নােয়াখালীর সােনাইমুড়ি উপজেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধি ফয়সালের সংবাদ-
উল্লেখ্য যে, সােনাইমুড়ি উপজেলা কোনা গ্রামবাসি মৃত ফজর আলীর পূত্র আব্দুর রব (৬৪)গত ৭/০৪/১৭ইং বাংলাবাজার সংলগ্ন পৈতৃক সম্পত্তির উপর দোকান নির্মাণকালে প্রতিপক্ষ চাচাতে ভাই বােনসহ চেয়ারম্যানের কঠোর বাধার সম্মুখিন হয়। যাহার ফলে উভয়ের মধ্যে ভয়াবহ মারামারিতে সম্পত্তির প্রকৃত মালিক আব্দুর রব গুরুতর আহত চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৮/০৪/১৭ই সকালে মৃত্যুবরন করেন। ঘটনা প্রসংগে উল্লেখ্য যে,আব্দুর রবের সাথে তাহার চাচাতাে ভাই ফজল আলী,ওমর আলী,বােন সিতারা বেগম,নাজমা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন পূর্বে পৈতৃক সম্পত্তি বাটোয়ারা নিজেদের অধিকার সঠিক ভাবে বুঝিয়া নেয়। কিন্তু ২০১৩ইং সালে ইউনিয় পরিষদ রাস্তা বর্ধিত হওয়াতে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধিপায় এবং বাংলাবাজার সংলগ্ন আব্দুর রবের সম্পত্তি অবস্থিত হওয়াতে উভয় পরিবারে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরােধ ও জটিলতা সৃষ্টি হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে প্রতিপক্ষের সাথে শত্রুতা ভয়াবহ রুপ নেয় এবং একপর্যায়ে এই নির্মম হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। এলাকাবাসির মাধ্যমে জানাযায় যে, বাংলাবাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা বর্ধিত কাজ চলাকালিন প্রভাবশালি চেয়ারম্যান আব্দুর রবকে সম্পত্তি বিক্রির জন্য চাপ সৃষ্টি করেন কিন্তু আব্দুর রব কোন ভাবেই সম্পত্তি বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না। ভিকটিম পরিবারে যােগাযােগে জানাযায় যে,আব্দুর রবের চাচাতাে ভাইরা রাজনৈতীক প্রভাবে ও চেয়ারম্যানের সহযােগীতায় ভুমি প্রশাসনের দূর্নীতির মাধ্যমে তাহাদের মােট ৪৬ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ৩০শতাংশ ভুমি জাল-দলিলপত্র দ্বারা জোরদখল করেছে। যাহার ফলে সম্পত্তির মালিক আব্দুর রব ভুমি কমিশনার অফিসে দলিল ও নামজারি খারিজ সংশােধনী মামলা করাতে প্রতিপক্ষরা তাহাকে নির্মম ভাবে জনসম্মুখে কুপিয়ে হত্যা করে পুনরায় সম্পত্তি জোরভােগ দখলে আছে। প্রতিনিধি থানায় যােগাযােগে অবগত করেন যে-এই হত্যাকান্ডর বিরুদ্ধে। সােনাইমুড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজুকরা হয়েছে কিন্তু অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এখনাে কোন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই তবে প্রক্রিয়া চলমান আছে।
Leave a Reply