আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ বাসিন্দারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশুদ্ধ পানির অভাব ও পানিতে এ্যারসনিক জনিত কারনে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জীবন যাপন করছেন।
এই বিষয় এলাকাবাসিরা সরকারে কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ ও আবেদন জানিয়ে বর্তমানে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করছেন। আমাদের প্রতিনিধি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ বিষয় যোগাযোগে জানতে পারেন যে-সরকার বিষয়টি বিগত ২০১৩ইং সাল থেকে অত্যন্ত গুরুত্বর সাথে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। কিন্তু বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে প্রতিনিধি ডুমুরুয়া ইউনিয়ন বাসিন্দারে সাথে স্বশরিরে স্বাক্ষাতে নিশ্চিত করেন যে- জুলাই ২০১৫ইং সালে সরকারী গেজেট ও জেলা প্রসাশনের প্রজ্ঞাপন/নিদের্শনায় বিশুদ্ধ
পানির ব্যবস্থাপনার লক্ষে প্রতিটি গ্রামে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ইউ/পি চেয়ারম্যানে প্রতিটি পরিবার থেকে ২০ (বিশ) হাজার টাকা স্বাত্যাধীকার গ্রহন করে। কিন্তু এই অর্থ গ্রহনের পর ইউনিয়নে ২বার চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আজঅব্দি এলাকাবাসি দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্যসম্মত পানির গুরুতর সমস্যার সমাধান/ব্যবস্থাপনা থেকে পরিত্রান পায় নাই। উপরন্ত প্রতিনিয়ত গ্রামের জনগন এ্যারসনিকজনিত বিভিন্ন গুরুতর চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে দূর্বীসহ ভয়াবহ জীবন যাপন করছেন। প্রতিনিধি এলাকায় কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রীত ইউ/পি চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনের প্রভাবশালী মহল রাজনৈতীক ক্ষমতার জোরে অনৈতীক ভাবে সরকারী তহবিল ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আর্থীক অনুদান আত্মসাধ করে আসছে। প্রতিনিধি অনুসন্ধানে আরো জানতে পারেন যে-নির্বাচনের পূর্বে নবনির্বাচীত চেয়ারম্যান এলাকাবাসির কাছে পানির সমস্যা সমাধানের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন কিন্তু বাস্তবতা তিনি ক্ষমতা লাভেরপর বিগত চেয়ারম্যানের দুর্নীতির পথানুস্বরন করছেন।
যাহারপর এলাকাবাসিরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে এই গুরুতর সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা জানিয়ে আবেদন জানালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয় সরকারী বিভিন্ন জটিলতা ও রাষ্ট্রীয় অনুদানের স্বল্পতার অভিযোগ দেখিয়ে গ্রামের প্রতিটি পরিবারের নিকট অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা খরচ ধার্যকরে বাজেট ঘোষীত করে এবং অগ্রিম পরিশোধের জন্য গ্রামবাসিদের জোরজুলুম চাপ সৃষ্টি করছেন। যাহার প্রেক্ষাপটে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় গত ৩১শে জুলাই ২০২৩ইং জেলা প্রসাশন ও ইউএনও কার্যালয় ঘেড়াও/মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদানকালে কঠোরবাধা ও আইনি সমস্যার সম্মুখীন হয়।
প্রতিনিধি এলাকার কিছু এনজিও কর্মকর্তা/কমর্চারীর সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন-এই প্রতিবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতীক মহল বিষয়টিকে আসন্য সংসদ নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতীক
দলীয় উস্কানি ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র আক্ষায়িত করে গ্রামবাসির উপর ভয়ভীতিকর হুমকি ধামকি নির্যাতন চালিয়ে আসছে। যাহার প্রেক্ষিতে এনজিও কর্মকর্তা ও গ্রামের ১১টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার নিরাপত্তা জনিত কারনে ৯ই আগষ্ট ২০২৩ইং সরকারী দূঃর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করাতে উল্টা প্রতিপক্ষরা আইন প্রশাসনের অনৈতীক সহযোগীতায় তাহাদের উপর বর্বরচীত হামলা ও মিথ্যা মামলা ইত্যাদির মাধ্যমে এলাকা থেকে বহিষ্কার/পালাতে বাধ্য করেছে। এইরপ হামলা ও মামলার নির্মম শিকার মোঃতাইফ উদ্দিন, ইবাদত ভুঞা, নিশাৎ আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন, মনির আহমেদ, রেবেকা সুলতানা,হায়দার ইমাম, মোঃ সালাউদ্দিন, নিরু হোসেন, হাবিব পাটোয়ারীসহ আরো অনেকে বতর্মানে স্বগৃহ ত্যাগকরে আত্মগোপনে আছেন। প্রতিনিধি পুলিশি তথ্য মোতাবেক জানতে পারেন যে-আসামীরা বিএনপি ও জামায়েত শিবির দলীয় নেতাকর্মিরা ও রাজনৈতীক ফয়দা লাভের লক্ষে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্তহয়ে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুরুতর অপরাধ তৎপড়তা চালিয়ে আসছে এবং আইন সংস্থা তাহাদের বিরুদ্ধে সচ্চার আইনি ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Leave a Reply