আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
ঢাকা মোহাম্মদপুর বাবর রোডে বহুল প্রচারিত চাঞ্চল্যকর ঘটনা গত ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রবিবার রাতে সৌদি ফেরত মোঃ নোমান হোসেন (২৫) পিতা-মোঃ জাহাঙ্গির ও মাতা জরিনা বেগেম, স্থায়ি নিবাস লালমোহন, ভোলার বাসিন্দা তার স্ত্রীকে স্বাসরুদ্ধ হত্যারপর নিজে সিলিং ফ্যানে ফাসি নিয়ে আত্মহত্য করে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে উভয় পরিবারের অভ্যন্তরীন কোলাহর জের হিসাবে থানায় আত্মহত্যা অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এই অপমৃত্য বা হত্যা/আত্নহত্যার ঘটনাটি ছেলের পরিবার সন্দেহাতীত গুরুত্বপাত করে সি.আই.ডি ও পরবর্তিতে পি.বি.আই কে তদন্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ফলে, মোহাম্মদপূর ডিএমপি উপকমিশনার সোবাহান চৌধুরীর নির্দেশে সি.আই.ডি এবং পি.বি.আই.যৌথ উদ্ধোগে দীর্ঘসময় সুক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই নির্মম হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনার বাস্তবতার দিগন্ত উন্মোচন সক্ষম হয়। এই মামলার মুখ্য তদন্ত সংস্থা সি.আই.ডির নারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সুরাইয়া সুলতানা ও সহযোগী পি.বি.আই. কর্মকর্তা এস.আই. হাসিবুল ইসলাম যৌথ তদন্তে নিশ্চিত করেন যে-আত্মহত্যাকারী প্রবাসী স্বামী মোঃনোমান বিয়েরপর কর্মস্থল সৌদি আরবে ফিরে যায়। সেখানে থাকাকালিন জানতে পারে যে-স্ত্রী তার বন্ধুদের সাথে রঙ্গলিলা ও পরকিয়ায় লিপ্ত আছে। ফলে নোমান আত্মদহনে কাউকে কিছু না জানিয়ে ১০সেপটেম্বর ২০২২ইং স্বদেশ ফিরে আসে এবং মোহাম্মদপুরস্থ বাবর রোডে ফ্লাট ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ বসবাস কালিন তার ঘনিষ্ট ৩/৪জন বন্ধুদের সাথে স্ত্রীর পরক্রিয়ার চিত্র ধরাপড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে উভয়ের মধ্যে চরম অশান্তি কোলাহ সৃষ্টি হওয়াতে পর্যাক্রমে মোঃনোমান নিজের আত্ম-নিয়ন্ত্রন হাড়িয়ে একপর্যায় স্ত্রীর গলাটিপে হত্যা এবং নিজে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাস নিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা এই ঘটনার তদন্তর বিষয় বাড়ীর দারোয়ান, প্রতিবেশী ও ফ্লাটে ভাড়াটিয়া নোমানের ৪/৫জন বন্ধু এবং স্বামী স্ত্রীর মোবাইল ফোন সুক্ষ অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়ে ভোলাস্থ্য বসবাসরত ৩জন বাল্য বন্ধু যাদের সাথে স্ত্রীর অনৈতীক সম্পক উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়। অবশেষে স্বাক্ষী প্রমান ভিত্তিতে নোমানের বাল্য বন্ধু ১। রাহাত আনোয়ার (২৬), পিং-হাজী সালাউদ্দিন, ২। এনামুর রহমান রাব্বি (২৫), পিং-মোঃ মোহসীন মিয়া, ৩।মাসুম বিল্লাহ জিহাদ (২৫), পিং-সাইদুর রহমানগং-সকলে উপজেলা-লালমোহন, ভোলার স্থায়ি বাসিন্দা এবং মামলার তদন্ত চলাকালিন পুলিশ তাহাদের এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাহারা পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে যোগাযোগ বা সহযোগীতা না করে পালিয়ে আছে। ফলে পুলিশ তাহাদের এই মামলায় অভিযুক্ত চিহ্নিত করে আদালতে গত ৫/১১/২০২৩ইং অভিযোগ পত্র দাখিল করেন এবং তাহাদের দ্রুত গ্রেফতার তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply