চট্টগ্রাম সংবাদ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও যুবলীগের কর্মি এমদাত আলী(৩৫)পিং-মৃত হাজী একরাম আলী,সাং-৭৯/ক,এনায়েত বাজার রোড,কতোয়ালী মহানগর চট্টগ্রামকে দূর্বৃত্তরা গত ১০ই জানুয়ারী ২০২২ইং ভোরে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং তাহার ৬জন সঙ্গিকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই হত্যার প্রসঙ্গে জানাযায় যে-গোয়ালপাড়া ভুতের গলীতে উক্ত ভোরে ভিকটিম এমদাতের সাথে প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়িদের মাদক আদানপ্রদান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়াতে একপর্যায় উভয়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। এমদাত ও সঙ্গিরা প্রতিপক্ষর সাথে লেনদেরে ঘাপলা সৃষ্টি করলে তাহারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে ধারালো হাতিয়ার দ্বারা এমদাত তাহার সঙ্গি ১।মোঃ কামরুল, ২। তবিজ উদ্দিন, ৩। মঞ্জুর হোসেন, ৪। মামুন আলী, ৫।বিকাশ ডোম, ৬।তরুন ডোমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
এতোভোরে এলাকাবাসিরা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ফোর্স দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তায় রক্তাক্তও জ্ঞানহীন পড়ে থাকা আহতদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যালে হাজির করলে কর্মরত ডাক্তার এমদাতকে মৃত ঘোষনা দিয়ে বাকিদের সুচিকিৎসা চালিয়ে যায়। এলাকা বাসিদের এই হত্যার উৎপত্তির বিষয় জিজ্ঞাসা করলে অনেকে এ বিষয় কোন মন্তব্য করতে সম্পূর্ন নারাজ এবং কিছু স্থানীয় বাসিন্দা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে প্রতিনিধিকে অবগত করেন যে-এলাকায় ২টি মাদক ব্যবসায়ি গ্রুপের মধ্যে প্রতিনিয়ত সংঘাৎ মারামারি লেগেই আছে।
তবে মৃত ভিকটিম এমদাত ও তাহার সঙ্গিদের এলাকার প্রভাবশালী মূখ্য মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে সবাই চিহ্নিত করেন এবং এই হত্যার মূল রহস্য মাদক আদান প্রদানকে কেন্দ্র করেই সংঘঠিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ২জন এলাকাবাসি নিশ্চিত করেন যে-ভুতের গলীতে প্রতি রাত দিন মাদকের রমরমাট ব্যবসা চলমান এবং এই ব্যবসা সম্পুর্ন এমদাত ও তাহার সঙ্গি সাথীরা রাজনৈতীক দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করছেন। এলাকাবাসি ৩/৪টি বাড়ীর ছাদ ও চিল কোঠা গুলীকে মাদকের আড্ডা খানা হিসাবে চিহ্নিত করলে পুলিশ বাহিনী সেই ভোরে এলাকায় কারফিউ জারি করে প্রচুর মাদকদ্রব্য জব্দসহ ২/৩জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগে জানাযায় যে এই হত্যাকান্ড ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার/জব্দর বিষয় সেই দিন থানায় যৌথ মামলা দায়ের করেন এবং ভিকটিমের বড় ভাই আওয়ামী যুবলীগের নেতা বাবর আলী ও রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে ৯জনকে সন্দেহাতীত অপরাধী চিহ্নিত করে মামলা রুজু করেন। গ্রেফতারকৃত ৩জন হলেন যথাঃ৩। আশিকুল ইসলাম,পিং-আব্দুল হালিম, ৪। মেজবা উদ্দিন,পিং-মৃত মোঃ রকিব মিয়া,৬। আশেক চৌধুরী, পিং-মাজিদ চৌধুরী এবং পলাতক ৬জন যথাঃ ১।মোঃ বেলায়েত,পিং- মোঃমতিউর, ২। মেহের উদ্দিন নুর, পিং-রমজান আলী,৫।সোহেল হোসেন, পিং- দাউদ হোসেন, ৭।শাহাদাত খান,পিং-আবেদ খান, ৮।মোঃ ইকবাল,পিং-মোঃ রফিক মিয়া,৯। প্রসেনজীৎ ঘোষ, পিং-দ্বিলীপ ঘোষগনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ফোর্স সবর্ত্র তৎপর আছেন।
এই মামলার বিষয় পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানাযায় যে-পুলিশ ফোর্স অভিযোগ গুলি অত্যন্ত গুরুত্বর সাথে পরিচালনা করছেন এবং আশাবাদি যে-গ্রেফতারকৃত ৩জন আসামীকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আরো অনেক গুরুতর তথ্য জানা যাবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
Leave a Reply