আমাদের ফেনীর সংবাদদাতা-
গত ২১শে নভেম্বর ২০২৩ইং মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২৩.১৫/২৩.৩০ ঘটিকায় হাফিজুর রহমান একনিরিহ ভিকটিম বয়স আনুমানিক ৬৫/৬৬ বৎসর ঠিকানা ১২নং ৭নং ওয়ার্ড, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ, ফেনী সদর উপজেলাস্থ স্থায়ি বাসিন্দার গৃহে আইন সংস্থা র্যাব ও পুলিশের সমন্ময় অতর্কিত হামলা চালায় এবং তাহাদের নির্মম ভয়ভীতিকর আচরনে ভিকটিম তাৎক্ষনিক হার্ট এ্যাটাক্টট করেন। ফলে পাড়াপ্রতিবেশীরা এই ঘটনা দেখারপর তাৎক্ষনিক ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে উপস্থিত করলে কর্মরত চিকিৎসক ভিকটিম হাফিজুরকে মৃত ঘোষনা করেন। প্রতিনিধি এই নির্মম সংবাদ শ্রবনের পর ঘটনার বাস্তবতা উৎঘাটনের লক্ষে এলাকাবাসিদের জিজ্ঞাসা বাদে জানতে পারেন যে-মৃত ব্যক্তিরপূত্র মোহাম্মদ আরিফ ঢাকাতে অবস্থানরত ও পেশাগত গার্মেন্টস শ্রমীকের বিরুদ্ধে একাধীক গুরুতর অপরাধের মামলার অভিযোগের কারনে আইন সংস্থা তাহাকে গ্রেফতার করতে বহুবার বাড়ীতে হামলা চালায়। এমনকি উক্ত রাতে র্যাব ও পুলিশ সম্মনয় আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষে গৃহে হামলা চালিয়ে আসভাবপত্র ভাঙ্গচুড়সহ বৃদ্ধ অসুস্থ্য গৃহকর্তা হাফিজুরের সাথে চরম বর্বরচীত অমানবীক আচরন ও ভয়ভীতি দেখানোর ফলে তিনি আকর্ষিক হার্ট এ্যাটাক্টক করেন। প্রতিবেশী আরো নিশ্চিত দাবী করেন
যে-আইনসংস্থা বাহিনী মুমূর্ষু জ্ঞানহীন ভিকটিমকে মানবীক দৃষ্টিতে চিকিৎসার জন্য কোন সহনভূভুতি না দেখিয়ে উল্টা অমানবীক ও অনৈতীক আচরনসহ বিভিন্ন বাজে মিথ্যা অভিযোগের ভয়ভীতিকর হুমকিধামকি দেখিয়ে গৃহ থেকে প্রত্যবর্তন করেন। ফলে আইনসংস্থা বাহিনী এইরুপ বর্বরোচিত হামলা ও নিষ্ঠুর
আচরনে এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শোকের ছায়া ও বিরুপ প্রতিক্রিয়াসহ চরম উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটায়। প্রতিনিধি শোকাহত পরিবার সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ও ঘটনার মূখ্য রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চালাতে গিয়ে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন যে-গত ৩/৪ মাস যাবৎ পুলিশও র্যাব ফোর্স আসামী আরিফকে গ্রেফতার করতে তাহার গৃহে হামলাও নিরিহ সদস্যদের উপর অমানবীক নির্যাতন চালিয়ে আসছে বিধায় জীবনের নিরাপত্তার কারনে সাংবাদীক ও কোন মানবাধীকার সংস্থার সাথে সাক্ষাতকার দিতে রাজি নয়। এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা উৎঘাটন করতে প্রতিনিধি ফেনী সদর থানার ও/সি কে পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি সম্পূর্ন অস্বীকার করেন ও দাবী করেন যে-হাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ হার্টের রুগী এবং তাহার পূত্র মোঃ আরিফ নাবালিকা ধর্ষন ও ডাকাতি মামলার গুরুতর অভিযুক্ত পলাতক আসামী বিধায় আইন সংস্থা আসামীর সন্ধানে গৃহে আগমনের পূর্বেই ভিকটিমের মৃত্যু ঘটেছিল বিধায় এই ঘটনার সাথে আইনসংস্থা কোন সম্পৃত্ততা নেই। প্রতিনিধি ফেনী সদর হাসপাতালে যোগাযোগে নিশ্চিত হয়যে-ভিকটিম চরম ভয়ভীতিগ্রস্থ্য হয়ে গুরুতর হার্ট-এ্যাটাক্টটে মৃত্যু বরন করেন। ফলে এই নির্মম অপমৃত্যুর ঘটনাটি গুরুত্বপাত করে এলাকার কিছু সুশীল ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ভিকটিম পরিবারের তরফ থেকে একটি স্বারক লিপি প্রেরন করেছেন।
Leave a Reply