ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ১০নং ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়ােগে চরম অনিয়ম, দূর্নীতি, জাল-জালিয়াতি ও মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন করে অবৈধ অসাংবিধানিক পন্থায় নিয়ােগের অভিযােগ উঠেছে। নিকাহ্ রেজিস্ট্রার নিয়ােগ প্যানেল বাের্ডে একাধিকবার প্রথম স্থান অধিকার করা এবং এলাকার বাসিন্দা ও ভােটারকে নিয়ােগ না দিয়ে ঢাকা জেলার বাহিরের বাসিন্দা ও ভােটার নাজমুল হক নামক ব্যক্তিকে নিয়ােগপ্রাপ্ত করা হয় বলে অভিযােগ করেছেন রাফিকুল ইসলাম নামে এক ভূক্তভােগী।
নিয়ােগ প্রাপ্ত ব্যক্তি আবেদনে ছিল না, প্যানেলে ছিলেন না সে বিদেশ (বাহরাইন) থাকাবস্থায় নিয়ােগ প্রাপ্ত হয়। নাজমুল বাড়ীর মালিক বলে যে ঠিকানা ব্যবহার করে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়ােগপ্রাপ্ত হয় একই ঠিকানায় ভাড়াটিয়া হিসেবে চুক্তি পত্র দেখায়, পুলিশ তদন্তে সম্পূর্ন তথ্য মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানােয়াট বলে প্রমাণিত ও হয়।
নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়ােগ বাের্ডের মহােদয়গনের মতামতকে উপেক্ষা করে এবং যিনি আবেদনে ও প্যানেলে ছিলেন না এবং সে এলাকার বাসিন্দা, ভােটার নয়, অবৈধ অসাংবিধানিক পন্থায় নিয়ােগ প্রাপ্ত হওয়ায়, স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা লিখিতভাবে মন্ত্রনালয়কে অবহিত করেন যে, জাল-জালিয়াতি করে নিয়ােগপ্রাপ্ত নাজমুল হক নামক ব্যক্তির নিয়ােগ পত্র বাতিলপূর্বক তদস্থলে প্যানেলে একধিকবার প্রথম স্থান অধিকার করা এবং ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভােটার রফিকুল ইসলামকে নিয়ােগের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরােধ করেন।
ব্যবহৃত ঠিকানার প্রকৃত মালিক, ১০নং ওয়ার্ডের কমিশনার ও সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কমিশনার পৃথক পৃথকভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন যে নিয়ােগ প্রাপ্ত ব্যক্তি ১০নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভােটার নহে। জাল-জালিয়াতি করে নিয়ােগ হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে বিনীত অনুরােধ করেন।
পরবর্তীতে ঐ চক্রের সদস্যরা একে একে ৫টি মামলা দায়ের করেন। যার প্রত্যেকটি মামলা মহামান্য আদালত খারিজ করে রফিকুলের অনুকূলে রায় দেন।রীট পিটিশন ৭৫/২০ মহামান্য আদালতের স্বরনাপন্ন হলে তাহার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরােপ করেন। ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কুচক্রী মহল আদালতের রায় অমান্য করে তার কর্যক্রম বহাল রাখে। এ ব্যাপারে দৈনিক ইত্তেফাক, যুগান্তর ও চ্যানেল আই ও ৮টি পত্র-পত্রিকায় কয়েকটি ইউটিউব সােস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার অবৈধ পন্থায় নিয়ােগ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে লিখিতভাবে ডাকলে সে ১১ দিন পর্যন্ত কালক্ষেপন করে অফিস বন্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় খুঁজেও পায় নাই । সে আত্বগােপন হয়ে অন্য লােক দিয়ে তাহার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
