স্টাফ রিপোর্টার-আসাদুজ্জামান নুর
মিরপুর ১ শাহ আলী থানা এলাকায় খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী কর্তৃক ভিকটিম শাহাদাত হোসেন হাসিব(১৭) কে ছুরিকাঘাত করে হত্যাকরন সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ জেট এম তৈমুর রহমান
বাদীর ছেলে ভিকটিম শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭), গত ০৬ (ছয়) মাস পূর্বে শাহআলী থানাধীন মল্লিক টাওয়ারস্থ ১৬তম তলায় টপটেন ফ্যাক্টরীর কাটিং সেকশনে চাকুরী করত। করােনা ভাইরাস এর কারণে ঢাকুরী ছেড়ে ০৬ (ছয়) মাস পূর্বে গত জুন/২০২১ মাসে বাড়িতে চলে যায়। গত ০১/১২/২০২১ খ্রিঃ তারিখে টপটেন ফ্যাক্টরী হইতে ফ্যাক্টরীর কর্মী মোফাজ্জল হােসেন বাদীর স্ত্রীর মােবাইল নাম্বার ০১৮২৩৩৯৯৪৬৭ তে ফোন করে বাপীর ছেলে হাসিবকে চাকুরীতে যােগদান করার জন্য বলিলে বাদীর ছেলে হাসিন গত ০১/১২/২০২১ ইং তারিখ উক্ত ফ্যাক্টরীতে যোগদান করে বাদীর ছেলে ভিকটিম হাসিব প্রতিদিনের মত ইং-১২/১২/২০২১ ইং তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় ফ্যাক্টরীতে কাজের জন্য যায়। গত ১২/১২/২০২১ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় ফ্যাক্টরী ছুটি হলে মামলার বাদীর ছেলে ভিকটিম শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭) ফ্যাক্টরী হইতে বাসা যাওয়ার পথে শাহআলী থানাধীন ই-ব্লকস্থ, রোড-০৬, বাসা নং-৩৭, এর পূর্বদক্ষিন কোনায় পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে অজ্ঞাতনামা বিবাদী/বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদীর ছেলেকে ধারালো ছুরি দ্বারা গলায়, বুকের ডান পার্শে ও বাম হাতে বাহুর নিচে উপরিভাগে ও কনুইর উপরিভাগে উপযুপরি পার মেরে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে দ্রুত বেগে দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। বাদীর ছেলে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে গেলে মোঃ মোফাজ্জল হােসেন(৩০) ও মজনু(৪০) দ্বয়সহ আশেপাশের লােকজন ঘটনাস্থলে দ্রুত আসিয়া উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় বাদীর ছেলেকে সিএনজি যােগে শহীদ সােহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার সাহেব হাসিবকে মৃত ঘোষনা করেন। বাদী উক্ত সংবাদ ইং ১৩/১২/২০১১ তারিখ সময় রাত ০১.৩০ ঘটিকায় তার ব্যবহৃত মােবাইল নং-০১৮১৭৬৬৪০০২ তে মোবাইল নম্বর ০১৯৩৫৪৭৯২২১ এর মাধ্যমে ঘটনার বিষয় জানতে পেরে তাৎক্ষনিক বাড়ী হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে তার ছেলে শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭) মৃত অবস্থায় দেখ্তে পেয়ে সনাক্ত করেন। শাহআলী থানা পুলিশ বাদীর ছেলের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং শহীদ সােহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার সাহেব মৃতদেহের ময়না তদন্ত করেন। বাদী হাসপাতাল হইতে সেখানে উপস্থিত লোকজনসহ ঘটনাস্থলে আসিয়া স্থানীয় লােকজনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত অবগত হন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন যে, অজ্ঞাতনামা বিবাদী/বিবাদীরা গত ১২/১২/২০১১ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকা হইতে ১১.৫০ ঘটিকার মধ্যে তার ছেলে শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭) কে উল্লেখিত ঘটনাস্থলে ধারালাে ছুরি দ্বারা গলায়, বুকের ডান পার্শ্বে ও বাম হাতে বাহুর নিচে উপরিভাগে ও কনুইর উপরিভাগে পার মেরে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনঃ
মামলার ঘটনার বিষয়ে তদন্তকালে জানা যায় যে, মামলার ভিকটিম শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭) এর বাবার সহিত তার চাচাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফ্যাক্টরীর কর্মী গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মোফাজ্জল হােসেন মন্ডল (৩০), মোঃ জামাল মন্ডল, মাতা মোসাঃ রিজিয়া বেগম, সাং- পাকুনি কান্দা, থানা ও জেলা- রাজবাড়ী এর মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে যোগদান করার জন্য নিয়ে এসে পরিকল্পিত ভাবে ৫.০০.০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা চুক্তি করে অত্র মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী ২। মোঃ হুমায়ুন কবির(৬৫), পিতা-মৃত হারুন অর রশিদ, মাতা-মৃত আনােয়ারা বেগম, সাং-ভাসন্ডা, থানা+জেলা-ঝালকাঠি, এ/পি-বাসা নং-৬৪, রােড নং-০৬, ব্লকএ, থানা-শাহআলী, ঢাকা এর প্ররোচনায় আসামী ৩। মোঃ সাদ্দাম(১৬), পিতা-আলম শেখ, মাতা-মােসাঃ সাফিয়া খাতুন, সাং-তারাপুর, থানা-বেড়ী, জেলা-পৰিনা এ/পি-বাসা নং-২০, রোড নং-১৭, ব্লক-নিউসি, থানা-শাহআলী, ঢাকা আসানী ৪। মোঃ আল আমিন আহাম্মেদ(১৮), পিতা-মোঃ সেলিম উদ্দিন আহম্মেদ, মাতা-মৃত সায়েবা বেগম, সাং-চাপড়া, থানা-তানোর, জেলা-রাজশাহী এ/পি-বাসা নং-৫৫/৫৬, রোড নং-০৬, ব্লক-ই, থানা-শাহ আলী, ঢাকাদ্বয়ের উপস্থিতিতে এবং তাহাদের সহায়তায় অত্র মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী ৫। মােঃ হৃদয় (৯) পিতা-আলম ওরফে ফালান, মাতা-মোসাঃ ফাতেমা বেগম, সাং-বাসা নং-০৩, রোড নং-১৯, ব্লক-নিউ সি, থানা-শাহআলী, ঢাকা গত ১২/১২/২০১১ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকা হইতে ১১.৫০ ঘটিকার মধ্যে তখালী থানাধীন ই-ব্লকস্থ, রোড-০৬, বাসা নং-৩৭, এর পূর্ব-দক্ষিন কোনায় পাঁকা রাস্তার উপর ধারালাে চাকু ‘। মামলার ভিকটিম শাহদাৎ হােসেন হাসিব (১৭), পিতা-আবুল খায়ের, সাং-কিসমত আব্দুল্লাহপুর, থানা-বেগমগঞ্জ জেলা-নোয়াখালীকে এলোপাথারীভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পরি মারিয়া হত্যা করে। এ ব্যপারে অত্র গলার গেফতারকৃত আসামী মোঃ হৃদয়(১৬) এবং মোঃ সাদ্দাম (১৬) দ্বয় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ কাতাবেক স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করিয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
Leave a Reply