আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান
গত ৩রা আগষ্ট ২০২২ইং সন্ধায় কোলাপাড়া ইউনিয়ন অর্ন্তভুক্ত দোগাছী বাজারে যুবলীগের ২গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে এবং সেই রাতে সমেষপূর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম কাইয়ুম খানের পুত্র রবিউল আওয়াল (৪৫) সংঘর্ষের মূল নায়ক রাতে গৃহে ফিরে আসে নাই ।এই বিষয় পরদিন সকালে রবিউলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন থানায় সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করার পর সেই সন্ধায় পুলিশ ফোর্স দূরবর্তি আড়িয়ালখা বিলের পাশে তাহার ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ উদ্ধার করেন।এই সংবাদটি তাৎক্ষনিক এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটায় এবং আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-জেলেরা মাছ ধরে বাড়ী ফেরার পথে বেশকিছু কুকুর চেচামেচী ও ছোটাছুটি করতে থাকলে বিষয়টি সন্দেহর সৃষ্টি ঘটায় এবং গুরুত্বসহ রাস্তা সংলগ্ন ডোবার মধ্যে দৃষ্টিপাত করলে ভাসমান লাশটি দেখতে পায়। শ্রীনগর পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার ও ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করেন। ফলে প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগে লাশের পরিচয় ও মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে অবগত করেন যে-মৃত ভিকটিম রবিউল আওয়াল কোলাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রাক্তন নেতা এবং পেশাগত ভূমি ব্যবসায় জড়িয়ে অনৈতীক ভাবে সরকারী ও নিরিহ লোকজনের ভূমি জোরদখল ও বিক্রির কারনে তাহার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ থানায় দায়ের হয়েছে। কিন্তু তাহার রাজনৈতীক দলীয় প্রভাবের কারনে তাহার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই এবং তাহার এইরুপ অপকর্মের কারনে ৫/৬মাস পূর্বে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে তিনি নিজেই ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী বাহিনী গঠনকরে এলাকায় ত্রাসের নৈরাজ্য কায়েম এবং প্রতিনিয়ত এলাকা ও বাজারে জনগনকে ভয়ভীতিকর পরিস্থিতি সম্মুখীন করছে। ফলে নিশ্চিত ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে যে-নির্যাতিত প্রতিবাদী কিছু লোকজন পরিকল্পীত নিজেরা বা কাহারো মাধ্যমে তাহাকে হত্যা করে দূরবর্তি আড়িয়ালখা বিলের পাসে লাশ ফেলে আসে। এই বিষয় প্রতিনিধি মৃত ভিকটিম পরিবারে যোগাযোগে জানতে পারেন যে- মৃত রবিউল একজন সৎ ব্যবসায়ি ও পরউপকারী হিসাবে সমাজে সুপরিচিত ছিলেন বিধায় এলাকায় দূঃস্কৃতিকারীদের সাথে তাহার শত্রুতা সৃষ্টি হয়। মৃত রবিউলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন নিশ্চিত দাবী করে যে, এই হত্যার মূখ্য চক্রান্তকারী তাহার ছোট চাচা আবুল কাসেম খানের পরিবার এবং তিনি আরো অবগত করেন যে-দুই পরিবারে মধ্যে ব্যবসা ও সম্পত্তিগত জটিলতার কারনে পরিকল্পীত হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। প্রতিনিধি হত্যার বাস্তবতার কারণ জানতে চাইলে সুমাইয়া জানায় যে- যদিও হত্যার মুখ্য আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বসবাস করেন না কিন্তু সে আড়াল থেকে সুক্ষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গত ৩/০৮/২২ইং বাজারে পরিকল্পীত দাঙ্গা মারামারি সংঘঠিত এবং তাহার স্বামীকে অপহরণ ও গুপ্ত হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই হত্যার সন্দেহ ভাজন আসামীদের নাম জানতে চাইলে সুমাইয়া মৃত স্বামীর চাচাতো ভাই ১।মোঃ সুজনকে মুখ্য হুকুমের আসামী চিহ্নিত করে একই উপজেলার বাসিন্দা ২ ।নজু মিয়া পিং-আজাদ মিয়া, ৩। মুজাম্মেল শিকদার পিং-মস্তাক শিকদার, ৪।অসিম দেওয়ান পিং- সামাদ দেওয়ান, ৫। ইমরান হাওলাদার পিং-মৃত সুলতান হাওলাদার,৬। মাজিদ খান, পিং-মৃত দাউদ খান,৭। মোঃ তোফায়েল পিং-হাজী সুরুজ মিয়া, ৮। নাইম শেখ, পিং-দিলদার শেখ, ৯। শাহজাহান বেপাড়ী পিং-আক্কাস বেপাড়ী, ১০। দুলাল দাস, পিং-কিষান দাস ১১। প্রদ্বীপ মণ্ডল, পিং-মৃত রবি মন্ডল, ১২। সুজন চাকলাদার, পিং-মুজিব চাকলাদার ১৩। আতিক মিয়া, পিং-বরকত উল্লাহ, ১৪। মিজান দেওয়ান পিং-হাতেম দেওয়ান, ১৫। মোঃ জুলফিকার পিং-হাজী মুকছেদ মিয়া, ১৬। লুতফর হোসেন, পিং-আইউব হোসেন, ১৭। আশিক মোল্লা, পিং-হাজী বারেক মোল্লা গং কে সন্দেহাতীত হত্যাকারী মানিয়া থানায় অদ্য সকালে এফ, আই, আর, রুজু করেছেন ।থানায় যোগাযোগে ডিউটি অফিসার নিশ্চিত করেন যে-ভিকটিমের স্ত্রী সন্দেহভাজন আসামীদের নাম পরিচয় উল্লেখ পূর্বক সাক্ষীসহ অদ্য সকালে প্রাথমিক তথ্য বিবরনী ও এজাহারসহ মামলা দায়ের করেন তবে পুলিশ এখনো ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পায় নাই কিন্তু পুলিশ ফোর্স আসামীদের গ্রেফতার তৎপড়তা চলমান রেখেছেন।
Leave a Reply