরক্ষিত আসনের এমপি থাকাকালে তিনি এই আসনে ‘ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ’ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি গেছেন। এ কারণে তার একটি ‘স্বচ্ছ ইমেজ’ রয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন দিচ্ছেন।তাছাড়া গত সংসদ নির্বাচনে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী। এবার তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এবং আশা করছেন দল তাকে মনোনয়ন দেবে।
এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা–কর্মী জানিয়েছেন তাদেরও পছন্দ ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন।আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সবর তুহিনের সমর্থকরা তারা নিয়োমিত তাকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করছেন এবং তাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন।এই আসনে ক্ষমতাসীন দলের অনেক বাঘা বাঘা নেতা মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন এবং নৌকার মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
তারা হলেন:- সাবেক সাংসদ আসলামের স্ত্রী মাকসুদা হক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আগা খান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হানিফ। এ ছাড়া এই আসনে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা কিংবা শীর্ষ পর্যায়ের একজন ব্যবসায়ী নেতারও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৪ আসন রাজধানীর শাহ আলী ও দারুসসালাম থানা, মিরপুরের অর্ধেক, রূপনগরের আংশিক, সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড এই আসনের আওতাধীন।২০০৮ সালের নির্বাচনে আসলামুল হক আসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিএনপি প্রার্থী এসএ খালেককে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হন।সরকারী দলের স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মিদেও সাথে আলাপ করে জানা গেছে এলাকার উন্নয়নে মানুষের কল্যানে স্থানীয় কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এলাকাবাসী খুশি হবেন।
Leave a Reply