গত ৭ই জানুয়ারী ২০১৮ইং ফেনী জেলা প্রসাশক কার্যালয় ও প্রেস ক্লাবের সামনে বিরােধী দলের নেতাকর্মিদের মানববন্ধন চলাকালিন আইন প্রশাসন ও সরকারীদলের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও দাঙ্গায় ২জন পুলিশসহ ২১জন প্রতিবাদী গুরুতর আহত ও গ্রেফতার হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে গত ৬ই জানুয়ারী ২০১৮ইং এন্টি ট্যারােরিজম ফোর্স ফেনী সদর থানা নিয়ন্ত্রনাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫জন জামায়েত ও বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন।যাহার প্রেক্ষিতে পরদিন সকালে গ্রেফতারকৃতদের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবীতে আত্নিয়সজন/দলীয় সমর্থকরা ফেনী জেলা প্রসাশক কার্যালয় ও প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদী মিছিল মিটিং চালায়। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসি ও প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সংবাদিক আজহারুল আলম এ বিষয় অবগত করেন যে-মানব বন্ধন শান্তিপূর্ন চলাকালিন সময় কিছু উশৃঙ্খল যুবক ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন হাতিয়ার নিয়ে আক্রমন চালালে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ হামলাকারিদের সমর্থন জানিয়ে মিছিল কারীদের উপর আক্রমন চালালে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গাও সংঘর্ষে উপনিত হয়। মিছিল কারিরা পুলিশ ও সরকারী সমর্থকদের বাধা অতিক্রম করে যানবাহন ভাঙ্গচুড় ও অগ্নিসংযােগ ঘটায় এবং পুলিশ ও সমর্থকদের আক্রমন ও গােলাগুলীতে উভয় পক্ষের লােকজন গুরুতর হতাহত হয়। ঘটনা স্থলে ২জন পুলিশ ও ৮জন মিছিলকারি নেতাকর্মী গুরুতর আহতহলে তাহাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাহারা চিকিৎসাধীন আছে । কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২১ জনকে গ্রেফতার করে থানায় বন্দি করেন।থানায় যােগাযােগে জানায় যে-জামায়েত ও বিএনপির ৫জন নেতারা রাজনৈতীক সুবিধা লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে জঙ্গি তৎপড়তা চালানাের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। বিধায় আইন সংস্থা বিশ্বস্থ্য সূত্রে সংবাদের মাধ্যমে ফেনী সদর উপজেলা জামায়েত নেতা মােঃজুবায়ের পাঠোয়ারী,নােমান সিদ্দিক ও আমিনুর রহমানসহ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ফয়সাল,আবুল কালামকে গ্রেফতার করেন। পুলিশি তথ্য মােতাবেক মানব বন্ধন চলাকালিন গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরােধী সন্ত্রাস ও নাশকতা অপরাধের মামলা দায়েরসহ জেলে বন্দি করেন। হাজতি ও পলাতকদের নাম পরিচয় ১।সাখােয়াৎ হােসেন পিং-মৃত শাহাবুদ্দিন,২।রেজাউল কবির,পিং মােঃসবুর, ৩।মােঃওমাের ফারুক,পিং-আমিনুর রহমান,৪।ইমাম হাসান,পিং-ঐ,৫। গােলাম আজম,পিং-ঐ, ৬।মােঃ ইব্রাহিম,পিং-আমির হােসেন,৭।সালাউদ্দিন, পিং-মুজিবুর খান,৮। সালমান ভুঞা,পিং-হাজী কামাল ভুঞা,৯। মােঃরাশেদুল,পিং-ইমানআলী,১০।মাসুদ মিয়া,পিং-উমাের মিয়া,১১।সিবলি আহমেদ, পিং-মানিক মিয়া, ১২ মােঃ রবিউল ইসলাম,পিং-জাকির হােসেন,১৩। আবু সাইদ সবুজ,পিং-আদম মিয়া ,১৪ ।আব্দুল হামিদ,পিং-আনােয়ার হােসেন,১৫।জাফর ইসলাম,পিং-মুজাম্মেল হক, ১৬।দাদন ফকির,পিং-জসিম ফকির ,১৬।আমির হােসেন,পিং-লুতফর হােসেন,১৭।মােঃইসমাল,পিং-মৃত মােঃ রাজ্জাক মিয়া ,১৮।ইকবাল কায়েস,পিং-আব্দুল লতিফ,১৯।মারুফ হাকিম,পিং-জয়নাল আবেদীন, ২০।ফয়েজ উদ্দিন,পিং-মােঃমুসা মিয়া,২১।জামিল খন্দকার,পিং-নজির উদ্দিন খন্দকার,২২।মােঃ ইরফান,পিং-সাবের উদ্দিন,২৩।মনিরুল হক,পিং-মুস্তাক আহমেদ,২৪।মেজবাউল ইসলাম,পিংইলিয়াস মিয়াসহ অজ্ঞাত আরাে ১৩/১৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার ও এলাকাবাসিদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে-সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে সরকারী আইন সংস্থা বাহিনী প্রতিনিয়ত বিএনপি জামায়েত ইত্যাদি বিরােধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও রাতের আধারে ক্রসফায়ারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লাশগুমের কারনে তাহারা কঠোর প্রতিবাদী মানব বন্ধনের আয়ােজন করেন। এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আইন সংস্থা তাহাদের কাউন্টার ট্যারােরিজম তৎপড়তা চালিয়ে আসছেন।
Leave a Reply