১২ইং জানুয়ারী ২০২২ইং বুধবার রাতে পুলিশ ফোর্স রাঙ্গুনিয়াতে চাঞ্চল্যকর মোঃ ইউসুফ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ৫জন আসামিকে গ্রেফতার করতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ৩নং স্বনির্ভর ইউনিয়নস্থ পালপাড়া গ্রামে মৃত নিরঞ্জন কান্তি পালের বাড়ীতে অভিযান চালায় । কিন্তু আসামি জনি কান্তি পাল পুলিশের আগমন বুঝতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং পুলিশ ফোর্স সর্বত্র তল্লাসি চালিয়ে একপর্যায় বাড়ীর বাশঁ ঝড়ে হঠাৎ পরিত্যক্ত ছালার ব্যাগ থেকে বেআইনি অস্ত্রসহ বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযান কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন যে-আসামি জনি কান্তি পাল পুলিশের আগম টের পেয়ে চটের ব্যাগে ভারতীয় ১টি পাইপ গান, ১টি রিভালবারসহ ৫রাউন্ড গুলি ও ২টি তাজা বোমাসহ ৪টি ধারালো চাপাটি বাঁশ ঝাড়ে লুকিয়ে পালিয়ে যায়।
ফলে সেইরাতে এজাহার ভুক্ত আরো আসামিদের গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা চালিয়ে গ্রামের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কর্মকর্তা জানতে পারে যে-আসামিরা চোরাই মালামাল ব্যবসায় নিয়োজীত হয়ে ভারত সিমান্তে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ায় করছে। এমনকি কালো টাকা রোজগারের লক্ষে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাহিদা মোতাবেক ভারত ও বার্মা থেকে বেআইনি অস্ত্র গোলাবারুদ ইত্যাদি সর্বরাহ করে আসছে। প্রতিনিধি রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ অফিসার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শদের জিজ্ঞাসা বাদে নিশ্চিত হন যে ইউসুফ হত্যা মামলার পলাতক আসামি ১। জনি কান্তি পাল (৩৬),পিং-মৃত নিরঞ্জন কান্তি পাল, একই ইউনিয়নের বাসিন্দা, ২। লিটন মল্লিক (৩৪),পিং-সুজিত মল্লিক,৩। নিউটন মহাজন (৩৭),পিং-বাদল মহাজন, ৪। খোকন পাল,(২৮)পিং-দুলাল পাল গং- এই গুরুতর অপরাধের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত আছে। অভিযান কর্মকর্তা আরো ব্যক্ত করেন যে সেই রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি লিটন মল্লিককে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয় যে-পলাতক আসামি জনি কান্তি পালের নেতৃত্বে সহযোগী ২জন পলাতক আসামিরা সমাজ সেবার নামে হিন্দুত্ববাদ প্রভাব বিস্তারের ষড়য়ন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি সংগঠনদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করছে। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সেইরাতে পুলিশ বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাঙ্গুনিয়া থানায় পৃথক ১টি মামলা রুজ করেন এবং তাহাদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
Leave a Reply