আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলা নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নস্থ আওয়ামী যুবলীগের কর্মি আব্দুল কাদির (৩২) পিং- মৃত বদর উদ্দিন সাং-জলঢপের স্থায়ী বাসিন্দার বড় পূত্রর মৃত দেহ গত ৭ই নভেম্বর ২০২২ইং সকালে স্থানীয় লোকজন এরাল বিলে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। ফলে এই সংবাদের ভিত্তিতে আইন প্রশাসন ও স্থানিয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ চিহ্নিত ও উদ্ধার করে এবং পুলিশ পরিদর্শক ময়না তদন্তর জন্য লাশ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। এই নির্মম হত্যা প্রশংঙ্গে উপস্থিত এলাকাবাসিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিনিধি জানতে পারেন-এই বিলে মৎস চাষ ও ইজারা কেন্দ্রীক ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় ইজারা-দারের সাথে কতিপয় প্রভাবশালী রাজনৈতীক মহলের প্রতিনিয়ত প্রতিহিংশা/দাঙ্গা মারামারি চলমান আছে।
ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ২০২১ইং সালে স্থানীয় ক্ষমতাশীন দলীয় সন্ত্রাসীরা ইজারাদার মোঃ আদরছ আলীকে নির্মম কুপিয়ে হত্যারপর উভয়ের মধ্যে শত্রুতার প্রখড়তা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে সবাই ধারনা করছে যে-ইজারাদার পরিবার প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে হত্যাকান্ড সংঘঠিত করতে পারে। এই হত্যার রহস্য প্রশংগে স্থানিয় কিছু প্রত্যক্ষদর্শীরা অবগত করে যে-মৃত আঃ কাদির অত্যন্ত উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী যুবক হিসাবে চিহ্নিত এবং তাহার বিরুদ্ধে স্থানিয় থানায় মাদক, চাদাঁবাজী, হত্যা ডাকাতি ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের একাধীক মামলা চলমান কিন্তু ক্ষমতাশীন দলীয় প্রভাবের কারনে আইন প্রশাসন নিরব। তাহারা আরো নিশ্চিত দাবী করেন যে, ভিকটিম গত ৬ নভেম্বর ২০২২ রাত আনুমানিক ১১.০০/১১.৪৫ ঘটিকায় কতিপয় ১১/১২জন দূর্বৃত্তসহ মোটর বাইকে এরাল বিলের পশ্চিম পাড়ে একে অপরকে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়াসহ উচ্চ স্বরে হুমকি ধামকি চিৎকার দিচ্ছিল কিন্তু হত্যার বিষয় তাহারা কোন বাস্তবতা জানে না। অতঃপর আইন প্রশাসনের সাথে অদ্য যোগাযোগে জানতে পারেন যে-ময়না তদন্ত তথ্য অনুসারে ভিকটিমকে একাধীক ধারালো হাতিয়ার দ্বারা শরীরে বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ভোর রাত আনুমানিক ১.০০/১.৪৫ ঘটিকায় লাশ বিলে ফেলে দেয়।
যাহারপর আইন সংস্থা সুক্ষ আইনি কার্যক্রম সম্পাদন শেষে গত দুপুরে ভিকটিম আঃকাদিরের মৃত দেহ পরিবারে নিকট হস্থান্তর করেন এবং দাফন কাফন সম্পাদনেরপর গত রাতেই মৃত ভিকটিমের ভাই আব্দুল মালিক ৪/৫ জন স্থানিয় ব্যক্তিদের স্বাক্ষ্যর ভিত্তিতে বিলের ইজারাদার মৃত মোঃআদরছ আলীর দুই পূত্র ১। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৬), ২। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩৪) কে মূখ্য অপরাধী চিহ্নিত করে আরো ৩জন যথা ৩। মোঃ ফয়েজ উদ্দিন (৩৪), পিং-মৃত হাকিম উদ্দিন, ৪। সায়েক আহমদ এমরান (২৩), পিং-মো:ছাব্বির আহমদ, ৫। জবরুল ইসলাম (২০), পিং- মো: আদরিস আলী গং সকলে একই গ্রামের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পীত হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তবে আইন সংস্থা এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নাই বলে জানা যায় এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভাষ্য মতে ধারনা করা যাচ্ছে যে-এই হত্যা কান্ডের সাথে বিরোধী দলীয় রাজনৈতীক মহলের সার্বিক উস্কানি মুলক সমর্থন ও সহযোগীতা বিদ্যমান।
Leave a Reply