রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে মাইক্রোবাস থামিয়ে চাদাঁবাজীর অভিযোগে পাঁচজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সাগর, জামা আক্তার মিতু, বিপ্লব, অজিউল্লা খোকন ও ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে উত্তরা বিমানবন্দর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের একটি মোবাইল ফোন, পাচঁটি প্রেস আইডি কার্ড ও ৬ টি মোবাইল ও চাদাঁবাজীর কাজে ব্যবহত ঢাকা টিভির লোগো লাগানো একটি ক্যামেরা জব্দ করে পুলিশ। এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি মাইক্রোবাস থামানো হয়। গাড়িতে চোরাই মালামাল রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে থাকা লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে তারা। টাকা না দিলে ছবি তুলে পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে তা প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দেয়। গাড়িতে থাকা লোকজন টাকা দিতে অস্বীকার করলে তর্কবিতর্কে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সাতজন থাকলেও পাঁচজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়। দুজন কৌশলে পালিয়ে যায়। উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাস প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় গাড়ী থামিয়ে চাঁদা দাবি ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অপরাধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, এটি একটি চক্র। এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভেজাল মালামাল বিক্রিসহ নানা অভিযোগ তুলে ছবি ও ভিডিও করে পত্রিকায় এবং টেলিভিশনে প্রচার করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে আসছিল। এমন অভিযোগ আমরা পেয়ে আসছিলাম। এসব বিষয়ে আগে থেকে নজরদারি ছিল।
Leave a Reply