আমাদের ফেনী সংবাদ প্রতিনিধি
গত ১৩ই অক্টোবর ২০২১ইং সালে কুমিল্লায় পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা কেন্দ্রিক সারাদেশে সাম্প্রদায়িক ভয়াবহ দাঙ্গা ও নির্যাতীত সংখ্যা লঘুদের উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রতিনিধি ফেনীতে একটি পরিসংখ্যান সমিক্ষা উপস্থাপন করেন। তিনি ফেনী সদরে বসবাসরত আনুমানিক ১৪টি হিন্দু ক্ষতীগ্রস্ত নির্যাতিত পারিবারীক মন্দির পরিদর্শন ও ভিকটিম পরিবারের সাথে সেই দিনের ভয়াবহতার সৃতিচারন করে উগ্রবাদীদের হামলার বিষয় জানতে চাইলে অনেক পরিবার ভীতগ্রস্থ হয়ে কম্পিত কণ্ঠে মূর্তির মত দাড়িয়ে ছিল।
সেই দিনের ঘটনার উৎপত্তি ও প্রতিক্রিয়ার বিষয় তাহাদের জিজ্ঞাসা করলে একজন মধ্য বয়সী শ্রী অরুন দত্ত নির্মম ক্রন্দনরত প্রতি উত্তরে জানতে চায় যে-আপনি কি হাজারি পরিবারে প্রতিনিধি হয়ে তেল মাখা প্রস্তাব নিয়ে আমাদের সাথে মস্কারা করছেন না কি? যাহার ফলে তাহার এই বিতর্কিত প্রশ্নটি প্রতিনিধিকে সেই দিনের নির্মম ঘটনা প্রবাহে অসংখ্য বর্বরতার বাস্তব চিত্রের প্রতি উত্তর প্রতিফলিত করেন। যাহারপর প্রতিনিধি অত্যন্ত সহনশীল মনভাব নিয়ে ভিকটিম পরিবারদের জীবনের নিরাপত্তার প্রতি নিশ্চয়তা প্রদান করে অনেক অজানা রুঢ় বস্তবতার উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়।
ফেনী সদরে কোন এক মন্দিরের পুরোহীত(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তিনি গুরুতর পঙ্গুত্ব অবস্থায় একটি বিষয় বারবার সাবধান করেন যে-হাজারি পরিবারে বিষয় কোন প্রশ্ন করলে তিনি কোন প্রশ্নের জবাব দেবেননা। উপস্থিত সেই দিনের গুরুতর আহত শ্রী জনার্ধন শাহাকে আক্রমনের বিষয় জিজ্ঞাস করলে তিনি শুধু এতটুকু নিশ্চিত করেন যে-আমি অপরাধীদের চিনি কিন্তু তাহাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করলে আজ রাতেই আমার ঠিকানা হবে শশানে। তিনি ক্রন্দনরত আরো অবগত করেন যে-আমার কন্যা ও স্ত্রীর উপর যাহারা পাষাবীক নির্যাতন চালিয়েছে তাহারা মৌলবাদী ছিল না বরঞ্চ প্রভাবশালী রাজনৈতীক মহলের ব্যক্তিত্ব। শ্রী প্রমদ রঞ্জন ঘোষ সেই ঘটনার ভিকটিম গুরুতর আহত ও সর্বস্ব হারিয়ে ক্রন্দনরত ব্যাক্ত করে-আমি হামলা কারিদের পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করেছি আমার শেষ আশ্রয় এই পৈতৃক গৃহে আগুন না দিতে কিন্তু মাক্স পড়া হাজারির সন্ত্রাসীরা আমাকে বলে চিন্তা করিস না সরকার তোকে নতুন বাড়ী তৈরীকরে দেবে এই বলে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরন ঘটায়।শ্রী সুশেনদাস ও স্ত্রী কামিনি দাস ক্রন্দনরত ব্যাক্ত করে ভগবান শুধু হাজারি পরিবারকে ক্ষমতা দিয়েছে নিরিহদের উপর নির্যাতন করতে।তাহারা আরো ব্যাক্তকরে-শারীরিক নির্যাতন ও মন্দির, ঘড়বাড়ী ভাঙ্গচুর করেই শুধু খ্যান্ত ছিল না মূল্যবান জিনিষপত্র স্বর্ণালংকার টাকা ইত্যাদি লুটপাট করে যাওয়ার সময় কঠোর সাবধান করে দেয়-যদি পুলিশ/সাংবাদিক জিজ্ঞাস করে তবে দাড়িওয়ালা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের নাম বলতে।
