আমাদের প্রতিনিধি আসিফঃ
মাদারীপুর সদর থেকে প্রেরীত চাঞ্চল্যকর গৌরী রানী হত্যার বিষয় গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্যাদি উৎঘাটন করে অবহিত করেন। উল্লেখ্য যে-মিস্-গৌরী রানী বয়স আনুমানিক ১৭ বৎসর। কলেজে অধ্যায়নরত ছাত্রী গত ২৪/০৯/১৮ইং সন্ধায় বান্ধবী নীলিমাকে নিয়ে সদর মিলন সিনেমা হলে ছবি দেখে রাত আনুমানিক
১০.০০ঘটিকায় গৃহে ফেরার পথে দূর্বৃত্তদের হাতে অপহরন হয়। অপহরন প্রসঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে অনুসন্ধানে জানা যায় যে-দূর্বৃত্তরা পরিকল্পীত অপহরনের লক্ষে টেম্পু যোগে পূর্ব থেকে গৌরী রানীকে অনুসরন করে এবং গৌরী রানী রিক্সা যোগে বান্ধবী নীলিমাকে তাহার গৃহে পৌছে দিয়ে একাই গৃহে ফেরার পথে সরকারী খাদ্য গুদাম নিরিবিলি সড়কে দূর্বৃত্তরা রিক্সা চালক ও গৌরীকে ঘিড়ে ফেলে।
দূর্বৃত্তরা তাহাদের অস্ত্রের মূখে জীবন নাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে গৌরীকে জোরদবস্থ টেম্পুতে উঠিয়ে পালিয়ে যায় এবং পরদিন ভোরে পুলিশ ফোর্স জেলেদের মাধ্যমে কাজিরটেক ফেরী ঘাট সংলগ্ন পুলের নিচ থেকে গৌরী রানীর এসিড দগ্ধ ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন। পুলিশ ফোর্স ভিকটিমের বান্ধবী নীলিমার তথ্য অনুসারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিক্সা চালক ও গুদামের দারোয়ান কে সেই সন্ধায় থানার হেফাজতে বন্দি করে তাহাদের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন। এই ঘটনার বাস্তবতার বিষয় পুলিশ ও বাদী ভিকটিমের বড় ভাই শ্যামল বাবু এই নির্মম পাষবিক নির্যাতন ও হত্যা কান্ডকে সম্পূর্ন পরিকল্পীত ও ব্যক্তিগত শ্ত্রুতা চিহ্নিত করে ৩ জন সন্দেহ ভাজন ব্যবসায়ী পার্টনারের বিরুদ্ধে পর দিন রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে
২৫/০৯/২০১৮মামলা রুজু করেন। পুলিশ তৎপরতার সাথে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫জন সন্দেহ ভাজন আসামীকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়। এবং এই অপরাধে জড়িত ৩জন মূখ্য পলাতক হোতাসহ ৩জন সহযোগী সম্পৃক্ততা উৎঘাটনকরে তাহাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়। পুলিশের মাধ্যমে আরও জানা যায় যে-শ্যামল বাবুর ৩জন ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী পার্টনার ১। ইয়াকুব আলী রতন,পিং-মৃত জয়নাল মিয়া,সাং-সেপাইপাড়া,সদর,২। মোঃ মোশারফ, পিং-মৃত হারুনুর রশিদ তালুকদার ,সাং-লক্ষ্মিপুর ,কালকিনি,৩।হাজী নুর মোহাম্মাদ,পিং-মৃত হাজী আব্দুল গনি, সাং-সদর ,মাদারীপুরগণ এই অপরাধের মূখ্য ষড়যন্ত্রকারি ও হুকুমের আসামী হিসাবে সন্দেহাতীত জড়িত আছে। বর্তমানে মামলাটি থানার তদন্তনাধীন এবং ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসারে প্রতীয়মান হয় যে-ভিকটিম গৌরীকে অপহরনের পর একাধীক ব্যক্তি তাহার উপর পাষাবিক বিকৃত যৌন নির্যাতন ও হত্যারপর পরিচয় নির্মুল করার জন্য এসিড দ্বারা মুখমন্ডল পুড়িয়ে দেয়।
মামলায় গ্রেফতারকৃত ৫জন আসামী ১ বাদশা মিয়া,পিং-গফুর মিয়া,সাং-রাজারচর ,মাদারীপুর,২। আনোয়ার হোসেন,পিং-মকবুল হোসেন,সাং-কোলচরি ,কালকিনি,৩।মোঃ সালাম বয়াতী,পিং-মুজাম্মেল বয়াতী,সাং-কলেজপাড়া,মাদারীপুর,৪।মোঃ মনির হোসেন,পিং-আব্দুর রাজ্জাক, সাং-পলাশপুর ,শীবচর ,৫ মোঃদেলোয়ার হোসেন,সাং-মৃত মোঃজাকির হোসেন, সাং-সেপাইপাড়া,মাদারীপুর বর্তমানে হাজতে বন্দি আছে। আরও ৩জন সহচর ও পলাতক আসামী ১।কাজল মিয়া,পিং-হারুন বেপাড়ী, সাং-কলেজপাড়া,সদর ,মাদারীপুর,২।মোঃআনামত মিয়া,পিং-মৃত মোঃজমির উদ্দিন,সাং-রুপনগর,কালকিনি, ৩।সাহাদাত হোসেন পিং- মকবুল হোসেন,সাং-পাথরীয়া,শীবচরগন অপরাধ সংঘঠিত করিয়া পলাতক আছে। এবং পুলিশ তাহাদের সন্ধানে তৎপড় আছে। এই নির্মম হত্যার ঘটনাটি এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনার বিরাজ করেছে এবং সংখ্যালঘুরা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে গৌর হত্যার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আইন প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করছে।
Leave a Reply