৭৫/২০, ৭১৩০/২০ রীট পিটিশনার রফিকুল ইসলামকে আদালত রুলের আদেশ দেন, কিন্তু বিবাদী নাজমুল গােপনে নিজেই মামলাটিকে বিনষ্ট করতে পিটিশনার সেজে প্রকৃত রিট পিটিশনার ও তাহার বিজ্ঞ আইনজীবীকে না জানিয়ে গত ২৪/০১/২০১২ইং তারিখে কোর্টের লিষ্টে নিয়ে আসেন এবং ৩০/০১/২০২২ইং তারিখে মামলাটি ডিডি হয় (বাতিল হয়) পরবর্তীতে প্রকৃত রীট পিটিশনারের বিজ্ঞ আইনজীবী আদালতে বিষয়টি অবগত করলে মামলাটি সচল হয়। ৭১৩০/২০ মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় তাহার কার্যক্রম অব্যাহত খাকে।
ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের কুচক্রী মহলের কর্মকান্ড : মানছেনা মহামান্য আদালত, মন্ত্রনালয়, মন্ত্রী ও এমপি মহােদয়গনের ন্যায়সঙ্গত কোন সুপারিশ । শুধু মানছে টাউট , দালান ও ভূয়া কাজীদের দিক নির্দেশনা
মােটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ অসাংবিধানিক কাজ বৈধ হয়ে যায় এছাড়া বিদেশ থাকিয়াও নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ১০নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়ােগে দৃষ্টান্তমূলক প্রমাণ পাওয়া যায় এ নিয়ােগে যথেষ্ট দূর্নীতি, অনিয়ম, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
নিকাহ্ রেজিঃ পদ শূন্য ঘােষণা
২০১৭ সালে নিকাহ্ রেজিঅধিক্ষেত্রটি শূন্য ঘােষনা হয়।
মন্ত্রনালয়ের আদেশ অমান্য এবং একাধিক প্যানেল ও করা হয়
প্রথম প্যানেলঃ
মন্ত্রনালয় বিগত ১৫/০৫/২০১৮ইং তারিখে স্মারক নং ৭/2এন-০১/৯৭,৩২১ । ডিয়ারকে ১৫ দিনের মধ্যে প্যানেল করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানাের নির্দেশ দেন, কিন্তু মন্ত্রনালয়ের আদেশ লঙ্ন করে তিন বছরে কুচক্রী মহল ইচ্ছামত দুটি প্যানেল করে, প্রথম প্যানেল হয় ০৮/০৭/২০১৯ইং তারিখে ( ১বছর ১০দিন পর) এই প্যানেলে আমি প্রথম হওয়ায় নিয়ােগ পাইয়ে দিতে নানা অযুহাতে বিভিন্ন ধাপে ১৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়, ২য় প্যানেল হয় ২২/১২/২০১৯ইং তারিখে এই প্যানেলেও আমি প্রথম হই।
মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলাঃ
চক্রের সদস্যরা একে একে পাঁচটি মামলা দায়ের করে, প্রত্যেকটি মামলা মহামান্য আদালত খারিজ করে রফিকুলের অনুকুলে রায় দেন। আদালতের রায় কুচক্রী মহলের কাছে গ্রহনযােগ্য নয়, তাই সে চক্রের সাথে সমঝোতা করে মামলা উইডো করতে বলেন, পরবর্তীতে তাহাই করা হল। তারপরও প্যানেল মন্ত্রনারয় পাঠাবে বলে কালক্ষেপন করায় দুই জন স্বনামধন্য মন্ত্রী মহােদয়গনের সুপারিশ কপি দেওয়া হলে জেলা রেজিস্ট্রার ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম প্যানেলটি গায়েব করে।। দ্বিতীয় প্যানেল
২য় প্যানেল হয়ঃ
২২/১২/২০১৯ইং তারিখে এই প্যানেলেও আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। কিন্তু আবারও প্যানেলটি মন্ত্রনালয়ে না পাঠিয়ে কালক্ষেপন করে। উচ্চ মহলে জানাজানি হলে ০৫/০১/২০২০ইং তারিখ মন্ত্রনালয়ে প্যানেল পাঠায়। এবং ২৩/০১/২০২০ইং তারিখে আমি নিয়ােগপ্রাপ্ত হই।
নিয়োেগ পত্র গায়েবঃ
প্যানেলে একাধিকবার প্রথম হওয়াই আমার নামে নিয়ােগপত্র হয় পরবর্তীতে ফাইলটি গায়েব করে ০১/০৩/২০২০ইং তারিখে অবৈধ পন্থায় নাজমুলকে নিয়ােগ দিতে অন্য একটি ফাইল তৈরী করিলে, আইন মন্ত্রনালয় ও ডিয়ারকে লিখিতভাবে অবগত করি লকডাউনের মধ্যে ১২/০৫/২০২০ইং তারিখে নাজমুলকে নিয়ােগ দিয়ে ০১/০৬/২০২০ইং তারিখে জালিয়াতি করে নিয়ােগপ্রাপ্ত করা হয়।
