আমাদের সংবাদ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানা যায় যে-টাঙ্গাইল সখিপুর উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়িক এলাকাটি সম্পূর্ণ সরকারি দলের কিছু দুস্কৃতিকারী চক্র দ্বারা বিগত জানুয়ারী ২০১৭ইং সাল থেকে নিয়ােজিত হয়ে আসছে। তথ্য মোতাবেক জানা যায় যে-সেখানে বর্তমানে কোন স্থানীয় বা পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন নিজেদের দীর্ঘদিনের আয় রোজগারের ব্যবসাপাতি গুটিয়ে নিয়ে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছে। এমনকি আরও জানা যায় যে এলাকার প্রভাবশালী সরকার সমর্থিত একশ্রেণীর সন্ত্রাসী মহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সেখানে পরিবেশ বিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করে কাজে দীর্ঘদিন যাবৎ লিপ্ত আছে। যাহার কারণে এলাকাবাসীর আইন শালিসের মাধ্যমেও সম্পূর্ণ বিফল ও নিরাশ হয়ে অবশেষে আদালতের শরণাপন্ন হলে প্রতিপক্ষরা দলীয় ক্ষমতার জোরে এলাকাবাসীর উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়ে পানির মূল্যের সম্পত্তি বিক্রির জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
আমাদের প্রতিনিধির তদন্তর মাধ্যমে জানা যায় যে-এলাকার কমিশনার নিজ ব্যবসা প্রশার লাভের জন্য তাহার দলীয় লােকজনের প্রভাবে সম্পূর্ন নিসিদ্ধ ও পরিবেশ পরিপন্থী তুলা সুতাজাতদ্রব্য উৎপাদন ফেক্টরী বে-আইনি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে এলাকায় চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। যাহার চরম দুষীতকর বায়ুমন্ডলিক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াতে এলাকাবাসি ভয়াবহ স্বাস্থ্যসম্মত জীবন থেকে সম্পূর্ন বঞ্চিত হয়ে আসছে এবং প্রতিনিয়ত ঘড়বাড়ী শিক্ষা প্রষ্ঠিানসহ সকল প্রকার পরিবেশ ও সাধারন জীবন যাত্রা চরম হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। এলাকায় সকল শ্রেনীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের সদস্যরা সভাপতি কাসেমের দ্বারা এইরুপ ভয়ঙ্কর পরিবেশ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নিলে তাহাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
এমনকি এইরুপ ভয়ংকর পরিবেশবাদি পরিস্থিতির দ্রুত প্রতিকারের জন্য যে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করলে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রর মাধ্যমে মার্কেট ও প্রতিবাদিদের উপর ও গৃহে সন্ত্রাসী হামলসহ অগ্নিসংযােগ ঘটিয়েছে। এমনকি আইন প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ইশারায় প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানাে অভিযােগ সাজিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২/৩জন নিরিহ ব্যক্তিকে হত্যাও করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে মার্কেটের সভাপতি কাসেম সাহেব হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী মােঃ জাহিদ ,মােঃ তাছির ,বেলাল আহমেদ,মোমিন উদ্দিন,রফিকুলকে আদালতে সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিভিন্ন রকম সাজানো মামলায় জরিয়ে এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে।
আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আরও জানা যায় যে-প্রতিপক্ষ কমিশনার এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাসেল হত্যা। মামলায় উল্লেখিত পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে দলবল নিয়ে সাক্ষী দিয়েছেন এবং মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন চলমান আছে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে এইরুপ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে প্রতিনিধি আরও জানতে পারেন যে-কমিশনার মােঃ সেলিম সাহেব মূলত সখিপুর এলাকায় আওয়ামী যুবলীগের উচ্চপদস্থ নেতা এবং তাহার পিতা জনাব আনোয়ার হোসেন এলাকার প্রাক্তন কমিশনার ছিলেন। কিন্তু পিতার অসুস্থতার সুযােগে তিনি দলীয় ক্ষমতার জোরে বিনা নির্বাচনে পিতার পদজোর দখল করে নীজ ইচ্ছামতন ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে। উপরন্ত নিজের সন্ত্রাসীদের প্রভাবে এলাকায় প্রতিনিয়ত ভুমি দসুত্যা, চাঁদাবাজি ও ইত্যাদি গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে জনগনের ঘড়বাড়ী সহায়সম্পত্তি জোরদখল করছে এবং যদি কোন ব্যক্তি তাহার বিরুদ্ধে। রুখেদাড়ানাে/প্রতিবাদ করতে গেলে নির্ঘাৎ জীবন মরন বাজি রেখে কঠোর পরিস্থিতি মােকাবেলা করতে হয়।
অতপর পরিশেষে সরকারী আইন প্রশাসনের প্রতি সুনজরদারী আশাপ্রশন করে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হল।
Leave a Reply