আমাদের প্রতিনিধির সংবাদঃ
কুমিল্লা হোমনা উপজেলা শ্রীমদ্দি গ্রামের বাসিন্দা শ্রী চিন্তা হরন বিশ্বাস (৬৩)কে গত ১০ই নভেম্বর ২০২১ইং দুপুর আনুমানিক ১৩.১৫ ঘটিকায় স্থানীয় ভূমি দস্যুরা শ্রীমদ্দি বাজারে প্রকাশ্যে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার সংবাদ পাওয়া যায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় যে- শ্রী চিন্তা হরন বিশ্বাস ঐ দিন বাজারে দোকানের ভাড়া সংগ্রহের সময় স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রে দূঃস্কৃতিকারী ভূমি দস্যুরা তাহার পৈতৃক সম্পত্তি জোরদখলের পায়তারা চালায়। ফলে উভয়ের মধ্যে চরম বাকবিতন্ড থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে ভিকটিম চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করেন এবং মাক্স পরিহিত একসন্ত্রাসী পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে মাথা ও ঘাড়ে আঘাৎ করলে তিনি সেখানে লুটিয়ে পড়ে ও দাপড়াতে দাপড়াতে তাৎক্ষনিক মৃত্য ঘটে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়-এই নির্মম হত্যাকান্ড জনসম্মুখে সংঘঠিত হওয়ার সময় কোন ব্যক্তিবর্গ ভীতগ্রস্ত হয়ে তাহাকে বাচাতে বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় নাই। এই নির্মম হত্যার বিষয় এলাকাবাসিকে জিজ্ঞাসা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যায় উপরন্ত কেও ভীতগ্রস্থ হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অসম্মতী জানায়। অতঃপর একজন বৃদ্ধকে এই বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি অত্যন্ত বেদনা ক্রান্ত ভাবে অবগত করেন যে-তাহার ৭৯ বৎসর বয়সে এইরুপ বর্বরচীত হত্যাকান্ড মৃত্যুর পূর্বে স্বাধীন দেশে দেখতে হল ।তিনি দুঃখ ভরা হৃদয়ে আরো বর্ণনা করেন যে-ভূমি দস্যু সুলতান বাহিনীর কাছে এলাকাবাসি জিম্মি হয়ে আছে এবং আইন প্রশাসন সবকিছু জেনে শুনেও তাহাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যদিও পুলিশ চাপের মুখে কখনো ২/১ জনকে গ্রেফতার ও থানা হাজতে বন্দি করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে মুক্তি পেয়ে পুনরায় এলাকায় নির্যাতন ও ত্রাসের রাজ্য চালিয়ে যায়। এই নির্মম হত্যার বিষয় প্রতিনিধি থানায় যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার নিশ্চিত করেন-এই বিষয় এখনো কোন অভিযোগ জানে না, তবে যেহেতু সাংবাদিকের কাছথেকে ঘটনাটি শুনেছেন সেহেতু বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখবেন বলে আশ্বাস জানায়। প্রতিনিধি ভিকটিম পরিবারে সাথে যোগা যোগকরতে চাইলে প্রভাবশালী মহলের বাধার সম্মুখীন হতে হয় এবং তাহারা অনৈতীকভাবে প্রতিনিধিকে উল্টাপাল্টা বুঝাতে চেষ্টা করেন যে-দূর্ঘটনা বশত দোকানের সিলিং থেকে কাঠের বার ভেঙ্গে মাথায় পড়ায় চিন্তা হরন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনা স্থলে মৃত্যু বরন করেছে। যাহারপর প্রতিনিধি সেই দিন সন্ধাপর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে খোজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয় যে-পুলিশ আদৌ ঘটনা স্থলে তদন্তে আসে নাই, বরঞ্চ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পুলিশের সদস্য উপস্থিত হলে প্রভাবশালী মহলের মণগড়া কিছু তথ্য ও লাশের সুরতেহাল লিপিবদ্ধ করে চলে যায়।পরবর্তিতে সেই সন্ধায় প্রতিনিধি এই বিষয় থানায় যোগাযোগ করলে ডিউটি অফিসার শুধু দূর্ঘটনা জনক অপমৃত্যু রেকর্ড করার বিষয় জানতে পারেন।
Leave a Reply