কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল এখন সোনালি রঙে রাঙানো। গত কয়েক বছরে হাওরে কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন, ভুট্টায় উৎপাদন বেশী, লাভ বেশি, এবং বন্যা কিংবা খরার ভয় না থাকায় দিনদিনই কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাওরে কয়েক বছর যাবৎ ভুট্টা চাষ বেশী দেখা যায়,
ভুট্টা চাষ করলে ফসল তাড়াতাড়ি ঘরে তোলা যায়,যা ধানের তুলনায় অনেক সুবিধাআর বর্তমান সময়ে দেশে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্ম হওয়ায়,
কৃষকেরা আরো বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে।তবে চিন্তার আরেক নাম হলো সঠিক মূল্য না পাওয়া।কৃষকেরা সঠিক মূল্য পাই না বলে অনেকই ভুট্টা চাষে অনিহা প্রকাশ করছেন।সঠিক মূল্য না পেলে লাভের মুখ দেখতে পারবে না হাওরাঞ্চলে কৃষকেরা,সার,বীজ,শ্রমিক খরচ সহ সব কিছুর দাম বৃদ্ধি হাওয়ায় বাম্পার ফলনেও চিন্তিত
এবছর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইনে চার হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা বলছে, এবার হয়েছে বাম্পার ফলন। ফলে আশা জেগেছে ছাড়িয়ে যাবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।
কৃষকদের এই পথচলায় পাশে থেকেছে কৃষি অধিদপ্তর। নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে দিয়েছে প্রযুক্তিগত পরামর্শ, উন্নত মানের বীজ নির্বাচন, সার ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে রোগবালাই দমন পর্যন্ত।একথা বলেন মোঃ ওবায়দুল ইসলাম খান অপু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ।
মোহাম্মদ রাসেল , কিশোরগঞ্জ
(অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন)
Leave a Reply