1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :

ম্যানহোলের নাই ঢাকনা, ঘটছে দুর্ঘটনা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১
  • ৭১১ বার
ছবি-

একদিকে যেমন রাস্তার মাঝখানে ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, অন্যদিকে আবার দূপাশে সড়ক বেদখলের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেক এলাকার ২ নম্বর সড়কের এমনই বেহাল দশা। একই এলাকার বেশ কয়েকটি সড়কের মাঝখানে গর্ত হয়ে থাকায় রিক্সা, সাইকেল, মটরসাইকেল চলার পথে ঘটছে দূর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, শেখেরটেক ২ নম্বর রোডের যেই দূরাবস্থা, এতে আমাদের চলাফেরা করতে খুবই কষ্ট হয়। এমনিতেই ভাঙ্গা রাস্তা এর মধ্যে আবার এলাকার যতো ময়লা আবর্জনা আছে সব এই রাস্তায় ফেলার কারণে শুকনা ও বর্ষা মৌসুমে বাসার ময়লা যেমন রাস্তায় পরে থাকে। তেমনি ধূলাবালি জমে রাস্তার বেহাল দশা হয়। বর্ষা মৌসুমে হালকা বৃষ্টি হলেই বাসা বাড়ীর ময়লা বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় ভাসতে থাকে। রাস্তার মাঝখানে সুয়ারেজ লাইনের ঢাকনা না থাকার কারণে নানান রকম দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও দূপাশে সড়ক বেদখলের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলফু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার উপর বিভিন্ন জায়গায় ময়লা ফেলার কারণে রাস্তার দূপাশে ময়লার স্তুপ হয়ে গেছে। হালকা বৃষ্টি হলেই এসব বাসা বাড়ীর ময়লা কাঁদা হয়ে যায়। তখন আর চলাচলের রাস্তা থাকেনা। রাস্তার এমন দূরাবস্থায় কেউ এই রাস্তায় চলাফেরা করতে পারেনা।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জব্বর আলী বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ। রাস্তার দূ-পাশে অনেকে দখল করে রেখেছে। এতে রাস্তা ছোট হয়ে গেছে। আর এ রাস্তাটিতে সারা বছর জুড়ে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পুরো রাস্তায় ময়লা পড়ে থাকায় এলাকাবাসী চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটে। বর্ষার দিনে এই রাস্তায় কেউ চলাফেরায় করার কল্পনাও করতে পারেনা। কারণ এমন বেহাল দশায় কিভাবে চলাফেরা করবে। তাই আমরা চাই দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।

স্থানীয় চা দোকানদার আবুল মিয়া জানান, বমরা এই এলাকায় দীর্ঘ ৭/৮ বছর চা বিক্রী করি। এছাড়াও, এই এলাকায় ২০/২২ ধরে বসবাস করতেছি। এই রাস্তাটা হওয়ার পর প্রথমবার যে কাজ করছিলো এরপর আর দেখা পাইনা। রাস্তার এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় ধূলোবালির কারনে দোকানদারী করতে পারিনা। বর্ষাকালে তো রাস্তায় পানি জমে বন্যা হয়ে যায়। পাশাপাশি রাস্তার ময়লায় কাঁদা জমে যায়। তখন কেউ হাটার মতো অবস্থা থাকেনা।

রিক্সা চালক সবুর মিয়া জানান, এই রাস্তা পার হলেই আমাদের রিক্সার গ্যারেজ। এই দিক সকাল হলে রিক্সা নিয়ে বের হই। একমাত্র রিক্সা রাখতে আসা ছাড়া আর সারাদিন গ্যারেজে আসতে মন চায় না। এই এলাকার যাত্রী পারাপার করতেও ভয় লাগে। রাস্তায় কোনদিক দিয়ে ভাঙ্গা তা বৃষ্টি হলে দেখা যায় না। এছাড়াও, রাস্তা এতোটাই খারাপ রিক্সা টেনে নিতেও কষ্ট হয়ে যায়।

এ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম জানান, আমরা এই রাস্তাটি নিয়ে হাউজিং সহ সিটি কর্পোরেশনে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এই এলাকার রাস্তা-ঘাটের সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে পারবো।

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com