আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি:
বিয়ানীবাজার উপজেলা অন্তরভুক্ত মাথিউরা পূর্বপাড়া গ্রামে মৎস খামারে ডাকাতি ও বিষ প্রয়োগসহ হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয় অবগত করেন। উল্লেখ্য যে-গত ৫ই নভেম্বর ২০২২ইং শনিবার গভীর রাতে কে বা কাহারা শত্রুতার জের হিসাবে পরিকল্পীত ভাবে মোঃ আলতাফ হোসেনের মৎস চাষের দীঘিতে ডাকাতি ও নিষ্ঠুর ভাবে বিষ প্রয়োগে প্রচুর মাছ হত্যা করে। ফলে এই নিকৃষ্ট বর্বচীত অপরাধকর্ম চলাকালিন দীঘির নৈশ গার্ড মোঃ জামাল (৩০) অপরাধীদের বাধা দেয় এবং তাহাদের চিনতে পেরে চিৎকার করলে তাহারা ধারালো হাতিয়ার দ্বারা জামালকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় ভিকটিমের চিৎকারে পার্শ্ববর্তি দীঘির জেলেরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে জামালকে রক্তাক্ত ও অর্ধজ্ঞানহীন গোঙ্গড়াতে দেখে তাৎক্ষনিক এলাকাবাসিকে অবগত করলে দীঘির মালিকসহ প্রতিবেশীরা উপস্তিত হয়। গুরুতর রক্তাক্ত জামালকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনায়ন করলে ডিউটি ডক্টর তাহাকে মৃত ঘোষনা করেন এবং আইন সংস্থাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এইরুপ অনাকাঙ্খিত মৎস ডাকাতি ও দীঘিতে বিষ প্রয়োগসহ হত্যার প্রসঙ্গে সংবাদ প্রতিনিধি অদ্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-দীঘির মালিকের সাথে স্থানিয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতীক মহলের পারিবারীক সম্পত্তি ও বিরোধী রাজনৈতীক দলীয় মতবাদের কারনে সম্পূর্ন শত্রুতা বশত বিষ প্রয়োগ ও হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয়েছে। প্রতিনিধি স্থানীয় মৎস ব্যবসায়িদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-ডাকাতি ও বিষ প্রয়োগে মৎসর সার্বিক ক্ষয়-ক্ষতীর আনুমানিক বাজার মূল্য ১২/১৫ লক্ষ টাকার সমতুল্য হবে। নিরিহ নৈশ প্রহড়ীর জামাল হত্যার বিষয় স্থানীয় কিছু লোকজনের ধারনা যে-ভিকটিম জামাল অপরাধীদের পরিচয় জানার ফলে তাহাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই হত্যার বিষয় ভিকটিমের বিধবা স্ত্রী ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ভিন্ন মতবাদ পোষন করে প্রতিনিধিকে অবগত করেন যে-দীঘির মালিক বিএনপি জামায়েত রাজনীতির সমর্থক/সদস্য বিধায় দলীয় অসৎ উদ্দেশ্যে গভীর চক্রান্তের লিপ্তহয়ে প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় নেতাকর্মিদের হেও প্রতিপন্ন ও আইনি ভাবে ঘায়েল করার লক্ষে দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা মাছের দীঘিতে ডাকাতি ও বিষপ্রয়োগ করানোর সময় নৈশ প্রহড়ী জামাল তাহাদের চিনতে পাড়ায় তখন জামালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফলে উভয় পক্ষ একে অপরের প্রতি এইরুপ বিরুপ অভিযোগ ও ধারনার প্রেক্ষাপটে প্রতিনিধি আইন সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটি পরিকল্পীত ও রাজনৈতীক প্রতিহিংসার প্রতিফলন হিসাবে মনে করছেন। অতঃপর ভিকটিম মৃত জামালের বিধবা স্ত্রী সন্দেহাতীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস খামারের মালিক মোঃ আলতাফ হোসেন ও তাহার স্ত্রী পূত্রদের সন্দেহাতীত আসামী চিহ্নিত করে অদ্য থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। তবে প্রতিনিধি দীঘির মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে জানতে পারেন যে-তিনি এই ঘটনারপর থেকে স্বপরিবারে এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে আছে বিধায় আইন সংস্থা এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেন নাই।
Leave a Reply