শাহআলী থানা, মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা। ২। । ৩। ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ২৮/১২/২০২০ খ্রিঃ ও সময় অনুমান ১২.৩০ ঘটিকা ৪। ঘটনাস্থলঃ শাহআলী থানাধীন হাজী রােডস্থ ঝিলপাড় বস্তির সামনে মেইন রাস্তায়।
মত বিবরণঃ মামলার বাদী ইং-২৮-১২-২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ০৫,৪৫ ঘটিকায় বাসা হতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায় এবং বেলা অনুমান ১২.৪০ ঘটিকায় বাসায় এসে বাদীর স্ত্রীর নিকট জানতে পারি বাদীর বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার আয়শা(৮) এবং ছােট মেয়ে উম্মে হাবিবা বয়স ০৫(পাঁচ) মাসকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বাদী তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় তার মেয়েদেরকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন তার বড় মেয়ে আয়শাকে পুলিশ দারুস সালাম থানাধীন টেকনিক্যাল মােড় হইতে উদ্ধার করেছে। ইং-২৮-১২-২০২০ তারিখ অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় শাহআলী থানাধীন হাজী রােডস্থ ঝিলপাড় বস্তির সামনে মেইন রাস্তায় রােদ পােহানাের জন্য বের হলে একজন অজ্ঞাতনামা বােরকা পরিহিত মহিলা আসামী বাদীর বড় মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে তােমার মায়ের নাম কি খাদিজা? চল তােমাকে ও তােমার বােনকে চিপস কিনে দিই। এই বলে ফুসলাইয়া বাদী ছােট মেয়ে উম্মে হাবিবাকে কোলে নিয়ে বড় মেয়েকেসহ হেঁটে কমার্স কলেজের পূর্ব পাশের একটি দোকানে চিপস কিনে দেয়। তারপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হয়ে একটি ভ্রাম্যমান ফুলের দোকান থেকে একটা গােলাপ কিনে বাদীর বড় মেয়েকে দেয়। এরপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রাইনখােলা বাজারের ওয়ালটন শাে রুমের পাশে ১ টু ৯৯ প্লাস। দোকানের ভিতরে নিয়ে বাদীর মেয়েদের পুতুল কিনে দিয়ে মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিক্সাযােগে মিরপুর-১ নম্বর নিয়ে যায়। সেখানে রিক্সা বদল করে অন্য একটি রিক্সা নিয়ে দুই মেয়েকে দারুসসালাম থানাধীন টেকনিক্যাল মােড়ে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে বাদীর বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার আয়শা(০৮) কে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে বাদীর ছােট মেয়ে উম্মে হাবিবা বয়স-০৫(পাঁচ) মাসকে কোলে নিয়ে একটি অজ্ঞাতনামা বাসে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদীর বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার আয়শা (০৮) রাস্তায় লােকজনকে কান্নাকাটি করে ঘটনার কথা বললে পুলিশ সেখান হতে বাদীর বড় মেয়েকে উদ্ধার করে।
৬। গৃহীত ব্যবস্থাঃ এ সংক্রান্তে উক্ত অজ্ঞাতনামা মহিলার বিরুদ্ধে শাহআলী থানার মামলা নং-৩৮, তাং-২৮/১২/২০২০ ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশােধনী/ ০৩) এর ৭ রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্ত ভার এসআই/মােঃ মতিউর রহমানকে প্রদান করি। এসআই/মােঃ মতিউর রহমান অত্র থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মােঃ মেহেদী হাসান অত্র মামলার আসামী গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারে তৎপর হয়। উক্ত মামলার ভিকটিম হারানাের বিষয়টি অনলাইন ফেসবুকে প্রচার করিলে ফেসবুক গ্রুপ “সাভার বাসি” এর পরিচালনাকারী মােঃ সজীব উক্ত পােস্টটি গত ২৯/১২/২০২০ইং তারিখ সময় ১৩.০০ ঘটিকায় সাভারবাসি গ্রুপে প্রচার করে। সেই পােস্টের সূত্র ধরে সজীবের পরিচিত রিপা নামক মহিলা সজীবকে মােবাইলে ফোন করে জানায় যে, তাহার পরিচিত সুমাইয়া আক্তার মালা গত ২৮/১২/২০২০ইং তারিখ একটি মেয়ে শিশু নিয়ে এসেছে। তখন সজীব মােবাইলে মামলার তদন্তকারী অফিসারের সহিত যােগাযােগ করে বিষয়টি অবগত করে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই বাছায়ের লক্ষ্যে অদ্য ৩০/১২/২০২০ইং তারিখ সময় রাত ০২.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলা সাভার থানাধীন পূর্বহাটি গ্রামের সুমাইয়া আক্তার মালার স্বামীর বাড়ীতে হাজির হয়ে সুমাইয়া আক্তার মালার হেফাজত হইতে উম্মে হাবিবা বয়স-০৫(পাঁচ) এর বাবা ও মায়ের সনাক্ত মতে উদ্ধার পূর্বক নিজ হেফাজত নেয়। আসামী সুমাইয়া আক্তার মালাকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে সে অত্র মামলার ভিকটিম উম্মে হাবিবাকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে শাহআলী থানাধীন ঝিলপাড় বস্তি হইতে অপহরণ করে। আসামীর হেফাজত হইতে অপহরণকালে পরিহিত বােরকা এবং ওড়না উদ্ধার করে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।
এ। গ্রেফতারঃ ১। সুমাইয়া আক্তার মালা (২৬), স্বামী-মােঃ আনােয়ার হােসেন, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-গােপালপুর, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর, এ/পি-পূর্ব হাটি, হেমায়েতপুর, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা।
প্রস্তুতকারী
(আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান)
বিপি-৭৭০৬১০৮০৭৬
অফিসার ইনচার্জ . শাহআলী থানা, ডিএমপি, ঢাকা।
Leave a Reply