মহামান্য আদালতের রায় অমান্যঃ
মহামান্য আদালত রীট পিটিশন ৭৫/২০ দাখিল করিলে, আদালত দীর্ঘ শুনানিতে অবৈধ নিয়ােগ প্রাপ্ত ব্যক্তির কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরােপ করে। এ বিষয়ে ডিয়ারকে অফিস কে অবহিত করিলেও আদালতের আদেশ অমান্য করে নাজমুল হক নামক ব্যক্তি সমস্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন এবং পূর্বের ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রারকে সমস্ত কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে লিখিতভাবে নির্দেশ করে।
সােস্যাল মিডিয়ায় ভাইরালঃ
ইত্তেফাক, যুগান্তর এবং চ্যানেল আই সহ ৮টি পত্র-পত্রিকা ও ইউটিউব সােস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারক মহােদয়গনকে অবগত করনঃ
এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, আইজিআর, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার উপদেষ্টা মহােদয়গণ, উপ-পরিচালক ও জেলা রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়।
চক্রটিকে এলাকায় কার্যক্রম অব্যহত রাখতে সহযােগিতা করা হয়ঃ
৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার মাওলানা নুর হােসেন সাহেব ১০নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দালালচক্র ভুয়া কাজীরা তাহার সাথে বেশী সুবিধা করতে না পারায় ৯নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী ইব্রাহীম সাহেবকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। তিনি শুধু নামেই ছিলেন প্রকৃতভাবে দালাল চক্র নিজেরাই সিল বানিয়ে পূর্বের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কার্যালয় লালকুঠি বাজারের কাজী অফিস ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে বিবাহ ও তালাকের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার দারুস সালাম থানায় অভিযােগ দায়ের করেন।
মহামান্য আদালতের রায়ের কপি দিয়ে ও যত হয়রানির শিকার জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কুচক্রী মহলের আদেশঃ
ইংরেজি বুঝিনা বাংলা অনুবাদ করে নিয়ে আসেন, বিজ্ঞ আইনজিবী প্যাডে লেখে নিয়ে আসেন, আইন শাখা থেকে মতামত নিয়ে আসেন, সলিসিটর হতে মতামত নিয়ে আসেন, সব কিছু সংগ্রহ করে দেওয়া হতাে আর এই হয়রানির সুযোগে কুচক্রি মহল একের পর এক মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে যথেষ্ট হয়রানির শিকার করা হয়। সব সেক্টর থেকে আমাকে যথেষ্ট সহযােগীতা করা হয়েছিল কোথাও হয়রানির শিকার হয়নি কিন্তু জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কুচক্রী মহল আমার জীবনের সুখ,শান্তি কেড়ে নেয়, আমার সন্তানদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং ধার দেনায় ও সহায় সম্বল হারিয়ে সর্ব শান্ত হই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত আবেদন অবৈধ পন্থায় নিয়োগ হাসিলকারী ব্যক্তির নিয়ােগ পত্র বাতিল পূর্বক তদস্থলে আমাকে নিয়ােগ দিতে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানায়।
Leave a Reply