প্রতিনিধি বিত্তবান কিছু ব্যবসায়িদের সাথে সাক্ষাতে নিশ্চিত হয়-আর্থীকভাবে চরম ক্ষতীগ্রস্থ্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ি শ্রী প্রতাব চন্দ্র বনিক তাহার বক্তব্যে সুষ্পষ্ট বর্ননা করেন-এই ঘটনাটি সম্পূর্ন রাজনৈতীক প্ররোচনা ও প্রতিপক্ষ বিরোধী দল গুলীকে ঘায়েল করার লক্ষে সুবিধাবাদী ক্ষমতাশীন দলীয় নেতাদের ষড়যন্ত্র এবং যাহার নির্মম বর্বরতা দেশের সংখ্যা লঘুদের জীবনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এলাকার আরো কিছু ভিকটিম সংখ্যা লঘুদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত জানাযায় যে- এই নজিরবিহীন বর্বরোচিত ঘটনার পর থেকে ফেনী সদরে সুপ্রতিষ্ঠিত বেশকিছু হিন্দু পরিবার নিরুদ্দেশ এবং কিছু সর্বস্ব হারিয়ে ও জীবনের নিরাপত্তা জনিত কারনে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র আত্নগোপন বা প্রবাসে অবস্থান করছেন।যাহার মধ্যে বিশিষ্ঠ কাপড় ব্যবসায়ি শ্রী শমির শাহা, স্বর্ন ব্যবসায়ি শ্রী অনুপ কর্মকার, খাদ্য ব্যবসায়ি শ্রী তাপশচন্দ্র বনিক, মনোহরী ব্যবসায়ি শ্রী বিপ্লব বনিক, মিষ্টি ব্যবসায়ি শ্রী গোবিন্দ ঘোষ, শ্রী সমেন ঘোষ,শ্রী প্রদ্বিপ চন্দ্র পালসহ আরো অনেক পরিবার হাজারি বাহিনির সম্পদ দখল কেন্দ্রীক বর্বর নির্যাতন ও জীবন নাশের হুমকি ধামকি ইত্যাদির কারনে সহায় সম্পত্তি বিসর্জন দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর ফেনী সদরে হিন্দু বৈদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদসহ অনেক মানবাধীকার ভলেন্টারী সংগঠনের সাথে যোগাযোগে প্রতিনিধি জানতে পারেন যে-সেই দিনের ঘটনাটি সম্পূর্ন রাজনৈতীক প্রেক্ষাপটে সুপরিকল্পীত একশ্রেনীর ক্ষমতার লোভী নেতাদের ষড়যন্ত্র।যাহারপর তাহারা অত্যন্ত সংকিত ও বিচলীত হয়ে আসংখ্যা করছে যে সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে এইরুপ ভয়াবহ সাম্পদায়িক ঘটনা আরো বহুবার ঘটার পূর্বাভাস অনুধাবন করছেন।
যাহার মূখ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষমতাশীন দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের স্বার্থের সাথে জড়িয়ে আছে বলে সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন। প্রতিনিধি এই ঘটনার উদ্রীত দিয়ে সদর ফেনী থানায় দায়েরকৃত আইনি প্রক্রিয়াধীন মামলার গুলীর বিষয় জানতে চাইলে থানার ও/সি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বিষয়টি সম্পূর্ন ধর্মকেন্দ্রীক রাজনৈতীক দলীয় ষড়যন্ত্রর সৃষ্টাচার হিসাবে দাবী করে। ও/সি ও সহযোগী কর্মকর্তারা আরো দাবীকরে-জামায়েত বিএনপি ও খেলাফতি আন্দোলন দলীয় রাজনৈতীক চক্রের এটা ছিল দেশে আগামি নির্বাচন বাঞ্চালের নৈরাজ্যে সৃষ্টির একটি আগাম পূর্বাভাস বা সংকেত। প্রতিনিধির তথ্যে এই বর্বচিত ঘটনায় গোপন অনুসন্ধানে অনুধাবন করা হয়-আনুমানিক ৫০/৫৫টি মামলা গত ১৫থেকে ২১ইং অক্টোবর সদর থানায় দায়ের করা হয়েছে যাহার মধ্যে বেশীরভাগ সংখ্যালঘু ও বিরোধী দলীয় সমর্থকদের উপর দোষারোপ করে আইনি কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রতিনিধি এই সম্পদায়িক দাঙ্গার ঘটনা প্রবাহের সাথে হাজারি পরিবারে সম্পৃত্ততার বিষয় জানতে চাইলে ও/সি সাহেব সম্পূর্ন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বিষয়গুলী সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়াস চালায় এবং দাঙ্গাফসাদ ও জানমালের অপুরনীয় ক্ষয়ক্ষতি অভিযোগের সম্পূর্ণ দায়ভার জামায়েত ও বিএনপি সদস্যর উপর আরোপ করেন। ও/সি নিশ্চিত করেন যে- প্রতিটি মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তভার সদর থানা, পিবিআই ও সিআইডি দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন এবং ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে উপযুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
Leave a Reply