সাইমন ইসলামঃ
গত ২৫ নভেম্বর ২০১৩ইং সাল নির্বাচন কমিশন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতীয়ার বিরােধী আন্দোলন চলাকালিন নরসিংদী সদর এলাকায় সরকারী বাহিনী ও বিরােধী ২০দলীয় জোটের মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা ও অগ্নি দগ্ধ হত্যা অপরাধ সংঘােঠিত হয় ।এই নাশকতায় মামলা বিচারের রায় বিজ্ঞ বিশেষ দায়রা জজ আদালত,এজলাশ নং-৩,অতিরিক্ত দায়রা জজ নাইবুর রহমান জোয়াদ্দার নরসিংদী গত ৫ইং নভেম্বর২০১৯ইং মােট ২৩জন আসামীকে অপরাধী সাব্যস্থ্য করে কঠোর সাজা ও অর্থদন্ড ঘােষীত করেন।উল্লেখ্য-বিএনপি,জামায়েত ২০দলীয় জোটের উস্কানিতে উক্ত রাতে সারাদেশে গন-আন্দোলনে অবরােধ,হর্তাল,নাশকতা ইত্যাদি ভয়াবহ নৈরাজ্য চলাকালিন কর্তব্যরত পুলিশ কন্সটেবল সুজন মল্লিকসহ ২জন বাস যাত্রি সবির উদ্দিনও রেহানা খাতুন।
পেট্রোল বােমা বিস্ফোরনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসারত পরদিন মৃত্যুবরন করে। এই মামলায় চিহ্নিত ২৩জন দূবৃত্বরা উক্ত সন্ধায় আরও অজ্ঞাত আসামীদের সমন্বয় এইরুপ গুরুতর অপরাধ সংঘঠিত করে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের বয়ানের উপর পরদিন রাষ্ট্রপক্ষ সদর মডেল থানায় মােট ২৩জনের নাম ঠিকানা উদ্যাটন করে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য যে বিচার চলাকালিন অভিযুক্ত আসামীরা জামিন আইন লঙ্ঘন করে পলাতক থাকায় বিজ্ঞ বিচারক স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে তাহাদের দোষী সাব্যস্থ করে প্রতিজনকে মােট ১৪বৎসর সশ্রম কাড়াদন্ডসহ ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬মাস শুধু কাড়াভােগের সাজা ঘােষীত করেন।
সাজাঘােষীত ২৩জন পলাতক আসামীরা হল ১। শহিদুল হাসান,পিং-খায়েরুল ইসলাম।২।সাইফ আলম, পিং-মৃত মুজাফফর,৩। নিজাম উদ্দিন,পিং-নূর নবী,৪। মােঃ কায়েস, পিং-মৃত আবু বক্কর ,৫। সবুজ হাওলাদার ,পিং-মিজান হাওলাদার,৬। রাইসল ইসলাম,পিং-আব্দুল হালিম,৭। মােঃজাকির,পিংআব্দুল কাদের,৮। মােঃ আরমান,পিং-মােঃ মইনুল হক,৯। ফরহাদ উদ্দিন,পিং-মােঃ আসলাম,১০। রাশেদ মল্লিক,পিং-নাজির মল্লিক,১১। মানিক মল্লিক,পিং-ঐ(সহধর ভাই)১২। মােঃ মাসকুর মিয়া পিং-মৃত মােঃ লােকমা মিয়া ,১৩।মােঃ মকবুল মিয়া ,পিং-মােঃ মাসকুর মিয়া ,১৪। মামুন মিয়া ,পিং-ঐ(সম্পর্কে পিতা পুত্ররা) ,১৫।লােকমান আলী,পিং-মৃত মাজীদ মিয়া,১৬।নূর উদ্দিন,পিং-নূর নবী,১৭।ফারুক সিদ্দিকি,পিং-বরকত উল্লাহ,১৮।রাজিব হায়াত,পিং-সুলতান হায়াত,১৯।মােঃআদনান,পিং-প্রফেসর মােঃলুল্কর,২০। শাকিল হাসান,পিং-গােলাম মােস্তফা,২১আরিফুল লিমন,পিং-মােবারক হােসেন,২২।মােঃইকবাল শরিফ, পিংমােঃ খসরু আহমেদ,২৩। মাইনুল হক,পিং-মৃত হারুনার রশিদগন সকলে সদর মডেল থানা নিয়ন্ত্রনাধী বাসিন্দা।
আমাদের প্রতিনিধি আরও জানায় যে-এই মামলায় সাজা ঘােষীত অধিকাংশ পলাতক আসামীরা রাষ্ট্র বাদীর সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রের শিকার এবং এই ধরনের অপরাধের সাথে আসামীদের কোন সম্পৃত্বতা প্রমানিত হয় নাই ।কিন্তু যেহেতু তাহারা বিএনপি ও জামায়েত রাজনীতিতে জড়িত সেই কারনে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র বাদী মামলায় ষড়যন্ত্রকৃত অভিযােগ তৈরীকরে তাহাদের অনুপস্থিতিতে একতরফা দোষী সাবস্থ্য করেছে বলে সুবাকাঙ্খি ও আত্নিয়সজন দাবী করছে। আরও জানাযায় যে-রাষ্ট্র পক্ষ রাজনৈতীক প্রতিহিংশার কারনে আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত করাতে তাহারা জীবনের নিরাপত্তা জনিত কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্নগােপনে আছে। যাহার ফলে এলাকাবাসি ও পরিবারের সদস্যরা ধারনা করছেন যে-সরকারী ষড়যন্ত্রে আইন সংস্থা র্যাব/পুলিশ হয়তােবা নাটক সাজানাে অস্ত্র/মাদকদ্রব্য উদ্ধারের নামে পলাতকদের ধরতে পারলে নির্ঘাৎ ক্রসফায়ারে গুপ্ত হত্যা ও লাশ গুম করতে পারে। বর্তমানে সকল পলাতক আসামীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া জারি আছে এবং আইন সংস্থা সাজা পরােয়ানা নিয়ে সর্বত্র সন্ধানরত।
Leave a Reply