আমাদের প্রতিনিধির প্রেরিত সংবাদ- মৌলভীবাজার ,বড়লেখা উপজেলা পশ্চিম শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা মােঃ ফারুক উদ্দিনের বড় পুত্র ও ইউনিয়ন পরিষদ যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মােঃ শাকিল (৩২)কে গত ৮ই অক্টোবর ২০২১ইং শুক্রবার রাতে দূর্বৃত্তরা দাসেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেটের রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করে ।পরদিন সন্ধায় পুলিশ বিশ্বস্থ্য সাের্সের হত্যায় ব্যবহৃিত রক্তমাখা ধারালাে ২টি রামদাসহ ৮টি লােহার রড বাজারে জসিম উদ্দিনের কাচা মালের আরত থেকে জব্দ করতে সক্ষম হয় এবং এই সূত্রধরে প্রাথমিকভাবে নাইট গার্ড আদম মিয়াকে থানার নিয়ন্ত্রনে জিজ্ঞাবাদ চলমান আছে।এই হত্যার উৎপত্তি প্রসঙ্গে বাজারে প্রত্যক্ষদর্শী ৪জন ব্যবসায়িকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-বাজারে চাদাবাজি ও আধিপত্ত বিস্তার কেন্দ্রীক আওয়ামী যুবলীগ নেতা মােঃ শাকিল গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ বিএনপি যুবদল নেতা মাকছুদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন শক্রতা চলমান।যাহার মূলকারন ক্ষমতাশীন যুবলীগ নেতা শাকিলের অনৈতীক প্রভাবে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতীত ও কোনঠাষা হতে থাকে বিধায় উভয়ের মধ্যে চরম প্রতিহিংসা ও শক্রতার সৃষ্টিহয়।ফলে উক্ত সন্ধায় শাকিল দলবল নিয়ে বাজারে কাচা আরতে চাদাবাজি করতে থাকলে ফল সবজী ব্যবসায়ি ও যুবদল কর্মি রাজুর কাছে চাদাঁ দাবীকরলে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে মারামারি। শুরুহয়।শাকিলের নির্মম প্রহারে আহত রাজু কিছুক্ষনের মধ্যে তাহার দলবল নিয়ে বাজার ঘেরাওকরে হামলা চালালে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গাফসাদ সংঘঠিত হয়। একপর্যায় শাকিলের দলবল ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাক্স পরিহিত বিভিন্ন বয়সী ১৫/১৬জন যুবক বিভিন্ন হাতিয়ার দ্বারা শাকিল ও সঙ্গিদের গনপিটুনি দিতে থাকলে শাকিল রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে এবং যুবকরা দ্রুত ৪/৫টি মটোর সাইকেলে পালিয়ে যায় ।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়িরা শাকিলকে রক্তাক্ত জ্ঞানহিন অবস্থায় দ্রুত থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে চিকিৎসারত রাত ২২.১৫ ঘটিকায় শাকিলের মৃত্যুঘটে। এই হত্যা প্রসঙ্গে-পরদিন দুপুরে ভিকটিমের চাচা বাহার উদ্দিন দাসেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামীলীগ সহ-সাধারন সম্পাদক ও মার্কেটের সভাপতি পুলিশ পরিদর্শক ও থানার ও/সি সম্মনয় বাদী হয়ে সন্দেহ ভাজন বিরােধী দলীয় ১২জন নেতাকর্মির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা রুজু করেন। প্রতিনিধি থানায়, যােগাযােগে জানতে পারেন যে এই মামলায় মূখ্য পলাতক আসামী যুবদল কর্মি গুরুতর আহত ১। মােঃ রাজু (৩২) পিং-মােঃআতাহার ,সাং-পশ্চিম শঙ্করপুর,২।মাকছুদ আহমেদ(৩৪),পিং-আজহার উদ্দিন,সাং-আলিমপুর,৩।ফিরােজ আহমেদ(৩৪),পিং-আজিজ মিয়া,সাং-গবিনপুর,৪।কাউছার আহমেদ(২৯),পিং-শমিরউদ্দিন,সাং-পশ্চিম সুড়িকান্দি, ৫। জাবেদ হােসেন(২৮),পিং-আহমদ আলী,সাং-গবিনপুর,৬ মােঃ জায়েদ(২৯),পিং-মৃত আনসার আলী ,সাংলগাটি,৭।রাজন দাস(৩০),পিং-শ্ৰী উমিদ দাস,সাং-ঠাকুরপাড়া-গবিনপুর ,৮ ।সাইফুল ইসলাম(৩৮),পিং-মৃত হুকুম আলী,সাং-গােয়ালতা বাজার, ৯।নিজাম উদ্দিন(৩২),পিং-খবীর উদ্দিন,সাং-শঙ্করপুর,১০।আমিন হাসান (৩২), পিং-মাসদ আহমেদ,সাং-পশ্চিম সুড়িকান্দি,১১।মােঃ তানভীর(২৭),পিং-আখলাছ উদ্দিন,সাং-আলিমপুর ,১২। মােঃ । আক্কাস মুন্সি (৩৪),পিং-হাজী সবুর মুন্সি ,সাং-শঙ্করপুর বাসিদের সন্দেহাতীত অপরাধী চিহ্নিত করে গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান আছে।কিন্তু আসামীদের পরিবারে যােগাযােগে প্রতিনিধি জানতে পারেন এই মামলায় ৭জন আসামীকে সম্পূর্ণ নিদোষ ও রাজনৈতীক প্রতিহিংশার শিকার হয়ে এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে যাহাদের এই ঘটনার সাথে কোন যােগসাজস বা সম্পৃত্ততা মােটেও নেই এবং তাহারা দীর্ঘদিন জীবনের নিরাপত্তার কারনে এলাকার বাহিরে অবস্থান করছে। এই সংবাদ প্রচার হওয়াপর্যন্ত এজাহার ভুক্ত কোন আসামিকে পুলিশ ফোর্স এখনাে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই তবে মার্কেটের দারােয়ানকে সন্দেহাতীত থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলমান আছে।
প্রকাশনা তাং-৯/১০/২০২১ইং
Leave a Reply