আমাদের প্রতিনিধি প্রেরিত সংবাদঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রজাতপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দুদু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ-হাফিজা বেগম বয়স ২৫ বৎসর গত ১লা নভেম্বর ২০২০ইং সকালে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাসঁ নিয়ে আত্নহত্যা করেন।গৃহবধুর আত্নহত্যা ঘটনাটি এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা ও প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। প্রতিনিধি আত্নহত্যা রহস্য জানার জন্য এলাকাবাসি ও নবীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করলে লাশের পরিদর্শক এস.আই.নাজিম উদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টিকে সন্দেহাতীত আক্ষায়িত করেন। থানার ও/সি আরো ব্যক্ত করেন যে-হাফিজার আত্নহত্যা সার্বিক পরিস্থিতি ও জব্দকৃত আলামতসহ এলাকাবাসীর বয়ানে যৌতুকের বোলী হিসাবে সন্দেহর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।ফলে মৃত হাফিজার পিতা মোঃ শমসের উদ্দিন এই আত্নহত্যা কে পরিকল্পীত হত্যাকান্ড দাবী করে কন্যার দ্বেবর মুস্তাকিম মিয়া(২৬)শাশুড়ী কমলা বিবি (৫৫)ও মেয়ের জামাই মোঃদুদু মিয়া(৩৩)গনকে আসামী মানিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এলাকার কিছু নিকটতম প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-বাদী মোঃশমসের উদ্দিন সম্পর্কে জামাই মোঃ দুদু মিয়ার ছোট চাচা এবং উভয় পরিবারে সম্মতি ক্রমে নভেম্বর ২০১৮ইং সালে সামাজীকতার মাধ্যমে সুষ্ঠ বিবাহ সম্পাদন হয়।কিন্তু দুদু মিয়া ব্যবসায়িক কাজে প্রায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থানের কারনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিয়ত ভুল বোঝাবুঝি ও ঝগড়া ঝাটি ইত্যাদি হওয়ার কারনে হাফিজা আত্নদহনে একপর্যায় আত্নহত্যার পথ বেছে নেয়।দুদু মিয়ার পরিবারে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-বিবাহের পূর্ব থেকে স্ত্রী হাফিজা অত্যন্ত উশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভস্থ্য ছিল এবং স্বামী পেশাগত কাজে এলাকার বাহিরে অবস্থান কালে স্ত্রী সেই সুযোগে পূর্বের উশৃঙ্খল অনৈতীক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পরে। এলাকায় বদনামের জন্য প্রতিনিয়ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি ইত্যাদি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টির হলে দুদু মিয়া বাধ্যহয়ে দূরত্ব অবস্থান ও দীর্ঘদিন স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।কিন্তু অক্টোবরে শেষের দিকে হঠাৎ স্ত্রী হাফিজা গর্ভবতি হওয়ার বিষয়টি দুদুর মিয়ার পরিবারে চরম সন্দেহ ও উদ্বেগ সৃষ্টি ঘটালে হাফিজার পিতাকে বিষয়টি জানানো হয়।তিনি পরদিন এবিষয় সমাধানের জন্য মেয়ের শশুরালয় উপস্থিত হলে হাফিজাকে তাহার কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রত নিকটবর্তি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূ হাফিজাকে মৃত ঘোষনা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে আত্নহত্যা জনিত মৃত্যু সনদ ইসু করেন।ঘটনাটি আইন সংস্থাকে অবগত করলে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহামাড়ী করোনা ও ময়না তদন্তের জটিলতার কারনে সঠিক তথ্য প্রদানে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে অবগত করেন।উপরন্ত মৃত হাফিজার পিতা-মাতা দৃঢ়তার সাথে দাবী করেন যে-তাহাদের কন্যা অত্যন্ত নিরিহ ও সহজ সরল প্রকৃতির মেয়ে এবং কন্যা হাফিজা স্বামী দুদু মিয়ার সন্তান গর্ভে ধারন করেছিল। কিন্তু দূদু মিয়ার অভিভাবগ অত্যন্ত অর্থ লোভী অসৎ বিধায় তাহারা কন্যা হাফিজার পৈতৃক সম্পত্তি দুদু মিয়ার নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।কিন্তু কন্যা তাহাদের অসৎ ও অনৈতীক আবদার প্রত্যাখান করাতে একপর্যায় লোভী স্বামী,শাশুড়ী ও দ্বেবড় ষড়যন্ত্রকৃত গৃহ বধু হাফিজাকে শ্বাসরুদ্ধ হত্যার মাধ্যমে লাশ সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্নহত্যা হিসাবে সমাজে অপপ্রচারনা করছে। বর্তমানে অভিযোগটি সুক্ষ তদন্ত চলমান আছে এবং শাশুড়ীকে পুলিশ থানার হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু দুদু মিয়া ও ছোট ভাই মুস্তাকিম মিয়া আইনের দৃষ্টিতে পলাতক আছে এবং পুলিশ তাহাদের সন্ধানে সর্বত্র স্বক্রিয়।
Leave a Reply