রাজীব হোসেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে প্রেরীত সংবাদঃ গত ২৭শে জুন ২০২০ইং সাহেবনগর বাজারে আধিপত্ত নিয়ে দুই বংশের ভয়াবহ মারামারি ও দাঙ্গায় মৃত হানিফ মিয়ার হত্যাকান্ডে জড়িত ১১জন আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই, গোবিন্দ বিশ্বাস গতকাল ৮ই এপ্রিল ২০২১ইং বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সংবাদ প্রতিনিধি থানা ও আদালতে অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয় যে-এই হত্যাকান্ডটি মূলত উৎপত্তি সাহেবনগর ও নাছিরাবাদ গ্রামের ২টি বংশীয় পরমপরা কেন্দ্রীক ক্রন্দল ও স্থানিয় বাজার পরিচালনা কমিটির আধিপত্ব বিস্তার নিয়ে চরম জটিলতা থেকে ভয়াবহ সংঘাত সৃষ্টি হয়। যাহার ফলাফল স্বরুপ হুসেন বংশ ও সাহেব বংশের পরিবারের মধ্যে প্রতিহিংশার বসভুত হয়ে এক অপরকে ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। যাহারপর মৃত ভিকটিম হানিফ পরিবার নাছিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মোখলেছ রহমানের মৎস খামারে বিষ প্রয়োগ করে অপুরনিয় ক্ষতিসাধন করে। উপরন্ত বাজার কমিটির প্রভাব কেন্দ্রীক দীর্ঘদিনের শত্রুতার প্রেক্ষাপটে ২টি পরিবারের মধ্যে ভয়াবহ মারামারি দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত হলে প্রতিপক্ষ মোখলেছ সমর্থীত লোকজন ও ভিকটিম হানিফ মিয়াসহ ৮জন স্থানিয় বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। কিন্তু ছতু মিয়ার বড় পূত্র গুরুতর আহত হানিফ মিয়া (৩৭) চিকিৎসারত সেই দুপুরে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় যে-তখন দেশে মহামাড়ী করোনার কারনে আইন প্রশাসন এই হত্যার বিষয় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন নাই তবে পরবর্তিতে ভিকটিমের স্ত্রী বিধবা রেহানা সুলতানা বাদী গত ১৩/০৭/২০ইং থানায় মোট ১১জনকে আসামী চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করেন যাহারপর দীর্ঘ তদন্তর পর নবীনগর থানার আই/ও এস.আই. শ্রী গোবিন্দ বিশ্বাস সন্দেহাতীত আসামী ১। মোখলেছ রহমান (৬৫), পিং- মৃতন আলী, ২। রুবেল মিয়া (৩২), পিং-মোখলেস রহমান, ৩। হুকন মিয়া (৬০), পিং-মৃত জলিল মিয়া, ৪। মুকারম মিয়া (৩০),৫। শাহিন মিয়া (২৭), উভয়ের পিং-হুকন মিয়া, ৬।বাছির মিয়া (৫২), পিং-মৃত সুরুজ মিয়া,৭। জুয়েল মিয়া (২২), পিং-বাছির মিয়া, ৮। মুক্তার মিয়া (৪৫), পিং-মৃত আমাজাদ মিয়া, ৯। সুমন মিয়া (২০), পিং-মুক্তার মিয়া, ১০। মনির মিয়া (৩৫), পিং-জামাল মিয়া, ১১। জিলানী মিয়া (২৭), পিং-মঞ্জু মিয়াগন সকলে নবীনগর থানা নিয়ন্ত্রনাধীন নাছিরাবাদ ও সাহেবনগর গ্রামের স্থায়ি বাসিন্দাকে স্বাক্ষি প্রমানে হত্যাকারি অপরাধী চিহ্নিত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্তকৃত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এই মামলায় মোট ১১জন আসামীর মধ্যে পলাতক ২। রুবেল মিয়া, ৪। মুকারম মিয়া, ৫। শাহিন মিয়া, ১০।মনির মিয়া গং অপরাধ সংঘঠিত করার দিন থেকে আজ অব্দি পলাতক আছে। প্রতিনিধি আসামী পরিবারদের হত্যার বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-এই হত্যার প্রকৃত আসামীরা মামলার বাদীর সমর্থক স্বাক্ষিগন। কিন্তু তাহারা সকলে সরকার দলীয় সমর্থক ও নেতাকর্মি হওয়ার কারনে ষড়যন্ত্র মূলক নিরিহদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ও অভিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আইন সংস্থা পলাতকদের গ্রেফতার করতে ওয়ারেন্ট নিয়ে সর্বত্র সন্ধানরত আছে।
Leave a Reply