আসাদুজ্জামান
সিরাজগঞ্জ থেকে আমাদের প্রতিনিধি প্রেরীত সংবাদ- মামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষ উল্লেখ্য যে-বিগত তত্বাবধায়ক সরকার ২২/০৯/০৭ইং সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের উপর সেনাবাহিনীর বর্বরচীত হামলা কেন্দ্রীক ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টি সারা বিশ্বাবাসির কাছে চীর স্বরনীয় ঘটনা হিসাবে পরিচিত। এই ববর্রচীত অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি সারাদেশে আইন শৃংখলার উপড় চরম উশৃঙ্খলা প্রভাব বিস্তার ও কঠোর সমালোচনার সৃষ্টি ঘটায় এবং অগনিত ছাত্র ও রাজনৈতীক দলভুক্ত ছাত্র সংগঠনের সদস্য ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা এই বর্বর হামলা/মামলায় জড়িয়ে জেল হাজতবাস করেছিল। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় যে-সেই মান্দাত্তা আমলের মামলার খেশারত এখনো দেশের বিভিন্ন জেলায় বিরোধী দলের তৎকালিন ছাত্র নেতাকর্মীদের ভোগ করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য যে-আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা লাভেরপর স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয় বিশেষ নিদের্শনায় ঐ ঘটনায় জড়িত সকল আসামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা গুলী বিশেষ বিবেচনায় ২০১২ইং সালের মধ্যে সাধারন ক্ষমাধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তাহার প্রতিফল সম্পূর্ন ভিন্নতা প্রতিফলীত হচ্ছে, বিধায় আমাদের প্রতিনিধির অনুসন্ধানে প্রতিয়মান হয়েছে যে-চলমান সংকটময় রাজনৈতীক প্রতিহিংসা প্রেক্ষাপটে তৎকালিন মামলার সাথে সম্পৃত্ব বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকর্মিদের বিষয় স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রনালয় কোন গুরুত্বপাত বা বিবেচনা না করে অভিযোগ গুলী গতানুগতীক চলমান রেখেছেন। এমনকি সরকার বাদী মামলা গুলী সময় সুযোগ মোতাবেক আইনি মারপেচে গোপনে বিচারীক কার্যক্রম চালিয়ে সরকারী অনৈতীক বিবেচনায় বিজ্ঞ আইন আদালতে ন্যায় বিচার পরিপন্থী ধারাবাহিকতা এখনো চলমান আছে। যাহার সুত্র অনুসারে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অনুসন্ধানে জানাযায় যে-বিগত তত্বাবধায়ক সরকার আমলে সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-৪৭/৪২৩,তাং-২৪.০৮.২০০৭ইং এর অভিযুক্ত ৮জন আসামী তৎকালিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হিসাবে পরিচিত ও জেল হাজত ভোগ করেছিল। কিন্তু সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এজলাশ নং-২এর বিজ্ঞ বিচারক অতিরিক্ত দায়রা জজ জনাব -মোঃ খাদেমুল কায়েস গত ২৮/১০/২০১৯ইং উক্ত মামলার অভিযুক্ত মোট ৮জন পলাতক আসামীকে জনপ্রতি ১০বৎস সশ্রম কাড়াদন্ডসহ ১৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৩মাস সাজায় দন্ডিত ঘোষীত করেন।সাজাঘোষীত আসামীদের নাম পরিচিতি ১।মুকছেদ হাসান,পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান,সাং-হোসেনপুর,পোষ্ট-থানা-সদর,সিরাজগঞ্জ,২।জামিল খন্দকার,পিতা-মৃত আজাদ খন্দকার,সাং-ইষ্টেশন রোড,ঐ,৩।মাসুদ পারভেজ, পিতা-আমজাদ হোসেন,সাং-দর্গাহ রোড,ঐ,৪। হুমায়ুন কবির রানা,পিতা-আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং-দিয়ারধন গড়া, ঐ, ৫। মোঃ মাসুদ,পিতা-হাজী কামাল উদ্দিন,সাং-ফেরীঘাট রোড-ঐ,৬। শেখ মইনুল কিরন, পিতা-শেখ আব্দুল মজিদ,সাং-দোয়াত বাড়ী-ঐ,৭।মোঃ কামরুল চৌধুরী,পিতা-মোঃ আজম চৌধুরী,সাং-ঐ,৮। ইমাম মেহেদী,পিতা-লোকমান মেহেদী,সাং-রায়পুর বাজার,ষ্টেসন রোড-ঐ। সংবাদ প্রতিনিধি আসামী পরিবার ও প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-আসামীরা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ও জামায়েতসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ সরকার তাহাদের পক্ষে সাধারন ক্ষমার আবেদন গ্রায্য করেন নাই। কিন্তু আওয়ামীলীগ সর্মর্থীত মামলায় জড়িত গুরুতর অপরাধী নেতাকর্মিদের সাধারন ক্ষমার অধীনে ২০১০ইং সালে মুক্তি দেওয়া হয়। উপরন্ত চলমান দীর্ঘ অস্থিতিশীল রাজনৈতীক পরিস্থিতিতে উক্ত ৮জন আসামীদের বিরুদ্ধে অসংখ ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে এলাকা ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করাহয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিধি থানা ও আদালতে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-আইন প্রশাসন রাষ্ট্রীয় সংবিধান বর্হিভত কোন কার্যকলাপে পক্ষপাতিত্ত করেন নাই এবং ন্যায় পড়ায়ন পন্থায় সবকিছু চলমান আছে।
Leave a Reply