সাব্বির হোসেন
গত ৫ জুলাই ২০১৭ইং সকালে ফেনী ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইন রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে সদর উপজেলা কৃষকদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গাফসাদ ও নাশকতাসহ যানবাহন ভাঙ্গচুড় অগ্নিসংযোগ,ইটপাটকেল নিক্ষেপে ১০/১২জন গুরুতর আহতসহ অপূরনীয় ক্ষতি সাধতি হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে-এলাকার দরিদ্র কৃষকরা স্থানীয় কিছু এন.জি.ও এবং সমবায় সমিতির লীজ ভুক্ত ভুমিতে প্রবাহিত ডাকাতীয়া নদীর উপশাখা থেকে সেচের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছিল। কিন্তু এলাকার ক্ষমতাশীল চেয়ারম্যানের লোকজন চলমান ভরা মৌসুমে তাহাদের ফসলী জমিতে সেচের পানি দেওয়া বন্ধকরে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।এই নির্মম পরিস্থিতিতে কৃষকরা পঞ্চায়েত ও আইনের সহায়তা কামনা করেও কোন সুফল বা প্রতিকার না পাওয়াতে শেষঅব্দি বাধ্যহয়ে লীজ গ্রহিতা এন.জি.ও,সমবায় সমতির উদ্যোগে চাষিরা দাবীদবা সমেত উক্ত দিন সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথে চেয়াম্যানের দলবল ও আইন রক্ষাকারি বাহিনীর চরম বাধার সম্মূখিন হয়।উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ইত্যাদি ভয়াবহ দাঙ্গা/মারা মাড়ি সংঘঠিতহলে ক্ষিপ্ত কৃষকরা পুলিশের পেট্রোল গাড়ী ও প্রাইভেট ভ্যান ভাঙ্গচুড়/অগ্নিসংযোগ নাশকতা কার্যকলাপ চালায়। কৃষকদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৪/৫জন কন্সটেবলসহ উভয় পক্ষের ১১/১২ জন সদস্য গুরুতর আহত হয় এবং আহতদরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এই নির্মম ও অপ্রত্যাসিত ঘটনার বিষয় সদর থানায় যোগাযোগে জানাযায় যে-কৃষকরা বেআইনি ভাবে দীর্ঘদিন সরকারী খাস জমিজমাসহ নদীনালা জোর ভোগদখলে আছে এবং কিছু দূর্নীতি পরায়ন এন.জি.ও এবং সমবায় সমতিরা অসৎ প্রক্রিয়াতে কৃষকদের অপব্যবহার করে অর্থ উর্পাজন করছে। যাহার কারনে ইউ.এন.ওর আদেশে এই বেআইনী সমাবেশ বাঞ্চাল করার সময় উশৃঙ্খল কৃষকদের সাথে আইন সংস্থা ও সরকারী দলের সংঘাৎ সৃষ্টি হয় এবং দাঙ্গা চলাকালিন ২২জন কৃষকে রাঙ্গাহাতে পুলিশ গ্রেফতারসহ উস্কানিদাতা হোতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ বাদী হয়ে ফেনী সদর মডেল থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতা মামলা দায়ের করেন। থানার ও/সির বক্তব্যে আরো বর্ননা করেন যে এই ঘটনার সাথে বিরোধী দলের কিছু নেতাকর্মীরা স্বক্রিয় জড়িত হয়ে পরিকল্পীত ভাবে বিভিন্ন হাতিয়ারে সজ্জিতহয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।এই মামলার মূখ্য আসামী বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, শাহজাহান কবির, মন্সুর হোসেনসহ চাষী কল্যান সমবায় সমিতির কাজী আমিনুল ইসলম,আব্দুল আউয়াল,মোঃ শামীম,রাজু শাহা সহ আনুমানিক ৮০/৮২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার ও গ্রামবাসির সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-এলাকার গরীব ও ভুমিহীন চাষীরা বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও এনজিওর উদ্যোগে আর্থীক ঋনগ্রহন ও লীজ ভুক্ত সরকারী খাসজমি দীর্ঘদিন যাবৎ বৈধভাবে পত্তন/বর্গাদার হিসাবে চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু এলাকার চেয়ারম্যান ক্ষমতা লাভেরপর নিজস্বার্থে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় খাসজমি জমা জোরদখলসহ জোরজুলুম চালিয়ে তাহাদের অধিকার হরন করছে এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতবাদ জানালে আইন সংস্থা সরকারী দলের পক্ষপাত্তিত্ব করছে। এ বিষয় জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকার গরীব চাষীরা ন্যায় পরায়ন বিচার বিবেচনার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছে কিন্তু জানাযায় যে-আইন প্রশাসন বর্তমানে মামলাটি তদন্তর নামে গ্রামবাসিদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন অব্যহত রেখেছে।
Leave a Reply