আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে জানায় যে-গত ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২১ইং পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপি কেন্দ্রীক ৪নং পৌর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নির্বাচনে দূর্নীতি ও সহিংসতার কারনে সরকারী ভাবে বাঞ্চাল ঘোষীত হয়। ফলে গত ১১ই নভেম্বর ২০২১ইং পূর্ন ধার্যকৃত দিন ৪নং পৌর ওয়ার্ডে সোনাগাজী বালিকা বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালিন সরকার দলীয় আওয়ামী প্রার্থী মোঃ বেলায়েত হোসেন এবং বিরোধী দলীয় জাসদ প্রার্থী মোঃ আজগর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলামের দলীয় নেতাকর্মি ও সমর্থকদের মধ্যে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও ভোট কেন্দ্র দখল সংক্রান্ত ভয়াবহ সংর্ঘষ ও দাঙ্গা ফসাদ সংঘঠিত হয়। উল্লেখ্য-উক্ত দাঙ্গায় উভয় পক্ষের ৮/১০জন গুরুতর আহত হয় কিন্তু দাঙ্গা চলাকালিন কে বা কাহার আগ্নে অস্ত্রের নিক্ষেপিত গুলি বিদ্ধ হয়ে মোঃ রফিক (৪২), পিং-মোঃ ইসমাইল, সাং-চর খোয়াজ, উপজেলা সোনাগাজীর বাসিন্দা ঘটনা স্থলে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাহাকে দ্রুত ফেনী সদর হাসপাতালে উপস্থিত করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ রফিককে মৃত ঘোষীত করেন। ফলে ভোট কেন্দ্রে ও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকলে পুলিশ ফোর্স এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়। এই নির্মম হত্যার ঘটনাটি এলাকায় প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা মোঃ রিপন মৃত ভিকটিম মোঃ রফিককে নিজ দলীয় সদস্য দাবী করেন এবং দলীয় সমর্থকদের স্বাক্ষী হিসাবে এজাহার ভুক্ত করে সেই বিকালে নিজে বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ১১জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই বিষয় প্রতিনিধি সোনাগাজী থানায় যোগাযোগে নিশ্চিত হয় যে-৪নং ওয়ার্ডের ১১জন বাসিন্দা ও বিরোধী/স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ১। দেলোয়ার হোসেন (২৫), পিং- এনামুল হক, ২। মোঃ এমরান হোসেন (২২), পিং-আবু তৈয়ব, ৩। মোঃ সুমন (২৭), পিং-অহিদুর রহমান, ৪। আজমত উল্লাহ (২৮), পিং-নুরের নবী, ৫। আব্দুল মতিন (৩২), পিং-আবুল হাসেম, ৬। আব্দুল্লা আল মামুন (২২), পিং-খায়েজ আহমেদ, ৭। রনি হাজারি (২৪), পিং-মৃত ইস্কান্দার মির্জা, ৮। পারভেজ হাজারি (৩০), পিং-মৃত শাহাবুদ্দিন,৯।এনামুল হক (২৭), পিং-মৃত মমতাজুল হক ১০। মোঃ রাজীব (২৩), পিং- মোঃ দুলাল, ১১। শহিদুল ইসলাম (৩২), পিং-আব্দুল হাই গংকে এই হত্যাকান্ডের আসামী চিহ্নিত করা হয়। প্রতিনিধি এই হত্যার বিষয় এলাকায় প্রত্যক্ষদর্শী কিছু লোকজনকে জিজ্ঞাসা বাদে জানতে পারেন যে- এই অবাঞ্চিত ঘটনার প্রকৃত ইন্দোনদাতা ও হোতা বাদী মোঃ রিপন স্বয়ং এবং তাহার দলবল আগ্নে অস্ত্র নিয়ে ঘটনা স্থলে মহড়া ও প্রভাব বিস্তার করার সময় প্রতিপক্ষের সাথে সংঘাতে লিপ্তহয়ে একপর্যায় গোলাগুলি নিক্ষেপ করলে রফিক গুলি বিদ্ধ হয়ে ঘটনা স্থলে মৃত্যু বরন করে। কিন্তু যুবলীগ নেতা মোঃ রিপন সরকার দলীয় ক্ষমতার জোরে নিজের অপরাধ বিরোধী দলীয় সমর্থকদের উপর চাপিয়ে মামলার বাদী হিসাবে আইনের ছত্রছায়ায় নিজেকে নির্দোষ হিসাবে দাবী করছে। উপরন্ত নিরিহ পরিবারে উপর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অনৈতীক প্রক্রিয়ায় নির্মম নির্যাতন ও চরম হয়রানি/পেরেশানি বর্বরতা চালিয়ে এলাকা থেকে উৎখাত ও পালাতে বাধ্য করছে। থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-মামলার আইনি কার্যক্রম ও আসামীদের গ্রেফতারী প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুলিশ ফোর্স খুব শিঘ্রই এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও সুক্ষ/সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনের যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহনে তৎপড় আছেন।
Leave a Reply