1. asaduzzamann046@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@shomoyeralo24.com : Shomoyer Alo : Shomoyer Alo
শিরোনাম :
মানবিকতার পরিচয় দিলেন ওসি;অক্লান্ত চেষ্টায় বাক প্রতিবন্ধী চাঁদনী ফেরত গেলো পরিবারের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চায় ওসি পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট কেরানীগঞ্জবাসী ভুট্টার বাম্পার ফলনেও চিন্তিত চাষীরা ভুট্টার বাম্পার ফলনেও চিন্তিত চাষীরা ইটনায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৩২ জন কটিয়াদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে জামাতের কলম বিতরণ বাজিতপুরে নদীর মাছ নিয়ে চাচা ভাতিজার দ্বন্ধ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাহিদামতো ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ করে না ভূমি অফিস সহায়ক শাহানুর ছাগলনাইয়া মৌরী নদীরপারে অপহৃত জসিম উদ্দিন চৌধুরীর লাশ উদ্ধার

১০ মণ মুলায় ১কেজি চাল!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭২০ বার
ছবি-

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

ভাল নেই লালমনিরহাটের মুলা চাষীরা। শীতকালীন সবজি মুলা চাষ করেছেন লালমনিরহাটের অনেক কৃষক। পরিষ্কার করতে না পারায় একই জমিতে আলু রোপণে দেরি হয়ে যাচ্ছে। কারণ মুলার কোনো ক্রেতা নেই, যারা আসছেন প্রতি মণ ১০ টাকা বলছেন। ফলে মুলাই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলার অনেক কৃষকের। আলু রোপণের স্বার্থে তারা এখন পাইকারদের বিনামূল্যে মুলা দিয়ে দিচ্ছেন।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ জানান, ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে কতটুকু জমিতে মুলা চাষ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে জেলার সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পরিমাণে মুলাসহ অন্যান্য সবজি চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে জেলার স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা প্রকারভেদে ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এখন খুচরা বাজারে ২-৩ টাকা কেজি হলেও পাইকারিতে ১০-১৫ টাকা মণও নিচ্ছে না। ফলে ক্ষেত থেকে মুলা তুলতে যে শ্রমিক খরচ, তাও উঠছে না কৃষকের। আক্ষেপ করে চাষিরা বলছেন, আগাম মুলা নষ্ট হয়েছে বৃষ্টি-বন্যাতে। দ্বিতীয় দফায় ফলন ভালো হলেও দাম নেই। এক মণ মুলা বেচে ১০০ গ্রাম চালও কেনা যাচ্ছে না।

এখন বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ মানের আটাশ চালও কিনতে লাগে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মুলা চাষী আঃ রহমান বলেন, মুলা নিয়ে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রতি দোন জমির (২৭ শতক) মুলা বিক্রি করেও ১ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মুলার ক্রেতা নেই। পরের ফসল আবাদের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। আলু ও ভুট্টা লাগানোর জন্য ব্যবসায়ীদের এখন তারা বিনামূল্যে মুলা দিচ্ছেন। তারা নিজ খরচে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

অপর এক মুলা চাষী জুবেদ আলী বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি। প্রথমবার ৪৫ ও দ্বিতীয়বার ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দাম না পাওয়ায় নিজেই মুলা নষ্ট করছি। ভুট্টা-আলু লাগালে হয়তো ক্ষতি কিছুটা পোষানো যাবে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শামীম আশরাফ বলেন, রবি মৌসুমে বেশিরভাগ চাষি মুলা আবাদ করেছেন। বাজারে চাহিদা না থাকায় তারা দাম পাচ্ছেন না। যেকোনো ফসল ফলানোর আগে চাহিদার বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 shomoyeralo24
Site Customized By NewsTech.Com