আব্দুর রাজ্জাক ক্রিকেট ছেড়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি।ব্যাট-প্যাড-বল উঠিয়ে রেখে এখন নির্বাচকের ভূমিকায়। মাঠ ও খেলোয়াড়দের প্রতি বাড়তি টান এখনও রয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের। তাইতো নিউ জিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজে ভরাডুবির পরও দলের পাশে জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের এ সদস্য। শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমে জাতীয় দলের ওয়ানডে পারফরম্যান্সের সাফাই গাইলেন। সঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, নিউ জিল্যান্ড সফরের পারফরম্যান্স দিয়ে দেশের ক্রিকেটের মূল্যায়ন চান না।
নিউ জিল্যান্ডে তিন ওয়ানডের দুটিতেই বাজেভাবে হার বাংলাদেশের। ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ১৩১ রান অল আউটের পর অতিথিরা ম্যাচ হারে ৮ উইকেটে। তৃতীয় ওয়ানডেতে ডানেডিনে ৩১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ অল আউট ১৫৪ রানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্রাইসস্টচার্চে বাংলাদেশ লড়াই করলেও বাজে ফিল্ডিংয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয়। যে ফরম্যাটে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করে সেখানে একেবারেই বাজে অবস্থা।
নিউ জিল্যান্ড সফরের দল বাছাইয়ে খুব একটা ইনপুট দিতে পারেননি রাজ্জাক। দল ঘোষণার কিছুদিন আগেই পান নির্বাচকের দায়িত্ব। ওয়ানডে সিরিজে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ রাজ্জাকও। তবে খেলোয়াড়দের পাশেই থাকলেন সদ্যই অবসরে যাওয়া বাঁহাতি স্পিনার।
তিনি বলেন, ‘হতাশ তো হবোই। যারা ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত বা দেশের যে মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে বাংলাদেশ দল খারাপ করলে সবার খারাপ লাগে। তবে আপনাকে ইতিবাচক দিকগুলোও দেখতে হবে। যেমন বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ভালো করেছে, বোলিংটাও মোটামুটি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিকল্পনার প্রয়োগটা যথাযথভাবে হয়নি। এজন্যে হয়তো এমন হয়েছে।’
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে ম্যাচ জেতা কঠিন। আমি খেলেছি, আমি পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। ভারত এমনি সময়ে খেলছে বিশ্বের সেরা দল হিসেবে, কিন্তু যখন নিউ জিল্যান্ডে যাচ্ছে তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ভারত। তাই এটাকে মানদণ্ডে দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই আমাদের কাছে। এটা দেখে আমাদের দেশের ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা বিচার করা ঠিক হবে না।‘– যোগ করেন রাজ্জাক।
Leave a Reply