আমাদের মৌলভীবাজার প্রতিনিধির সংবাদ-
গতকাল ১লা আগষ্ট ২০২৩ইং বিকাল আনুমানিক ৩.১৫ হইতে ৪.১৫ ঘটিকায় সদর থানা নিয়ন্ত্রনাধীন টিবি হাসপাতাল রোডস্থ, সদর মৌলভীবাজার বাসিন্দা এবং জজ কোর্টের কর্মচারী অন্তস্বত্বা মৌসুমি তালুকদার (৩২) ও স্বামী কলেজের প্রভাষক শ্রী নিপন দাস (৪০) গনকে ৫/৬জন দুর্বৃত্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে গৃহে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করলে মৌসুমীর অবস্থায় আশংকাজন বিধায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আই.সি.ইউ তে চিকিৎসাধীন এবং স্বামী নিপন দাস যদিও আশংকা মুক্ত কিন্তু গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। প্রতিনিধি এই হত্যার চেষ্টার কারন জানতে ভিকটিমের ২বোন মৌরী তালুকদার স্কুল শিক্ষিকা ও মৌটুসি তালুকদারকে জিজ্ঞাসা করলে উভয়ে অত্যন্ত ভীতগ্রস্থ্য অবস্থায় অবগত করেন যে, তাহারা মূলত সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলায় রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই অনাকাঙ্খিত ববরচীত হামলার পূর্বে মৌরী পেশাগত কারনে স্কুলে ছিল এবং ছোট বোন মৌটুসি শিশু সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে বাহিরে ছিল বিধায় সৌভাগ্যবশত জানে বেচে গেছে। তাহারা ঘটনার উৎপত্তির বিষয় ধারনা করছেন যে-পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাদের লোভে চাচারা তিন বোনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্তহয়ে ভারাটিয়া খুনিদের দ্বারা গৃহে হামলা চালিয়েছে। বোনদের সুস্পষ্ট বক্তব্য যে-তাহাদের স্বর্গীয় পিতা শ্রী রনধীর তালুকদার মৃত্যুর পূর্বে নিজের সম্পত্তি আইনগত ৩ কন্যাকে সমবন্টন দলিলে বুঝিয়ে দিতে তাহার ৩ চাচাতো ভাইকে দায়িত্ব দেন এবং ভাইরা সম্মতি জানিয়ে ক’এক বৎসর দায়িত্ব পালন করেছিল। কিন্তু পর্যায়ক্রমে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি ও ৩বোন স্বাবলম্বী হওয়ারপর পৈতৃক সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চাচাদের অনুরোধ জানালে চাচারা বিভিন্ন অনৈতীক পন্থায় তাহাদের বঞ্চিত করতে চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। প্রতিনিধি হামলার বিষয় জানতে চাইলে মূমুর্ষ মৌসুমীকে সম্পূর্ণ বাকপ্রতিবন্দি অবস্থায় ওসমানি মেডিক্যালে আই.সি.ইউতে চিকিৎসাধীন দেখতে পান ফলে চিকিৎসারত স্বামী নিপন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে যে-তিনি কলেজ থেকে গৃহে প্রবেশের সময় ৫/৬জন মাক্স পরিহিত যুবককে ২টি মোটর বাইকে আনুমানিক ৩.১৫/৩.৩০ ঘটিকায় বাড়ীর পাশে ঘোরাঘুড়ি করতে দেখেন। তিনি বাথরুমে গোসলরত হঠাৎ স্ত্রীর চিৎকারে দ্রুত বেডরুমে দেখেন যে দুর্বৃত্তরা চাকু দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ২শালিকা মৌরী ও মৌটুসিকে হত্যা করতে খোজা খুজি করছে এবং নিপন স্ত্রীকে রক্ষার পূর্বেই ২জন দূর্বত্ত তাকে ফ্লোরে চেপে ধরে নির্মম মারতে থাকে। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম তাহাদের চিৎকারে দ্রুত গৃহে প্রবেশ করেই রক্তাক্ত ও জ্ঞানহীন অবস্থায় ২ জনকে দেখতে পায় এবং দূবৃর্ত্তরা তাৎক্ষনিক রাবেয়াকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানার সাথে সাথে স্বামী স্ত্রীকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে উভয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে তাৎক্ষনিক ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে সুচিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়। মৌলবীবাজার সদর থানা পুলিশকে এই বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে-গত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় এফ.আই.আর, রুজুরপর দূর্বৃত্তদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যহত রেখেছেন।তবে ভিকটিমদের পক্ষে কেও এজাহার দায়ের করলে কর্তৃপক্ষ মামলা হিসাবে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবেন কিন্তু প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগে জানাযায় যে-ভিকটিম মৌসুমির ২বোন চরম ভীতগ্রস্থ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার কারনে এলাকা ত্যাগকরে অন্যত্র আত্মগোপনে আছে।
Leave a Reply