নোয়াখালী সংবাদ প্রতিনিধিঃগত রবিবার ২৬শে মার্চ ২০২৩ইং সকালে লক্ষিপুর ঢাকা মহাসড়ক সংলগ্ন আমিন বাজারে আইন রক্ষাকারি বাহিনী পুলিশের সাথে বেগমগঞ্জ উপজেলা ভূমিহীন হতদরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত দাঙ্গা-ফসাদ সংঘঠিত হয়।ফলে ঘটনাস্থলে সরকার সমর্থিত স্থানিয় প্রভাবশালী মহলসহ পুলিশ প্রশাসনের সাথে আন্দোলনকারীর মধ্যে ভয়াবহ সংর্ঘষে পুলিশ ও জনসাধারনে যানবাহন ভাঙ্গচুড় ও অগ্নিসংযোগ এবং উভয়ের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপে সাধারন জনগন ও পুলিশ ফোর্স গুরুতর আহতসহ স্থানিয়দের যানমালের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে উল্লেখ্য-স্থানিয় হতদরিদ্র ভূমিহীন কৃষকরা এলাকায় চাষী কল্যান সমিতি ও কিছু এন.জি.ও সংস্থার উদ্দোগে সরকারী খাস ফসলী জমিসহ নদীনালা ও খালবিল ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা নিয়ে ফসল উৎপাদন এবং মৎস চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল। কিন্তু স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উস্কানিতে ক্ষমতাশীন দলীয় ভূমি দস্যু চক্ররা অনৈতীক প্রভাবে বিভিন্ন রকম বাধার সম্মুখীন হয়ে কৃষকরা ভরা মৌসুমে ফসলী জমিতে সেচের পানি সর্বরাহ থেকে সম্পূর্ন বঞ্চিত ও বিভিন্ন ভয়ভীতিকর হুমকি ধামকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই নির্মম পরিস্থিতিতে কৃষকরা পঞ্চায়েত ও আইন প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেও কোন সুফল বা প্রতিকার না পাওয়াতে শেষ অব্দি বাধ্য হয়ে ইজারা গ্রহিতা চাষী কল্যান সমতির উদ্দোগে কৃষকরা নিজেদের মৌলিক দাবীদবা আদায়ের লক্ষে অদ্য গত সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার পথে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীসহ পুলিশ প্রশাসনের চরম বাধা ও বর্বরচীত হামলার সম্মুখিন হয়। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ থেকে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ মারামাড়ি ও দাঙ্গাফসাদের সৃষ্টি হলে ক্ষিপ্ত হতদরিদ্র ভূমিহীন কৃষকরা পুলিশের পেট্রোল জীপ গাড়ী এবং এলাকার প্রাইভেট যানবাহন ভাঙ্গচুড়/অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি নাশকতা কার্যকলাপ চালায়। কৃষকদের ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের ৪/৫ জন সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৮জন সদস্যরা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হওয়াতে স্থানিয় বাসিন্দারা তাহাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এই নির্মম ও অপ্রত্যাসিত ঘটনার বিষয় বেগমগঞ্জ থানায় যোগাযোগে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার দাবী করেন যে-কৃষকরা দীর্ঘদিন সরকারী খাশ জমিজমা ও নদীনালা বেআইনি জোর ভোগদখলে আছে এবং কিছু দূর্নীতি পরায়ন এন.জি.ও/সমবায় সমিতি অসৎ প্রক্রিয়াতে কৃষকদের অপব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে। যাহারফলে জেলা প্রশাসনের আদেশে এইরুপ বেআইনি পদযাত্রা ও অবরোধ সমাবেশ বাঞ্চাল করার সময় উশৃঙ্খল কৃষকদের সাথে পুলিশ ও জনপ্রশাসনের সদস্যদের ভয়াবহ সংঘাৎ দাঙ্গা চলাকালিন ২৪জন কৃষকে রাঙ্গাহাতে আইনসংস্থা গ্রেফতারসহ উস্কানিদাতা হোতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বাদী হয়ে থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু করেন। থানার ও/সির বক্তব্যে আরো বর্ননা করেন যে, এই ঘটনার সাথে বিরোধী দলের কিছু নেতাকর্মীরা স্বক্রিয় জড়িত হয়ে পরিকল্পীতভাবে বিভিন্ন রকম ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এই মামলার মূখ্য আসামী সাবেক ইউপি মেম্বার ও বিএনপি নেতা ১।নুরুল আমিন, চাষী কল্যান সমিতির কর্মকর্তা ও সদস্য গং ২। ফকরুল ইসলাম, ৩। তপন শাহা, ৪। মোঃসামশুদ্দিন, ৫। সোহেল আহমেদ, ৬।মোঃনাসির ৭। সুরুজ আলী, ৮। মুকছেদ আলী, ৯।আব্দুল হামিদ, ১০। মোঃনুরুল আলম, ১১। রিজওয়ান আহদে, ১২। মোঃইয়াছিন, ১৩। পঙ্কজ শাহা, ১৪। ইসমাইল হোসেন, ১৫। জিল্লুর রহমান ১৬। দিপঙ্কর শাহা, ১৭। কাজী ফয়সাল, ১৮। মেজবা উদ্দিন, ১৯। আইউব মিয়া, ২০। তোতা মিয়া,২১। জামিল ভুঞা, ২২। মনসুর মিয়া, ২৩। সিরাজ উদ্দিন, ২৪। মোঃ হাফজুর, ২৫। আব্দুল মাজিদ, ২৬। কামালউদ্দিন, ২৭। জসিম উদ্দিন, ২৮। ইকবাল মাসুদ, ২৯। মোঃইসমাইল, ৩০ আকবর হোসেন, ৩১। মধু বিশ্বাস, ৩২।জীবন বিশ্বাস, ৩৩। ফরিদ উদ্দিন, ৩৪। মহিন উদ্দিন, ৩৫।সিরাজ ভুঞা, ৩৬।মাজাহার আলম, ৩৭।শ্রী প্রভু দাস,৩৮। চঞ্চল দাস, ৩৯। রিফাত করিম, ৪০। জালাল মিয়, ৪১। জমির উদ্দিন, মকবুল মিয়া, ৪২। রেজা মামুন,৪৩। দিনেশ কুমারসহ অজ্ঞাত আরো ৩৭জনসহ মোট ৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতিনিধি আসামীদের পরিবার ও গ্রামবাসির সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-এলাকার গরীব ও ভূমিহীন চাষীরা বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও এনজিওর উদ্দোগে আর্থীক ঋনগ্রহন ও বৈধভাবে ইজারা ভুক্ত সরকারী খাস জমি দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু স্থানিয় জনপ্রশাসনের ক্ষমতাশীন ও দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিবর্গ নিজ স্বার্থে বিভিন্ন অনৈতিক প্রক্রিয়ায় খাস জমিজমা জোর দখলসহ জোর জুলুম চালিয়ে তাহাদের মৌলিক অধিকার হরন করছে এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আইন সংস্থা সরকারী দলের পক্ষপাতিত্ত করছে। এবিষয় জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে এলাকার গরীব চাষীরা ন্যায় পরায়ন বিচার বিবেচনার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছে কিন্তু জানাযায় যে-আইন প্রশাসন বর্তমানে মামলাটি তদন্তর নামে গ্রামবাসিদের বিভিন্নভাবে হয়রানিকর নির্যাতন অব্যহত রেখেছে।
Leave a Reply